১’শ বছরের পুরাতন ব্রীজ ও ২৫ বছরের ভাঙ্গাচোরা রাস্তা মেরামতের অভাবে বেহালদশা

ক্রাইমবার্তা রিপোট:ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ রাস্তাটির তো বাপ-মাও নাই। কেউ থাকলে তো মেরামত হতো। বারবার দূর্ঘটনা ঘটছে। দূর্ঘটনায় পড়ে লোকজন পঙ্গু হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কেউ দেখছে না। সরকারের কর্তাব্যক্তিরাও ফিরে তাকায় না।
ডোমার উপজেলার ডোমার-বোড়াগাড়ী হয়ে আমবাড়ী-চিলাহাটি ভায়া দেবীগঞ্জ উপজেলার ভাউলাগঞ্জে প্রবেশ করা সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রায় ৩০কিলোমিটার বয়সের ভারে নাকাল হওয়া প্রধান সড়কটি নিয়ে এমনই মন্তব্য করেন পথচারী শরিফুল ইসলাম।18
ডোমার উপজেলার ডোমার হতে চিলাহাটি প্রবেশের দুটি প্রধান সড়ক থাকলেও ডোমার-মিরজাগঞ্জ হতে চিলাহাটি রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের কারণে যানচলাচলের অনুপযোগী হওয়ার মতো উপক্রম হয়েছে। অটোবাইক-ট্রাক-বাস যেগুলো চলাচল করছে সেগুলো রাস্তা নেই বলেই চলছে ঝুঁকি নিয়ে। এটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর নিয়ন্ত্রণ করে। অপরটি হল-ডোমার-বোড়াগাড়ী হয়ে আমবাড়ী-চিলাহাটির রাস্তা। এটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন। এই রাস্তাটির বোড়াগাড়ী হতে বামুনিয়া পর্যন্ত প্রায় ২কি.মি রাস্তা ২০১৪-’১৫ অর্থ বছরে নির্মাণ হলেও বাকি প্রায় ২৫-২৮কিমি রাস্তার কাজ কবে করা হবে কেউ জানে না। এদিকে রাস্তার এহেন বেহাল দশায় প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা ঘটছেই। দূর্ঘটনার কবলে পড়ে অনেকে সারাজীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করছে।
অটোবাইক চালক রুবেল ইসলাম বলছেন, এই রাস্তায় প্রত্যেকদিন একবার না একবার এক্সিডেন্ট সবেই। কিন্তু রাস্তাটি কেউ  মেরামতের কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে না।
প্রধান এই সড়কটি দিয়ে প্রতিনিয়ত ২০-৩০হাজার লোকজন, ১-২হাজার ক্ষুদ্র ও ভারী যান চলাচল করে। এই সড়কটি মধ্যে রয়েছে ছোট-বড় প্রায় ১০-১২টি ব্রীজ। এগুলোও সেকেলে। গোমনাতী-আমবাড়ী ব্রীজটি এতই ঝুঁকিপূর্ণ যে কখন দূর্ঘটনা ঘটবে তা বলা মুশকিল। কয়েক বছর পূর্বে ব্রীজটি ভেঙ্গে যাতায়াতের বিঘœ হয়েছে। বেইলী ব্রীজের মতো সাময়িক চলাচলের জন্য পাশে একটি ব্রীজ তৈরি কওে দিয়েছে প্রশাসন। তাও বছর পাঁচেক হবে। এরপাশে কেতকীবাড়ী ইউনিয়নের ঘুনুরামের পাশে একটি চিকন বেইলী ব্রীজ রয়েছে। সেটিও পূরাতন। এরপর চিলাহাটি হয়ে কাঁঠালতলী পর্যন্ত প্রায় ৫টি ছোট-বড় ব্রীজ রয়েছে। কিন্তু ব্রীজগুলো অত্যাধিক নাজুক। আবার ১’শ বছরের পুরনো ২’শ মিটারের লোহার ব্রীজটি ভেঙ্গে কখন যে দূর্ঘটনার সৃষ্টি হবে তা বলা বাহুল্য।  রাস্তা মেরামত কাজও হয় না। ব্রীজ নির্মাণও হয়।
এবিষয়ে ভোগডাবুড়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান একরামুল হক এই প্রতিবেদককে জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ডোমার-আমবাড়ী হতে চিলাহাটি ভায়া ভাউলাগঞ্জ প্রায় ৩০কি.মি.প্রধান সড়ক ও রাস্তায় থাকা প্রায় ১০-১২টি ছোট-বড় ব্রীজগুলো বেহাল দশায় প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা ঘটছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু সুদৃষ্টি কামনা করেছে স্থানীয় জনগণ।

Please follow and like us:

Check Also

কলারোয়া  উপজেলা জামায়াতের প্রথম সভাপতি আবুল কাশেমের ইন্তেকালঃ বঙ্গবন্ধু বিশেষ সুপারিশে  যিনি কারা মুক্ত হন

সাতক্ষীরা সংবাদদাতাঃ কলারোয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, উপজেলা জামায়াতের প্রথম সভাপতি বাংলাদেশ পরিবহন মালিক সমিতির …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।