আদালতে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

ক্রাইমবার্তা রিপোট:: জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাষ্ট দুর্নীতির দুই মামলায় হাজিরা দিতে বৃহস্পতিবার আদালতে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বেলা ১১টার দিকে খালেদা জিয়া আদালতে পৌঁছাবেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া ।8

পুরান ঢাকার বকশিবাজারস্থ কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে মামলা দু’টির বিচারকাজ চলছে।

মামলা দুইটির মধ্যে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাষ্ট মামলায় খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ শুনানিতে অসমাপ্ত বক্তব্যের জন্য দিন ধার্য রয়েছে। আর জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট মামলায় খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। তবে গত ৩০ জানুয়ারি অরফানেজ ট্রাষ্ট মামলাটি সঠিকভাবে তদন্ত হয়নি উল্লেখ করে পুনঃতদন্তের জন্য আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। সেই আবেদনের উপর আজ অধিকতর শুনানি হবে।

এদিকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাষ্ট মামলায় গত বছরের ১ ডিসেম্বর খালেদা জিয়া আত্মপক্ষ শুনানি করেন। আত্মপক্ষ শুনানিতে তিনি নিজেকে সম্পূন্নভাবে নির্দোষ দাবি করেন। এরপর তিনি আদালতে একটি লিখিত বক্তব্য দেন। ওইদিন তার বক্তব্য শেষ হয়নি।

গত ২৬ জানুয়ারি অরফানেজ ট্রাষ্ট মামলায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

এদিকে গত ২৬ জানুয়ারি মামলার দুই আসামি প্রাক্তন এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আত্মপক্ষ শুনানি করেছেন।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক।

মামলাটিতে বিএনপি নেতা সচিব হারিছ চৌধুরী এবং তার তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ এর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান আসামি।

এতিমদের জন্য বিদেশী থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এই মামলাটি দায়ের করা হয়।

২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।

চার্জশিটে খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে তারেক রহমান, সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়।

আসামি তারেক রহমান সরকারের নির্বাহী আদেশে দেশের বাইরে আছেন। মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ জামিনে আছেন। ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু হতেই পলাতক।

দুই মামলায় আদালত ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন।

Please follow and like us:

Check Also

এদেশের সাম্প্রদায়িকতার বিশ্বস্ত ঠিকানা বিএনপি: কাদের

বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি এদেশের সাম্প্রদায়িকতার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।