কুষ্টিয়ার মিরপুরে আওয়ামী লীগ নেতা লুৎফর রহমান সাবুকে হত্যার ঘটনায় জাসদ কার্যালয়ে আগুন

ক্রাইমবার্তা রিপোট:১১.০১.১৭:কুষ্টিয়ার মিরপুরে আওয়ামী লীগ নেতা লুৎফর রহমান সাবুকে হত্যার প্রতিবাদে জাসদ কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে দলটির বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা।
বুধবার বিকালে ৪টার দিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা একটি মিছিল নিয়ে মিরপুর উপজেলা জাসদের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এসময় একটি মোটরসাইকেল এবং একটি বাইসাইকেলও জ্বালিয়ে দেয়া হয়। এনিয়ে দু’দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার বিকালে ৪টার দিকে সাবু হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করে মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। মিছিল থেকে বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা মিরপুর উপজেলা জাসদের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।মিরপুর থানার ওসি কাজী জালালউদ্দিন জানান, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে জাসদ অফিসে হামলা চালিয়েছে। এসময় ওই অফিসের জানলায় ও একটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। তিনি জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

বুধবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আমবাড়িয়া গোরস্থানের সামনে সদ্য আওয়ামী লীগে যোগদানকারী পল্লী চিকিৎসক সাবুকে প্রকাশ্যে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

এদিকে এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও জাসদ নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ নেতাদের অভিযোগ, জাসদের ক্যাডাররা সাবুকে হত্যা করেছে।

মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামারুল আরেফিন জানান, জাসদ ক্যাডাররা সাবুকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।

ঘটনার পরপরই উপজেলা জাসদের সহ-সভাপতি ও আমবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মিলনের বাড়িতে ভাংচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় সাবু সমর্থকরা।

মিরপুর ও ভেড়ামারা উপজেলায় জাসদ ক্যাডাররা একের পর এক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালাচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা জাসদ কার্যালয়ে হামলা চালায়।

কুষ্টিয়া জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহসিন বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোট পরিচালিত হচ্ছে। জাসদ সেই জোটের একটি অংশ। এই হামলার সঙ্গে যারা জড়িত, তারা জোট ভাঙার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।

ইউপির চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বলেন, ‘আমি মিরপুর উপজেলা পরিষদে উপজেলা উন্নয়ন মেলায় আছি। হঠাৎ ফোনে জানতে পারলাম এলাকায় একজনকে কোপানো হয়েছে। এরপর আমার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এখন ডিজিটাল যুগ। কারা কী ঘটাল, তা পুলিশ বের করতে পারবে। এ ঘটনার সঙ্গে আমার বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ততা নেই। আমি দোষী হলে আমার বিচার করা হোক। কিন্তু বাড়িতে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হবে, এটা কী ধরণের আচরণ।’

Please follow and like us:

Check Also

নতুন যোগ হচ্ছে ২০ লাখ দরিদ্র

মূল্যস্ফীতির কশাঘাত মোকাবিলায় ২০ লাখ ২৬ হাজার দরিদ্র মানুষকে নতুন করে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।