চুক্তি দিয়ে কোনো বন্ধুত্ব হয় না : গয়েশ্বর

ক্রাইমবার্তা রিপোট:বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, কাবিন দিয়ে যেমন দাম্পত্য জীবন নিশ্চিত করা যায় না, তেমনি চুক্তির বেড়াজালে ফেলে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব পাওয়া যাবে না। বন্ধুত্ব কোনো চুক্তি দিয়ে হয় না। দিন দিন আরো ঘৃণা বাড়বে। বলে তিনি মন্তব্য করেন।

 

আজ রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ভিআইপি লাউঞ্জে এক গোল টেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ন্যাশানালিষ্ট এক্স স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন (রুনেসা) এই আলোচনার আয়োজন করে।
সংগঠনের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ বাহাউদ্দিন বাহারের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন-বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হারুন অর রশিদ, বিএনপি নেতা দেবাশিস রায় মধু, রমেশ চন্দ্র দত্ত, আমিনুল ইসলাম, স্বেচাচ্ছেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূইয়া জুয়েল প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর রায় বলেন, বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ভারত তার নিজস্ব ভূখণ্ড রক্ষায় প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছে।
তিনি বলেন, ‘চীন থেকে সাবমেরিন কেনা বাংলাদেশ অন্যায় করেনি। তিন দিকেই ভারত। যে দেশ বিশ্বের সবচেয়ে বড় অস্ত্র আমদানিকার দেশে, সেই দেশের কাছ থেকে অস্ত্র কার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে বাংলাদেশ। এখানে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা চুক্তি হয়নি, চুক্তি হয়েছে ভারতের।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ১৯৭১ সালের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি তখন ভারত আমাদের সহযোগিতার নামে মূলত পাকিস্তান বিভক্ত করেছে। আজকে যদি ভারত আমাদের সঙ্গে বন্ধুত্বের নামে এধরনের প্রভূত্বগিরি দেখানোর চেষ্টা না করতো তাহলে এই প্রশ্নটা উঠতো না ।
ভারত সফরে প্রধানমন্ত্রীকে সমাননা প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, পত্র-পত্রিকা পড়ে যা বুঝলাম ভারত সরকার প্রধানমন্ত্রী অনেক সম্মান দিয়েছেন। ছোট দেশের প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান দিয়ে যদি হাতে চুড়ি পরিয়ে দেয়, তখন এই চুড়ির অবস্থাটা কী হবে সে জন্যই বলছি ভারত বাংলাদেশর বন্ধুত্ব চায় না। চুক্তি এবং কথা বার্তায় মনে হয় শেখ হাসিনাকে দাসির ভূমিকায় রাখতে চায়। শেখ হাসিনাও শুধুমাত্র ক্ষমতায় থাকার জন্য ভারতের সেবায় নিজের জীবন ও দেশের সার্বভৌমত্ব বিসর্জন নিয়ে চায় ।

 

Please follow and like us:

Check Also

অনিশ্চয়তার নতুন যুগে মধ্যপ্রাচ্য

ইউক্রেন-রাশিয়া রেশ কাটতে না কাটতেই ফিলিস্তিনের গাজায় শুরু হয় ইসরাইলি আগ্রাসন। এরপর থেকে অশান্ত হতে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।