বিপিএলের সেরা ৫ ব্যাটসম্যান

ক্রাইমবার্তা স্পোর্টস ডেস্ক: শেষ হয়ে গেল বিপিএলের চতুর্থ আসর। রাজশাহী কিংসকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা ডায়নামাইটস।টুর্নামেন্টে কোন ক্রিকেটার কতটা আলো ছড়াতে পারল কিংবা ব্যর্থ হলো, সেসব নিয়ে এখন বিশ্লেষণের পালা।

বিপিএলের সেরা ৫ ব্যাটসম্যান

এই পর্বে থাকছে বিপিএলের সেরা পাঁচ ব্যাটসম্যান। চলুন দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।

 

. তামিম ইকবাল

এবারের বিপিএলটা দুর্দান্ত কেটেছে তামিমের। চিটাগং ভাইকিংস অধিনায়ক ১৩ ম্যাচে ৪৩.২৭ গড়ে করেছেন সর্বোচ্চ ৪৭৬ রান। ফিফটি করছেন ৬টি। সর্বোচ্চ ইনিংস ৭৫। এলিমিনেটর ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়ার পর তামিম নিজেই বলেছেন, এবারের বিপিএলে তার পারফরম্যান্স নিয়ে তিনি খুশি।

 

. মাহমুদউল্লাহ

টুর্নামেন্টে খুলনা টাইটান্সের অন্যতম ব্যাটিং ভরসা ছিলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। দেখা গেছে, যেদিন তার ব্যাট হেসেছে সেদিন দলও বড় সংগ্রহ পেয়েছে। তিনি রান পাননি, দলের বড় স্কোর পায়নি। ১৪ ম্যাচে ৩৩.০০ গড়ে খুলনা অধিনায়ক রান করেছেন ৩৯৬। দুটি ফিফটির সর্বোচ্চ ইনিংস ৬২। ব্যাট হাতে ৩৯৬ রানের পাশাপাশি হাত ঘুরিয়ে ১০ উইকেট- টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জিতেছেন তাই মাহমুদউল্লাহই।

 

. সাব্বির রহমান

এই বিপিএলের একমাত্র সেঞ্চুরিটি এসেছে সাব্বিরের ব্যাট থেকেই। রাজশাহীর ব্যাটসম্যান বরিশাল বুলসের বিপক্ষে খেলেন ১২২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। যেটি বিপিএল ইতিহাসেরই সর্বোচ্চ ইনিংস। ১৫ ম্যাচে ২৬.৯২ গড়ে সাব্বির রান করেছেন ৩৭৭। এক সেঞ্চুরির সঙ্গে ফিফটিও একটি।

 

. কুমার সাঙ্গাকারা

ঢাকায় প্রথম পর্ব শেষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় ১৫ জনের মধ্যেও ছিলেন না তিনি। সেই সাঙ্গাকারা বিপিএল শেষ করেছেন টুর্নামেন্টের চতুর্থ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হিসেবে! টুর্নামেন্টে ১৩ ম্যাচে ২৮.৪৬ গড়ে দুই ফিফটিতে ৩৭০ রান করেছেন সাঙ্গাকারা। সর্বোচ্চ ইনিংস ৬৬। ফাইনালে মাচসেরার পুরস্কারও জিতেছেন এই লঙ্কান কিংবদন্তি।

 

. মোহাম্মদ শাহজাদ

আফগান ব্যাটসম্যান বিপিএলে খেলেছে রংপুর রাইডার্সের হয়ে। ১১ ম্যাচে তিনি ৩৮.৮৮ গড়ে রান করেছেন ৩৫০। ফিফটি করেছেন দুটি। সর্বোচ্চ ইনিংস অপরাজিত ৮০। অখেলোয়াড়সুলভ আচরণের জন্য এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন শাহজাদ। নইলে তার রান আরো বাড়তে পারত।

 

এই বিপিএলে ৩০০ বা এর বেশি রান আছে আরো ছয় ব্যাটসম্যানের। তারা হলেন ঢাকার মেহেদী মারুফ (১৪ ম্যাচে ৩৪৭ রান), বরিশালের মুশফিকুর রহিম (১২ ম্যাচে ৩৪১ রান), কুমিল্লার মারলন স্যামুয়েলস (৮ ম্যাচে ৩৩৪ রান), রাজশাহীর মুমিনুল হক (১৫ ম্যাচে ৩৩১ রান), রংপুরের মোহাম্মদ মিঠুন (১২ ম্যাচে ৩২০ রান) ও ঢাকার মোসাদ্দেক হোসেন (১৪ ম্যাচে ৩০৪ রান)।

 

 

Check Also

ফুটবলার রাজিয়ার জন্য আমরা কে কী করেছি

ফজয়ী নারী ফুটবলার রাজিয়া সুলতানা মাঠে ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। সন্তান জন্মদানের পর আবার দ্রুত খেলায় ফিরতে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।