রাজাপুর বাঘরী হাঁেট ভ্রাম্যমান অভিযান! দুই মন জাটকা জব্দ, আটক-১

ক্রাইমবার্তা রিপোট:রাজাপুর(ঝালকাঠি)সংবাদদাতাঃ ঝালকাঠির রাজাপুর থেকে দুইমন জাটকা ইলিশ জব্দ করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় উপজেলার বাঘড়ী হাট থেকে এই জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় সেলিম সরদার নামে এক মাছ ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। পরে আটক ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আটক সেলিম সরদার ভান্ডারিয়া উপজেলার ভিটাবাড়িয়া গ্রামের রাব্বি সরদারের ছেলে।14
উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মুক্তারানী সরকার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকাল নয়টায় উপজেলার বাঘড়ী হাটে অভিযান পরিচালনা করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা বেগম পারুল ও উপজেলা মৎস কর্মকর্তা পুলিশের সহযোগীতায় এ অভিযান করেন। এ সময় দুইমন জাটকাসহ একজনকে আটক করা হয়।
পরে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে আটক সেলিম সরদারকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী হাকিম আফরোজা বেগম পারুল।

 

বিশখালী নদী থেকে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার

রাজাপুর(ঝালকাঠি)সংবাদদাতাঃ ঝালকাঠির রাজাপুরে বিশখালী নদী থেকে এক নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়নের বায়তুল নাজাত জামে মসজিদ সংলগ্ন বিশখালী নদী থেকে এই নবজাতকের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, ২২ফেব্রুয়ারী (বুধবার) স্থানীয় কিছু যুবক বিশখালী নদীতে সদ্যজাত এক শিশুর মৃতদেহ দেখতে  পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, এই নবজাতক শিশুটি বড়ইয়া গ্রামের ইউনুস হাওলাদারের অবিবাহিত মেয়ে ছালমা আক্তারের। ছালমা বর্তমানে বড়ইয়া ডিগ্রী কলেজ  কেন্দ্র থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। এলাকাবাসী আরো বলেন, পরীক্ষা চলাকালে ছালমার শারিরীক অবস্থা দেখে এলাকাবাসীর মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। এতে এলাকাবাসী খোঁজ নিয়ে জানতে পারে যে, একই এলাকার মো. হারুনের ছেলে সুমন ও ইউনুস হাওলাদারের মেয়ে ছালমার অনৈতিক সম্পর্কের ফসল ছিল নবজাতকটি।
এ বিষয়ে বড়ইয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল মন্টুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তাছাড়াও আমি ঘটনার সময় এলাকায় ছিলাম না।
রাজাপুর থানা পরিদর্শন (ওসি) শেখ মুনীর উল গীয়াস বলেন, এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করেছি। ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নবজাতকের কোন পরিচয় না থাকায় ঝালকাঠির আঞ্জুমান মফিদুল এর মাধ্যমে লাশ দাফন করা হবে। এবিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। তারপরেও নবজাতকটি কোথা  থেকে আসল আমরা তা অনুসন্ধান করছি।

রাজাপুর বিয়ে করতে এসে প্রতারক বর শ্রীঘরে!

মো.অহিদ সাইফুল ঃ ২২ফেব্রুয়ারী (বুধবার) দুপুর ১২:৩০ মিনিট। শতাধিক বরযাত্রী আপ্যায়নের জন্য প্রস্তুত কনে বাড়ী। যথাসময়ে বরযাত্রী হাজির। কিন্তু বিয়ের পিড়িতে বসা হলনা বড় মনজুর আলমের (২৪)। বরযাত্রী আসার সাথে সাথে কনে পক্ষের কাছে খবর আসে বর মনজুর এর আগেও প্রায় ডজনখানেক বিয়ে করেছেন। এছাড়াও কনে পক্ষের কাছথেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে পরে স্ত্রীর আর খবর নেয় না মনজুর। এমন খবরে অচেতন হয়ে পড়েন কনে এবং বিয়ের সব আয়োজন পন্ড হয়ে যায়।
ঘটনাটি ঘটেছে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার দক্ষিন রাজাপুর (বলাই বাড়ী) এলাকায়। এ ঘটনায় বর মনজুর ও ঘটক হানিফকে আটক করেছে এলাকাবাসী। তাদেরকে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও উপজেলা মহিলা ভাইস্ চেয়ারম্যান আফরোজা আক্তার লাইজুর সহযোগীতায় রাজাপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। অবস্থা বেগতিক দেখে পালিয়েছে বরের সাথে আসা বাকীরা।
কনের ভাই আল আমিন জানায়, গত (২০ ফেব্রুয়ারী) সোমবার ঝালকাঠির ধানসিড়ি ইউনিয়নের বেরপাশা গ্রামের সোবাহান হাওলাদারের পুত্র মনজুর আলমের সাথে রাজাপুর উপজেলার বলাইবাড়ী এলাকার মৃত সোবাহান তালুকদারে কন্যা সাথী আক্তারের বিয়ে হয়। ঘটক হানিফের মাধ্যমে উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়ন কাজী অফিসে একলাখ টাকা দেন মোহরে এই বিয়ে হয়। কিন্তু ঘটক মো. হানিফ বর মনজুরের অপকর্মের তথ্য গোপন করে এই বিবাহের আয়োজন করে বলেও অভিযোগ করেন কনের ভাই আল আমিন। তিনি আরো বলেন, এঘটনায়  আমার বোনের জীবনটাই অনিশ্চতার মধ্যে পড়েছে।
বর মনজুর আলম বরিশাল জজ আদালতের চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী ও কনে সাথী আক্তার রাজাপুর ডিগ্রী কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।
মনজুরের একাধিক স্ত্রীর মধ্যে রাজাপুরের পারভিন বেগম(১৯) একজন। পারভিন উপজেলার বাইপাস এলাকার ইউনুস খানের মেয়ে। মনজুরকে আটক করা হয়েছে এমন খবর শুনে থানায় আসেন পারভিন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, গত দেড় বছর আগে মনজুরের সাথে একলাখ টাকা দেনমোহরে আমার বিয়ে হয়। কিন্তু সে আমার কাছে বিভিন্ন সময় টাকা দাবি করত কিন্তু আমার পরিবার গরীব তাই তাকে টাকা দিতে পারিনি। সেজন্য মনজুর আমাকে প্রায়ই মারধর করত। সবশেষ গত আট দিন আগে টাকা দিতে না পাড়ায় মনজুর আমাকে মারধর করে চলে যায়। তারপর তার আর কোন খবর পাইনি। সে একজন খুব খারাপ লোক আমি তার উপযুক্ত বিচার চাই।
ধানসিড়ি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য নূর হোসেন জানান, আমার কাছে বিভিন্ন সময় মনজুরের বিষয়ে বিভিন্ন অভিযোগ এসেছে। আমি কিছু বিষয়ের মিমাংসা করেছি কিন্তু মনজুরের কুকর্ম দিনদিন বেড়েই চলছে। সে বিভিন্ন এলাকায় বিয়ে করে শশুরবাড়ী থেকে যৌতুক নিয়ে বউয়ের আর কোন খবর নেয় না। আমি এমন ৫-৬টি ঘটনা সম্পর্কে অবগত। কিন্তু এখন শুনছি সে এর আগে আরো ডজনখানেক বিয়ে করেছে।
বর মনজুর আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার প্রথম বৌ মারা যাওয়ায় আমি দ্বিতীয় বিয়ে করি কিন্তু সেই বউ আমাকে ছেড়ে চলে যায়। আমি গত তিন মাস যাবত একা জীবন যাপন করছিলাম তাই ঘটক হানিফ ভাইকে বলে এই বিয়ের আয়োজন করেছি। এক ডজন বিয়ে সম্পর্কে জানতে চাইলে মনজুর বলেন, আমি এক ডজন বিয়ে করিনি এখন পযর্ন্ত ৪-৫টি করেছি। পারভিন সম্পর্কে জানতে চাইলে মনজুর কোন উত্তর দিতে পারে নি।
এবিষয়ে রাজাপুর থানা পরিদর্শক শেখ মুনীর উল গীয়াস বলেন, কনেপক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আটক মনজুরকে ঝালকাঠি আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Check Also

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু

মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। জুড়ী উপজেলার পূর্ব জুড়ী ইউনিয়নের পূর্ব গোয়ালবাড়ি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।