২০১৮ সাল হবে জনগণের বছর: খালেদা জিয়া



২০১৮ সাল হবে জনগণের বছর: খালেদা জিয়া

২০১৮ সাল হবে জনগণের বছর: খালেদা জিয়াঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, ২০১৮ সাল হবে জনগণের বছর। সকল জুলুম অত্যাচার অবিচার বছরটিতে বিদায় নেবে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লেডিস ক্লাবে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

খালেদা জিয়া বলেন, আগামী বছর হবে জনগণের বছর। আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, এ আওয়ামী লীগ মানুষকে ভাওতা দেয়ার জন্য অনেক মিথ্যা কথা বলে। কিন্তু কাজে কখনো পরিণত করে না। তারা মানুষকে আশা দিয়েছিলো ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে। কিন্তু আজকে ১ কেজি চালের দাম ৫০ টাকা। গরিব মানুষের অবস্থা খারাপ। মাছ-মাংসের দামের কথা বাদই দিলাম। কোন সবজি ৪০-৫০ টাকার নিচে পাওয়া যায় না। তার উপর আবার গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করেই যাচ্ছে।

খালেদা জিয়া বলেন, বিদ্যুৎ ও পানির দামসহ প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়িয়েছে সরকার। এখন কী উন্নয়ন করছে তারা? এতো বিদ্যুৎ দিবে বাংলাদেশ নাকি ঝলমল করবে। কিন্তু এখন ঢাকা শহরেই লোডশেডিং বেড়ে গেছে। সারাদেশ অন্ধকারে। এই হচ্ছে সত্যিকার আওয়ামী লীগের উন্নয়নের নমুনা।

সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে দেশে আইনের শাসন বলে কিছু নেই। মানুষ ন্যায় বিচার পাচ্ছে না। কারণ বিচারবিভাগ বিচারকরা নয়, নিয়ন্ত্রণ করে আওয়ামী লীগ সরকার। তারা কাউকে সম্মান দিতে যানে না। পুলিশ-শিক্ষকের গায়েও তারা হাত তুলছে।

তিনি আরও বলেন, ২০১৬ সাল ছিলো আওয়ামী লীগের ব্যাংক চুরির বছর। ব্যাংকের টাকা চুরি করতে করতে তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকাও চুরি করে পাচার করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা চুরির ঘটনায় তদন্ত কী হয়েছে কেউ যানে না। সেই তদন্ত রিপোর্ট বাংলাদেশ ব্যাংকে রাখা ছিলো। সেখানেও আগুন লাগলো।

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, এদের কাছে ভালো কী আশা করবেন, নির্বাচন আসলে তারা এতো মিথ্যা কথা বলে, অনেক উন্নয়নের ফিরিস্তি দেবে কিন্তু হিসাব চাইলে সেটা তারা মেলাতে পারবে না।

এই বারের বাজেটে সরকার মানুষের পকেটেও হাত দিয়েছে মন্তব্য করে খালেদা জিয়া বলেন, এর ফলে ব্যাংকে টাকা রাখতে কেউ সাহস করবে না। এক লাখ টাকা রাখলে বছরে ৮০০ টাকা কেটে নেবে, তাহলে থাকবে কি? তারপরও অর্থমন্ত্রী বলেন, যার ১ লাখ টাকা থাকবে সে বড়লোক। তাহলে আপনাদের হাজার হাজার কোটি টাকার কী হবে?

ইফতার মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, জামায়াত ইসলামের নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ ন্যাপের জেবেল রহমান গণি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তুজা, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ পিপলস লীগের গরীবে নেওয়াজ, ন্যাপ ভাসানীর অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোটের এম এ রকিব, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের এ এইচ এম কামরুজ্জামান, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের কমরেড সাঈদ আহমেদ, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির আবু তাহের, খেলাফত মজলিশের মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান, ডেমোক্রেটিক লীগের সাইফুদ্দিন মনি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) রেহানা প্রধান, বিএনপির উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল প্রমুখ

Please follow and like us:

Check Also

আবুল কাশেম কোন প্রতিহিংসার রাজনীতি করেননি,তাই জনগণ তাকে বার বার নির্বাচিত করতেন: সাতক্ষীরায় মিয়া গোলাম পরওয়ার

সাতক্ষীরা সংবাদদাতাঃ কলারোয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, উপজেলা জামায়াতের প্রথম সভাপতি, বাংলাদেশ পরিবহন মালিক সমিতির …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।