ব্রিটিশ অধ্যাপকের অভিমত কূটনীতিতে যুদ্ধংদেহী মনোভাব দেখিয়ে পারমাণবিক যুদ্ধের জুয়ায় মেতেছেন ট্রাম্প

ক্রাইমবার্তা আন্তর্জাতিক ডেস্ক :মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দেশকে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকিতে ফেলছেন যদিও তিনি জানেন না এর পরিণতি কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে। সমর বিশেষজ্ঞ ও স্কটল্যান্ডের দি ইউনিভার্সিটি অব এ্যান্ড্রু’র অধ্যাপক নাও ক্রিস ওগডেন বলেছেন আলোচনার পরিবর্তে সিরিয়ায় ৫৯টি টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ ও উত্তর কোরিয়ায় রণতরী পাঠানোর পাশাপাশি সিরিয়ায় ট্রাম্পের ফের হামলার ইচ্ছা ব্যক্ত করার মধ্যে দিয়ে এটা সুস্পষ্ট যে, যুক্তরাষ্ট্র নাটকীয়ভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের অধীনে ভয়ঙ্কর যুদ্ধে জড়িয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন আলোচনার টেবিলে সংকট সমাধানের সকল সুযোগ রয়েছে বললেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার উত্তরসূরী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার চেয়ে অধিকতর পেশী শক্তির ব্যবহার দেখাতে সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছেন।4

স্কটল্যান্ডের দি ইউনিভার্সিটি অব এ্যান্ড্রু’র অধ্যাপক নাও ক্রিস ওগডেন বলেছেন, ট্রাম্প একটি ব্যাপক ধ্বংসকর প্রভাবের ঝুঁকি নিচ্ছেন। ডেইলি স্টার ইউকে অনলাইনকে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শাসনামলের আগে পরিবেশ ও কথা বলার ধরন আরো অনেক বেশি বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল। তখন ‘আমরা যা খুশি করব’ এধরনের উস্কানি ছিল না। উত্তর কোরিয়ার নেতারাও মনে করছেন তারা দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের ময়দানে রয়েছে এবং তা এখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্প্রসারিত হতে যাচ্ছে। এধরনের পরিস্থিতি খুবই উচ্চমাত্রার হুমকি।
ড. ওগডেন ট্রাম্পের প্রতি প্রশ্ন তুলে বলেন, কূটনীতির প্রতি তার যুদ্ধংদেহী মনোভাব মার্কিন নির্বাচনের আগে ছিল না। তাকে জিজ্ঞেস করা উচিত নির্বাচনী প্রচারভিযানে তিনি কেন আশ্বাস দিয়েছিলেন যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হতে পারলে তিনি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবেন না।
ড. ওগডেন বলেন, ক্ষমতায় আসার পর ভিন্ন এক ট্রাম্পকে দেখা যাচ্ছে। এবং তার নিশ্চিত মনোভাব এটাই বলছে, ‘আমার অস্ত্র আছে কেন আমি এটাকে ব্যবহার করব না? এবং সেটাই বিপর্যয়। উত্তর কোরিয়ায় সামরিক হামলা প্রসঙ্গে ওগডেন বলেন, আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে যে উত্তর কোরিয়া সত্যিই পারমাণবিক যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং সমুহ সম্ভাবনা রয়েছে যে আপনি কখনো সবগুলো অস্ত্র বিনষ্ট করতে পারবেন না। উত্তর কোরিয়া আক্রান্ত হলে অবশিষ্ট পারমাণবিক অস্ত্র জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া বা যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদেশগুলোতেই প্রতিশোধ নিতে ব্যবহার করবে। কোনো পক্ষ আক্রান্ত হলে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের নিজস্ব প্রতিক্রিয়া কি হবে তা দেখার বিষয় যদিও ট্রাম্পকে অধিক বিচ্ছিন্নতাবাদী বলেই মনে হচ্ছে।
ওগডেন বলেন, পারমাণবিক যুদ্ধ বা কোনো দেশে হামলার আগে যা করার তা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প না করলে বরং আমেরিকানরাই খুব দুর্বল হয়ে পড়বে। এবং ট্রাম্প যা করতে যাচ্ছেন তাতে যুক্তরাষ্ট্রের জন্যে এক ধ্বংসকর প্রভাব অপেক্ষা করছে। ট্রাম্প হয়ত দেখছেন উত্তর কোরিয়া কোনো ধরনের তুচ্ছ ক্ষমতার অধিকারী হয়ে উঠেছেন এবং তিনি তার দ্রুত সমাধান করবেন এবং সেটাই সত্যিকার বিপদজনক পরিস্থিতি তৈরি করব্।ে ডেইলি স্টার ইউকে

Check Also

মালয়েশিয়ার পাম তেলে ইইউ’র নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের শ্রমবাজারে অশনি সংকেত

বন উজাড়, কার্বন নির্গমনের ঝুঁকি এবং পরিবেশের ভারসাম্য নষ্টগত কারণ দেখিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়ার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।