মাহমুদুর রহমান হাসপাতালে ভর্তি

মাহমুদুর রহমান জামিনে মুক্ত হাসপাতালে ভর্তি

  ক্রাইমবার্তা রিপোট:
দৈনিক আমার দেশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানেক হাসপাতােল ভির্তকরা হেয়েছ। উন্নত্ত চিকিৎসার জন্য তােক বিদেশে যেতে হবে। গতকাল থেক আজ সকাল ১১ টা পর্যন্ত তার সাথে সাক্ষাত করতে যান সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। নএসময় অনেকে তাকে জাতীয় বীরের খেতাব উপাধি দেন।দৈনিক আমার দেশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে গতকাল দুপুরে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। ২০১৩ সালের ১১ এপ্রিল থেকে পর্যায়ক্রমে ৭৪টি মামলায় বন্দী থাকার পর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নির্দেশে তিনি জামিন লাভ করলেন। তার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর ছেলেকে অপহরণ ও হত্যাপ্রচেষ্টার ষড়যন্ত্র এবং রাষ্ট্রদ্রোহসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়। প্রায় সাড়ে তিন বছর জেলে থাকার পর গতকাল বুধবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে তিনি কারাগার থেকে বের হলে সহকর্মী, বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ীরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। কারাগার থেকে বের হয়ে মাহমুদুর রহমান সোজা রাজধানীর গুলশানে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন। কারাগারে তার ওজন কমপক্ষে ১০ কেজি কমে গেছে। এ ছাড়া তিনি ফ্রোজেন শোল্ডার বা তীব্র কাঁধ ব্যথাসহ জটিল অনেক রোগে ভুগছেন বলে আমার দেশ-এর সিনিয়র এক সাংবাদিক নয়া দিগন্তকে জানিয়েছেন।
কাশিমপুর কারাগার-২ এর জেলার নাসির আহমেদ জানান, মাহমুদুর রহমানের জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছার পর তা যাচাই-বাছাই শেষে তাকে মুক্তি দেয়া হয়।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম স্কাইপে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এক বিচারকের কথোপকথন পত্রিকায় প্রকাশ এবং রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ২০১৩ সালের ১১ এপ্রিল কাওরানবাজারের আমার দেশ কার্যালয় থেকে মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর মধ্যে তিনি কয়েক দফা জামিন লাভ করলেও শেষ মুহূর্তে ভিন্ন মামলায় তাকে আটক দেখানো হয়। ফলে তিনি কারাবন্দীই থেকে যান। গত ৩১ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তাকে সর্বশেষ মামলায় জামিন দেন। আদালতের নির্দেশনায় তাকে অন্য কোনো মামলায় অ্যারেস্ট না দেখানো, জেলগেট থেকে গ্রেফতার না করা, প্রয়োজনে উপযুক্ত আদালতে উপস্থাপন এবং শুনানি শেষে বিচারকের সন্তুষ্টির ভিত্তিতে গ্রেফতারের কথা বলা হয়। সর্বোচ্চ আদালতের এই নির্দেশনার ২৩ দিন পর তিনি মুক্তি পেলেন।
দৈনিক ‘আমার দেশ’-এর পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর তার নেতৃত্বে পত্রিকাটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। তাকে গ্রেফতারের পর আমার দেশ-এর প্রকাশনাও বন্ধ করে দেয়া হয়। ২০০১ সালে চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় এলে মাহমুদুর রহমান প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সিরামিকস বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রিধারী প্রকৌশলী।
কারাগার থেকে মুক্তির সময় কারা ফটকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- লেখক ও কলামিস্ট ফরহাদ মজহার, পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফরহাদ হালিম ডোনার, ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আ ন হ আখতার হোসেন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, আমার দেশ-এর বার্তা সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী, কালিয়াকৈর পৌরসভার মেয়র ও বিএনপি নেতা মজিবুর রহমান, ডিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: শহিদুল ইসলাম, বিএনপির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম রিজু, বিএনপির সহতথ্য ও গবেষণা সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, সহপ্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, বিএনপির সহবিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আফজাল হোসেন সবুজ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ডা: মাজহারুল আলম, গাজীপুর পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি হালিমুজ্জামান ননি ও ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হুদা নুরু প্রমুখ।

 

Check Also

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার

প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ইয়াছিন আলীকে গ্রেফতার করা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।