পাইকগাছায় লীজ ঘেরে অগ্নিসংযোগ, মারপিট ও লুটপাটের ঘটনায় থানায় অভিযোগ

ক্রাইমবার্তা রিপোট:পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥পাইকগাছায় অগ্নিসংযোগ, মারপিট ও লুটপাটের অভিযোগ এনে থানায় ১২জন নামীয়সহ অজ্ঞাত ২০ জনের নামে অভিযোগ দায়ের। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এলাকায় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পাইকগাছা উপজেলার পারবয়ারঝাপা গ্রামের লিয়াকত গাজীর পুত্র মনিরুল ইসলাম গাজী তার স্বত্ব দখলীয় এবং ডিড বুনিয়াদে পারবয়ারঝাপা মৌজায় ১৫ বিঘা জমিতে দীর্ঘ ১৫/২০ বছর ধরে মৎস্য ও ধান চাষ করে আসছে। রবিবার 28সকালে একই গ্রামের মৃত সামাদ গাজীর পুত্র রুহুল আমিন গাজী, সফেজ গাজীর পুত্র আফজাল গাজী, মৃত হামিদ গাজীর পুত্র রবিউল ইসলাম রবির নেতৃত্বে ৩০/৩৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল লাঠিশোটা, শাবল ও দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মনিরুলের মৎস্য লীজ ঘেরে হামলা করে। এরপর তারা মনিরুল, মনিরুলের স্ত্রী ইরিনা খাতুন, মুক্তিযোদ্ধা কন্যা মরিয়ম খাতুন সহ কয়েকজনকে বেদম মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় তারা মনিরুলের লীজ ঘেরের বাসায় অগ্নি সংযোগ করে ভূস্মিভূত করে। অভিযোগে আরো জানা যায়, তারা মনিরুলের লীজ ঘের হতে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় লক্ষাধিক টাকার মাছ লুটপাট করে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে মনিরুল বাদী হয়ে পাইকগাছা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

পাইকগাছা বালিকা বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে একই ছাত্রের দুই রুমে সিট প্লান : ভোগান্তির শিকার অন্য ছাত্র
পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছায় এসএসসি পরীক্ষা সরকারি বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে একই ছাত্রের সিট দুই রুমে ভোগান্তির শিকার অপর এক ছাত্র। দায়িত্বরত হল সুপার ও সচিবের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী সচেতন অভিভাবক মহলের। সারাদেশের ন্যায় পাইকগাছা উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে উপজেলার সরকারি বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ঘটেছে ভিন্ন রকম চিত্র। কেন্দ্রের বাইরে দেওয়ালে সিট প্লান টানিয়ে দেয়া হয়েছে। সেখানে পাইকগাছা সরকারি বালক বিদ্যালয়ের একটি ছাত্রের রোল নম্বর ১২৯৭৪৯, ছাত্রটির আসন স্বাভাবিক ভাবে একটি রুমে থাকার কথা। তবে ঐ কেন্দ্রের দায়িত্বরত সুপার ও সচিব বিশেষ কারণে কেন্দ্রের ২ ও ৩নম্বর রুমে ঐ রোল নম্বরটির সিট প্লান দেখানো হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন তাহলে ঐ ছাত্রটি কোন রুমে কোন আসনে বসে পরীক্ষা দেবে? পরীক্ষার প্রথম ২ দিনে ৩ নম্বর রুমে থাকা আসনটিতে বসে পরীক্ষা দেয়। পরবর্তীতে ইংরেজি প্রথম পর্বের দিনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে হল কর্তৃপক্ষ ছাত্রটিকে ৩নম্বর রুম থেকে উঠিয়ে ২ নম্বর রুমে বসান। পরীক্ষার ৪র্থ দিনে ছাত্রটি পুনরায় ৩ নম্বর রুমে বসলে কেন্দ্র সচিব তাকে উঠিয়ে ২ নম্বর রুমের আসনে দেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে কেন্দ্র সচিব অজিত কুমার সরকার জানান, তিনি কোন ভূল করেননি। ভুল করেছে স্কুলের পিয়নরা। আর পিয়নদের সাথে আলাপ করলে তারা বলেছেন ভিন্ন রকম। যা তদন্ত হলে কেন্দ্র সচিবের থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। এদিকে পরীক্ষা কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের ভুল বা  বিশেষ কারণে একটি ছাত্রকে বার বার রুম ও আসন পরিবর্তনের ফলে ছেলেটির মানসিক ক্ষতি হয়েছে। ফলে ছাত্রটি স্বাভাবিক ভাবে পরীক্ষা দিতে পারেনি। তাই ঘটনার সাথে জড়িত বা দায়ীদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সচেতন অভিভাবকরা দাবী তুলেছেন। একই সাথে অভিভাবকরা কেন্দ্র সচিব অজিত কুমার সরকারের দুর্ণীতি অনিয়মের তদন্ত দাবী করেছেন।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সহ তিন ডাক্তারকে লিগ্যাল নোটিশ
পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসায় ডাক্তাররা রোগীর শরীরে কোন যখম না পেলেও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তাররা ঐ রোগীকে গুরুতর জখমী বলে চিকিৎসা সনদ প্রদান করায় খুলনা মেডিকেল কলেজের ৩ ডাক্তারের কাছে উপর্যুক্ত জবাব বা ক্ষতিপূরণ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবি এফ, এম, এ, রাজ্জাক। উপজেলার গোপালপুর গ্রামের সহিল উদ্দিন মিস্ত্রীর পুত্র আজিবুর রহমান এর সাথে তার প্রতিবেশী আব্দুল মজিদ গাজীর জমাজমি সংক্রান্তে গোলমাল গলোযোগ হয়। অতঃপর গত ১৯ ডিসেম্বর’১৬ সকালে আব্দুল মজিদ পাইকগাছা হাসপাতালে ভর্তি হয়। তবে তার শরীরে কোন জখম ছিল না। ঐ দিনই আব্দুল মজিদ পাইকগাছা হাসপাতালের ছাড়পত্র নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয় এবং চিকিৎসাধীন থাকে। পরবর্তীতে ২৪ ডিসেম্বর খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার শেখ সুফিয়ান রুস্তম ও মেডিকেল অফিসার ডাক্তার শেখ মোঃ জাকারিয়া এবং মেডিকেল অফিসার ডাক্তার অজয় কুমার সাহা। ভিকটিম আব্দুল মজিদ গুরুত্বর জখম মর্মে “গ্রিভিয়াস হার্ড ইন নেচার” মর্মে চিকিৎসা সনদ প্রদান করেন। ফলে মামলার আসামী আজিবুর রহমান সহ অন্যরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ও হয়রানী হন। তাই ক্ষতিগ্রস্থ আজিবুর রহমানের পক্ষে তার ক্ষতির পরিমাণ এক লক্ষ টাকা নির্ধারনে তার আইনজীবি সাত দিনের মধ্যে উপর্যুক্ত কারণ দর্শাইতে বা ক্ষতিপূরণ দিতে রেজিষ্ট্রী ডাকযোগে গত ৯ ফেব্র“য়ারী’১৭ লিগ্যান নোটিশ প্রদান করেছেন।

Check Also

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু

মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। জুড়ী উপজেলার পূর্ব জুড়ী ইউনিয়নের পূর্ব গোয়ালবাড়ি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।