১০ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের সত্যতা মিলেছে

১০ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ
জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের সত্যতা মিলেছে
ঢাকা

প্রকাশ : ১২ মে ২০১৭,

অ-অ+
রাজধানীর বনানীর আবাসিক হোটেলে দুই ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় সিলেট থেকে গ্রেফতার সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে।
শুক্রবার ডিবি কার্যালয়ে এই দুই আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এক ব্রিফিংয়ে একথা জানান ডিএমপির জয়েন্ট কমিশনার (ক্রাইম) কৃষ্ণপদ রায়।
তিনি জানান, বনানীতে দুই ছাত্রী ধর্ষণে সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফ জড়িত বলে প্রতীয়মান হয়েছে। আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আদালতে উপস্থাপন করে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।
কৃষ্ণপদ রায় বলেন, এ ঘটনায় ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশে তদন্ত সহায়ক চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির প্রধান হিসেবে রয়েছেন জয়েন্ট কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, ডিসি (ডিবি উত্তর) শেখ নাজমুল আলম, ডিসি গুলশান বিভাগ মোস্তাক আহমেদ, ডিসি উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগ ফরিদা ইয়াসমিন।
বনানী থানায় মামলা গ্রহণে গড়িমসি ও তরুণীদের হয়রানির অভিযোগ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কৃষ্ণপদ রায় বলেন, ‘বনানী থানা পুলিশের গাফিলতি তদন্তে বৃহস্পতিবার ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর প্রধান হিসেবে রয়েছেন, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপারেশন অ্যান্ড ক্রাইম) মিজানুর রহমান। সদস্য হিসেবে রয়েছেন জয়েন্ট কমিশনার ক্রাইম কৃষ্ণপদ রায় ও জয়েন্ট কমিশনার (ডিবি) আব্দুল বাতেন।’
মামলার তদন্ত কোনো প্রভাবে গতি হারাবে না বলে আশ্বস্ত করে তিনি আরও বলেন, ‘মামলার তদন্তে প্রভাবশালীদের কোনো প্রভাব কাজে আসবে না। পুলিশ পেশাদারিত্বের সঙ্গে তদন্তকাজ করছে। এ তদন্তের যৌক্তিক পরিণতি হবে।’
এছাড়া ধর্ষণের ভিডিও উদ্ধারের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং যে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে তা উদ্ধারে কাজ চলছে বলেও জানান কৃষ্ণপদ রায়।
এর আগে বৃহস্পতিবার সিলেট নগরীর পাঠানটুলা এলাকা থেকে গ্রেফতারের পর রাতেই এই দুই আসামিকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।
পরে শুক্রবার সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) হেফাজতে তাদের গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ বন্ধুর সঙ্গে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়ে বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে ধর্ষণের শিকার হন দুই বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণী।
ওই ঘটনায় গত ৬ মে রাজধানীর বনানী থানায় মামলা করেন নির্যাতনের শিকার এক তরুণী।
মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে সাফাত (২৬) আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে এবং সাদমান (২৪) পিকাসো রেস্তোরাঁর অন্যতম মালিক ও রেগনাম গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মদ হোসেন জনির ছেলে।
এই মামলার অন্য তিন আসামি হল, সাফাতের আরেক বন্ধু নাঈম আশরাফ (প্রকৃত নাম হাসান মো. হালিম), সাফাতের দেহরক্ষী ও গাড়িচালক। মামলার পর আসামিরা পলাতক ছিলেন।
Please follow and like us:

Check Also

আবুল কাশেম কোন প্রতিহিংসার রাজনীতি করেননি,তাই জনগণ তাকে বার বার নির্বাচিত করতেন: সাতক্ষীরায় মিয়া গোলাম পরওয়ার

সাতক্ষীরা সংবাদদাতাঃ কলারোয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, উপজেলা জামায়াতের প্রথম সভাপতি, বাংলাদেশ পরিবহন মালিক সমিতির …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।