মানছে না নিষেধাজ্ঞা, নিচ্ছে যাত্রীও মহাসড়কে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান

ক্রাইমবার্তা রিপোট:দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ। আপনজনদের সঙ্গে ঈদের ছুটি ভোগ করতে রাজধানী ছাড়তে ব্যস্ত মানুষ। এরই মধ্যে ফাঁকা হয়ে গেছে ঢাকা। শেষ মুহূর্তে বাড়ি ফেরা মানুষের স্রোত এখন টার্মিনাল ও রেলস্টেশনের দিকে। লাগেজ-ব্যাগ নিয়ে যে যেভাবে পারছে ছুটছে আপন ঠিকানায়। চাহিদার তুলনায় বাহনের সংখ্যা অপ্রতুল হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যেতে হচ্ছে বাড়ির পথে। এতে করে ঈদযাত্রা হয়ে উঠছে শবযাত্রা। গতকালও দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটেছে।ঈদের তিন দিন আগে মহাসড়কে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান চলাচলের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা অমান্য করে প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে যাত্রী পরিবহন। ফলে ঈদের আনন্দ বিষাদে পরিণত হচ্ছে। এ ছাড়া যানজট আর অতিরিক্ত ভাড়ার ভোগান্তি তো আছেই। সব কিছুকে ছাপিয়ে গতকাল দিনভর মানুষের স্রোত ছিল পথে পথে। 4

গতকাল সকাল থেকেই বাস, ট্রেন ও লঞ্চে অতিরিক্ত বোঝাই হয়ে যাত্রীরা ছোটেন বাড়ির পানে। রাজধানীর গাবতলী, সায়েদাবাদ ও মহাখালী টার্মিনালে ছিল মানুষের ভিড়। কিন্তু সময়মতো বাসে উঠতে না পারায় অনেকের চোখেমুখে ছিল বিরক্তির ছাপ। যানজটের কারণে সময়মতো টার্মিনালে গাড়ি না ফেরায় ছাড়তেও বিলম্ব হয়েছে। বাসের জন্য ৩-৫ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে দেখা যায় অনেক যাত্রীকে। কেউবা নির্ধারিত এসি বাস না পেয়ে সময় বাঁচাতে উঠে পড়েন সাধারণ বাসে। আর যারা অগ্রিম টিকিট ছাড়া বাড়ি ফিরতে ইচ্ছুক তারা দর কষাকষি করে ধরছেন বিভিন্ন টাউন সার্ভিস। এতে ভাড়া কিছুটা কম হলেও অন্য সময়ের তুলনায় বেশি রাখা হচ্ছে। ঈদ বখশিশের নামে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। বাধ্য হয়ে মোড়ায় বসে, ছাদে চড়ে রওনা হতে হচ্ছে যাত্রীদের। বাস না পেলে বিকল্প বাহনেও ভরসা করছেন কেউ কেউ। ট্রাক, পিকাপ বা কাভার্ডভ্যানে চড়েও পাড়ি জমিয়েছেন ঘরের পথে। এতে দুর্ঘটনাও ঘটছে।ঈদে ঘরে ফিরতে ব্যাকুল স্বল্প আয়ের মানুষগুলো জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছেন। গতকাল ভোরে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার কলাবাগান এলাকায় ট্রাক উল্টে নিহত হয়েছেন ১৬ জন। তারা গাজীপুর থেকে ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছিলেন। ট্রাকের ছাদের ওপর থাকা সিমেন্টের বস্তায় বসেছিলেন। ট্রাক উল্টে সেই বস্তার নিচে চাপা পড়ে প্রাণ গেছে তাদের। আহত অবস্থায় হাসপাতালে ছটফট করছেন অনেকে। ওই ঘটনায় সর্বমহলে প্রশ্ন জেগেছেÑ ঈদের এ সময় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গাজীপুর থেকে রংপুর পর্যন্ত দীর্ঘপথ কীভাবে পাড়ি দিল ওই ট্রাকটি। গত মঙ্গলবার রাজধানীর মালিবাগে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে এক যাত্রীর করুণ মৃত্যু হয়। ট্রেনের ছাদে এবং বগির সংযোগস্থলে যেভাবে যাত্রীরা চড়ছে তাতে যে কোনো সময় বড় ধরনের প্রাণহানি ঘটতে পারে। একই অবস্থা লঞ্চেও। ঈদের কারণে লঞ্চে মালামাল বহনের পরিবর্তে যাত্রীবোঝাই চলছে। গতকাল সদরঘাটে পাশাপাশি দুটি লঞ্চের সঙ্গে ধাক্কায় যাত্রীদের পানিতে পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। অথচ গাদাগাদি করে এভাবে যাত্রী তোলার ঘটনায় বড় ধরনের প্রাণহানি নিকট অতীতেই ঘটেছে।সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঈদের আগের তিন দিন দেশের মহাসড়কগুলোতে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরি ও অন্যান্য ভারী যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। গতকাল ভোরে প্রাণহানির ঘটনার পর টনক নড়েছে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের। মহাসড়কে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ট্রাক চলাচলের বিষয়টি স্বীকার করে তা দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন তারা। ওই ঘটনায় তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া ওই ট্রাকের (রংপুর-ট-১১-০৩২৮) রেজিস্ট্রেশন বাতিল করেছে বিআরটিএ। এ ছাড়া মহাসড়কে সরকারি আদেশ অমান্যকারী ট্রাক, লরি, কাভার্ডভ্যানের বিরুদ্ধে গতকাল অভিযান চালায় সংস্থাটি। এরপর ৮৬ লাখ ৭৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় এবং ৬ জন চালকের কারাদ- দিয়েছে।এদিকে গতকাল দুপুরে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মহাসড়কগুলোর কোনো কোনো এলাকায় আজও এ ধরনের কিছু যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। ভারী যানবাহনের মালিক এবং চালকদের প্রতি সরকারি আদেশ যথাযথভাবে পালনের অনুরোধ জানাচ্ছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। অন্যথায় নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারী পরিবহনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য, জ্বালানি, খাদ্যদ্রব্য, ওষুধ, পচনশীল দ্রব্য এবং গার্মেন্টসসামগ্রী বহনকারী পরিবহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।রংপুরে সড়ক দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এদের ঈদের আনন্দ মাটি হয়ে গেছে। পরিবারগুলো পথে বসে যাবে। এ জন্য আমি ড্রাইভারদের আরও সতর্কভাবে গাড়ি চালানোর জন্য বলব।গতকাল সরেজমিন স্টেশনে স্টেশনে ঘরমুখী মানুষের ভিড় দেখা গেছে। অনেকেই বাস না পেয়ে ট্রাক, পিকআপ বা বিকল্প পরিবহনে গন্তব্যে যাচ্ছে। টাঙ্গাইল, গাজীপুর ও সিরাজগঞ্জ এলাকায় যানজটের কারণে তাদের বাসগুলো সময়মতো ঢাকায় পৌঁছতে পারছে না। ফলে ছাড়তেও দেরি হচ্ছে। টাঙ্গাইলে বিচ্ছিন্ন জট আর সিরাজগঞ্জে ২১ কিলোমিটার সড়কে যান চলাচলে ধীরগতির কারণে গাড়ি না ফেরায় ঢাকার গাবতলী, কল্যাণপুর ও গাজীপুর থেকে উত্তরের পথের যাত্রীদের বাসের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।তবে গতকাল সকালে গাবতলী বাস টার্মিনালে ঈদযাত্রা পরিদর্শনে গিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে জট বিগত ১০ বছরের তুলনায় কম। ধীরগতি আছে, সেটি সহনীয়। আগেকার যে কোনো সময়ের চেয়ে মহাসড়কে যাত্রার মান এবার ভালো। ভোগান্তি কম। ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গের দিকে চলাচলে চন্দ্রায় যে দীর্ঘ জট লেগে থাকত, গত ১০ বছরের চেয়ে এবার সেটি কম। আজও অনেক জায়গায় রাস্তায় কিছুটা ধীরগতি আছে। এটা অতিরিক্ত চাপের কারণে।এর আগে সকাল ১০টায় সেখানে পৌঁছে বিভিন্ন কাউন্টারে গিয়ে যাত্রী ও ব্যবস্থাপকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং ঈদযাত্রার খোঁজখবর নেন মন্ত্রী। গাবতলীর পর দুপুরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক পরিদর্শনে গিয়ে সাভারের হেমায়েতপুরে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানেও ঈদযাত্রায় মহাসড়ক পরিস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, নির্বিঘেœ গাড়ি চলাচল করছে। কোনাবাড়িতে নির্মাণাধীন ফোর লেনের কারণে যানজট হওয়ার কথা ছিল, সেখানেও যানজট নেই।এদিকে দূরপাল্লার নিয়মিত গাড়িগুলোর বিলম্বের কারণে কিছু টাউন সার্ভিসের বাস এসে যাত্রী নিয়ে রওনা হচ্ছে। উত্তরবঙ্গে যাত্রী নামিয়ে ফিরতি পথে বগুড়ার মোকামতলা থেকে সিরাজগঞ্জের কড্ডা, বঙ্গবন্ধু সেতু, টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা ও গোড়াইয়ে যানজটে পড়তে হচ্ছে বলে জানালেন মিতালি স্পেশাল ও ফাইভ স্টার পরিবহনের কাউন্টার ব্যবস্থাপক মুক্তার হোসেন।বগুড়ার যাত্রী রমজান আলী বলেন, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে গাড়ির জন্য পাঁচ ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছি। তার পরও বাস না পেয়ে টাউন সার্ভিসের একটি বাসে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হচ্ছি। এতে মাথাপিছু এক হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে। অন্য সময় এ ভাড়া ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা।গতকাল সকালে গাবতলীতে হানিফ পরিবহনের এক চালকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গাইবান্ধা থেকে ঢাকায় আসতে সময় লাগে সাধারণত সাত ঘণ্টা। কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তাদের যে গাড়ি ছেড়েছে, সেটি পৌঁছেছে সকাল ৭টার দিকে। কল্যাণপুর থেকে জয়পুরহাটগামী শ্যামলী পরিবহনের ৭টার বাস ছেড়েছে ৯টায়। আর নওগাঁগামী সকাল ৭টার বাস সাড়ে ৯টায়ও ঢাকায় আসতে পারেনি। নওগাঁর যাত্রী রাকিব বলেন, সকাল ৭টা থেকে কাউন্টারে অপেক্ষা করছি, বলছে জ্যাম। অপেক্ষা ছাড়া আর কী করব?হানিফ পরিবহনের সকাল সাড়ে ৯টার গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায় কামরুলকে, তিনি যাবেন গাইবান্ধায়। কাউন্টার ম্যানেজার একেএম রইসুল আলম সবুজ সকাল ১০টার দিকে বলেন, ওই গাড়ি গাজীপুরের চন্দ্রায় জটে আটকে আছে। আমাদের নন-এসি বাসগুলো ম্যানেজ করে ছাড়ার চেষ্টা করছি। এসি গাড়ি সময়মতো না পৌঁছার কারণে রাতের চারটি গাড়ি সকালে ছেড়েছি। বিভিন্ন জায়গায় জ্যাম থাকায় এ বিলম্ব হচ্ছে।গতকাল সকালে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট আবদুল গনি জানান, বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে হাটিকুমরুল পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার রাস্তা দুই লেনের। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগসহ খুলনা বিভাগের কয়েকটি জেলার গাড়ি ওই পথে যায়। ঈদ উপলক্ষে গাড়ির সংখ্যা বেশি থাকায় সেখানে ২১ কিলোমিটার সড়কে গাড়ি চলছে থেমে থেমে।এ ছাড়া গাজীপুরে উত্তরের পথের যাত্রীদের শনিবার সকালেও বাসের অপেক্ষায় কাউন্টারগুলোয় ভিড় করতে দেখা গেছে। কাউন্টারগুলো থেকে যথাসময়ে বাস ছেড়ে যাচ্ছে না। কখন বাস আসবে আর কখন ছেড়ে যাবে তাও কেউ বলতে পারছে না। ভোগড়া বাইপাস সড়কে তানজিলা ট্রাভেলসের কাউন্টার ব্যবস্থাপক মো. ইব্রাহিম বলেন, সিরাজগঞ্জের সড়কের রেস্তোরাঁগুলোয় বাস ঢুকতে ও বের হতে গিয়ে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত। গাজীপুরে তানজিলা ট্রাভেলসের একটি বাসের চালক মিরাজ বলেন, সিরাজগঞ্জে জটের কারণে পঞ্চগড় থেকে গাজীপুরে পৌঁছতে ৮ ঘণ্টার পথে প্রায় দ্বিগুণ সময় লেগেছে।বিলম্বে চলছে ট্রেন: গতকাল সকাল ৯টায় রংপুর এক্সপ্রেসের কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ছেড়েছে দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে। গত ৪ দিন ধরেই এ ট্রেনটি দেরি হচ্ছে। এ ছাড়া গতকাল তিস্তা এক্সপ্রেস সকাল সাড়ে ৭টায় ছাড়ার কথা থাকলেও স্টেশন ছেড়ে গেছে সকাল পৌনে আটটায়। ৮টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা নীলসাগর এক্সপ্রেসের। ৩৫ মিনিট দেরিতে সেটি চিলাহাটির উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। এ রকম কয়েকটি ট্রেন দেরি করে গতকাল।এ ব্যাপারে কমলাপুরের স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে ট্রেন ছাড়তে কিছুটা দেরি হচ্ছে। রংপুর এক্সপ্রেস গতকাল গেছে দেরিতে, এ কারণে আজ ঢাকায় ফিরতে দেরি হচ্ছে।উপচেপড়া ভিড় লঞ্চে: ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাট টার্মিনালে ঈদে ঘরমুখী মানুষের ব্যাপক চাপ লক্ষ্য করা গেছে। প্রায় প্রতিটি লঞ্চই অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে টার্মিনাল ছাড়ছে। লঞ্চগুলোর ভেতর ও ছাদ যাত্রীতে ঠাসা ছিল। সেহরির পর থেকে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা লঞ্চঘাটে আসতে থাকেন। অনেকে লঞ্চ ছাড়ার নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই ঘাটে আসেন। ভোর থেকেই যাত্রীর চাপ রয়েছে। শুক্রবারের ঈদযাত্রায় সারা দিনে ঘাট থেকে ১২৫টি লঞ্চ ছেড়েছে, যেখানে স্বাভাবিক সময় দিনে ৬০ থেকে ৬৫টি লঞ্চ ছেড়ে যায়। গতকাল বিকালে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শনিবার সবচেয়ে বেশি লঞ্চ ঢাকা ছেড়েছে।এদিকে গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদরঘাটে একটি দুর্ঘটনা ঘটে। সুন্দরবন ১১ ও ঈগল ৩ নামের দুটি লঞ্চ টার্মিনালে ভেড়ার সময় পরস্পরের সঙ্গে ধাক্কা খায়। পাশে ছিল একটি খেয়া নৌকা। লঞ্চ দুটির ধাক্কায় খেয়া নৌকার চার যাত্রী পানিতে পড়ে যান। তিনজন সাঁতরে উঠে আসতে সক্ষম হন। এক নারী নিখোঁজের খবর জানা যায় তাৎক্ষণিক।এর আগে দুপুর ১২টার দিকে লঞ্চ ছাড়তে দেরি হওয়ায় যাত্রীদের সঙ্গে লঞ্চকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা-চরফ্যাশন রুটের এমভি ফারহান-৫ লঞ্চে এ সংঘর্ষ হয়।গতকাল দুপুরে র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ সদরঘাট পরিদর্শন করেন। ঘরমুখী যাত্রীদের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত না করার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।বিআইডব্লিউটিএর নৌনিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক সাইফুল হক খান বলেন, কোনো অবস্থাতেই ছাদে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ছাড়তে দেওয়া হবে না। অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার ব্যবস্থাপনা ভালো।

Please follow and like us:

Check Also

নতুন যোগ হচ্ছে ২০ লাখ দরিদ্র

মূল্যস্ফীতির কশাঘাত মোকাবিলায় ২০ লাখ ২৬ হাজার দরিদ্র মানুষকে নতুন করে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।