এমপি ফারুক ফের প্রমাণ করলেন তিনি গণমানুষের নেতা

আলিফ হোসেন, তানোর
রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) সংসদীয় আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও (সাবেক) শিল্প প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধূরীকে কেনো সাধারণ মানুষ কর্মী-জনবান্ধব ও গণমানুষের নেতা উপাধী দিয়েছেন সেটি তিনি আরো একবার প্রমাণ দিলেন। এসব কারণে নির্বাচনী এলাকার দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের জোর দাবি মন্ত্রীসভায় এমপি ফারুক চৌধূরীকে স্থান দিতে হবে। আর বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিতে জননেত্রী ও প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন নির্বাচনী এলাকার আপামর জনগণের। সম্প্রতি, তানোর উপজেলা অডিটেরিয়ামে ১৬২তম সাওতাল বিদ্রোহ দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করতে তিনি রাজশাহী শহরের নিজ বাড়ি থেকে তানোরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন এবং যাত্রা পথে তানোরের একটি ফসলের মাঠে প্রচন্ড রোদে কিছু সাওতাল নারী-পুরুষ শ্রমিককে ধান কাটতে দেখে, তিনি পায়ে হেটে সেখানে উপস্থিত হন ও এসব শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন তাদের খোজখবর নেন। এদিকে এমপিকে দেখে এসব শ্রমিকরা বিশ্বয়ে হতবাক ও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। ক্ষমতাসীন দলের একজন এমপি প্রচন্ড রোদ উপেক্ষা করে এভাবে পায়ে হেটে এসে সাধারণ শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন সেটা তারা কখনও কল্পনাও করতে পারেননি আবার এর পূর্বে এমন ঘটনাও ঘটেনি। এমপিকে কাছে পেয়ে তারা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ে ও আনন্দ তাদের চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ে। এ সময় সাঁওতাল শ্রমিক কার্তিক টুডু ও বিশরা হেমরম অশ্র“সজল চোখে আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, সরকারের একজন এমপি তাদের সঙ্গে হাতে হাত রেখে কথা বলবেন সেটা তারা কখনও কল্পনাও করেননি। একজন রাজনৈতিক নেতা কতটা মেধাবী, রাজনৈতিক দূরদর্শীতা সম্পন্ন, কর্মী-জনবান্ধব ও সাধারণ মানুষপ্রিয় হলে এমনটি হয় এমপি ফারুক চৌধূরী সেটি আবারো প্রমাণ করলেন।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, এমপি ফারুক চৌধূরী ব্যক্তি স্বার্থের উর্দ্ধে উঠে দীর্ঘসময় রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন। রাজনীতিতে সুস্থধারা, সহাবস্থান, স্পস্টবাদী, মৃদুভাষী, পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ, রাজনৈতিক দূরদর্শীতা ও তার নেতৃত্বের গুণে গণমানুষের নেতা হিসাবে রাজশাহী অঞ্চলে দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষ, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের কাছে সমানভাবে জনপ্রিয়। রাজশাহী অঞ্চলের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ যে কোনো সমস্যায় ছুটে আসেন তাঁর কাছেই। সমস্যার সমাধান পাওয়া না পাওয়া বড় কথা নয়, কিšত্ত তিনি মনোযোগ দিয়ে তাদের কথা শোনেন। দেশ স্বাধীনের পর পরই রাজশাহী অঞ্চল বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। কিšত্ত ওমর ফারুক চৌধূরী বিগত ২০০১ সালের ৮ মে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। এর পর শুধু তানোর-গোদাগাড়ী নয় রাজশাহীর প্রতিটি অঞ্চলে তিনি নিরলস ছুটে বেড়িয়েছেন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অবস্থান সুদৃঢ় করতে, ফলে তাঁর হাত ধরে ও নেতৃত্বের গুনে রাজশাহী অঞ্চলে আওয়ামী লীগের আজকের এই নবউঙ্খান হয়েছে। রাজশাহী অঞ্চলে আওয়ামী লীগের এখন যে গণজোয়ার ও শক্ত অবস্থান তার সিংহভাগ কৃতিত্ব ওমর ফারুক চৌধূরীর। জামায়াত-বিএনপির দূর্গ বলে পরিচিত রাজশাহীতে এক সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিনা বাধায় কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারেনি, এমনকি প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগের নেতা বা কর্মীর পরিচয় দিতেও তারা ভয় করতেন। কিšত্ত ওমর ফারুক চৌধূরী রাজশাহী আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসার পরে সেই চিত্র পাল্টে যায়, তার নেতৃত্বের গুনেই আওয়ামী লীগে সৃষ্টি গণজোয়ার। দীর্ঘসময় ধরে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তিনি থেকেছেন সামনের সারিতে। দল ও জনগণের অধিকার রক্ষার তিনি একজন পরীক্ষিত ও লড়াকু সৈনিক। প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি তৃণমুল নেতাকর্মীদের সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন, এখনো যাচ্ছেন কখনই নেতাকর্মীদের বিপদে ফেলে পিছুটান দেননি। তার আপোষহীণ ভূমিকা ও গতিশীল নেতৃত্বের কারণে এই অঞ্চলে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নাটকীয় পরিবর্তন এসেছে। তিনি প্রচলিত রাজনৈতিক ধারায় থাকলেও অর্থলিস্পা ও লোভ-লালসার স্রোতে গা ভাসিয়ে দেননি। তিনি তৃণমুল নেতাকর্মীদের সঙ্গে থেকে এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন সংগ্রাম। এই সংগ্রাম রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন সূচনার ও দিনবদলের সংগ্রাম। বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের উন্নয়ন ধারাকে এগিয়ে নিতে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। রাজশাহীর প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামসহ দলের প্রতিটি রাজনৈতিক অবস্থানে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এখনো আছেন। নিরঅহংকার, শান্ত-শিষ্ট ও মৃদুভাষী কিšত্ত কর্তব্য পালনে অত্যন্ত কঠোর প্রচার বিমূখ এই মানুষটি আজ রাজশাহী অঞ্চলের গৌরব, আওয়ামী লীগের কান্ডারী, আওয়ামী লীগের একজন কর্মী ও জনবান্ধব পরীক্ষিত নেতা। রাজশাহী মহানগর, জেলা বা উপজেলা যেখানেই তিনি যান সেখানেই সাধারণ নেতাকর্মীদের মাঝে মিশে যান। তিনি তাদেরই প্রতিনিধি হিসাবে শোনেন সুখ-দুঃখ ও বঞ্চনার কথা তাঁর মতে তৃণমুল নেতাকর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ।
জানা যায়, মুক্তিযদ্ধের চেতনাপুষ্ট পারিবারিক আবহে বেড়ে উঠেছেন ওমর ফারুক চৌধূরী। বিগত ২০০০ সালে ব্যাপক আলোচিত রাজশাহী চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং একই বছর রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘সিআইপি’ নির্বাচিত হন। ২০০৫ সালে রাজশাহী জেলার কাউন্সিলের মাধ্যমে তিনি রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। ২০০৬ সালে রাজশাহী মহানগরীর মাদরাসা মাঠে মহাজোটের সফল ঐতিহাসিক মহা সমাবেশের আয়োজনে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তিনি স্বচ্ছ আয়কর প্রদানকারী হিসেবে জাতীয় পুরুস্কার, বনায়ন করার জন্য জাতীয় প্রথম পুরুস্কার, কৃষি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় পুরুস্কারসহ বিভিন্ন বিষয়ে একাধিক পুরুস্কার লাভ করেছেন। তিনি তানোর-গোদাগাড়ীর সর্বস্তরের সমস্ত মানুষকে নিয়ে দলমতের উর্দ্ধে উঠে এই অঞ্চলের মানুষের শিক্ষা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এলাকার উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে আগামীতেও আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় নিয়ে আসতে দলমত নির্বিশেষে সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
এদিকে তানোর-গোদাগাড়ীর দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষ ওমর ফারুক চৌধূরীকে মন্ত্রী সভায় অর্ন্তভুক্ত করার জোর দাবি করেছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত এ অঞ্চলে আওয়ামী লীগের রাজনীতি আরো প্রতিষ্ঠিত ও সাংগঠানিক কার্যক্রম গতিশীল রাখতে অবশ্যই ওমর ফারুক চৌধূরীকে মন্ত্রী সভায় অর্ন্তভুক্ত করতে হবে, নইলে এ অঞ্চলে রাজনীতির মাঠে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আওয়ামী লীগ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ হিসেবে তাঁরা বলেন, বিগত সরকারের সময়ে এখানে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এখানকার সংসদ সদস্য। ওই সময়ে এলাকায় অনেক উন্নয়ন কর্মকান্ড করা হয়েছে। তাঁর পর থেকে এই নির্বাচনী আসনটি হেভিওয়েট মর্যাদা লাভ করেছে। এখান থেকে যারাই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তাঁরা সব সময় সরকারের মন্ত্রী সভায় ঠাঁই পেয়েছে। এমপি ওমর ফারুক চৌধূরীও এক বার স্বল্প সময়ের জন্য শিল্প প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বপালন করেছেন। অবশ্য ইতমধ্যে ওমর ফারুক চৌধূরী বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ের উন্নয়ন কর্মকান্ডকে ছাড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন। আর সেই উন্নয়ন কর্মান্ডকে ছাড়িয়ে যাওয়ার পাশপাশি উন্নয়ন কর্মকান্ডকে আরো গতিশিল করতে ওমর ফারুক চৌধূরীকে মন্ত্রী করতে হবে। সাধারণের দাবি হেভিওয়েট মন্ত্রীর এলাকা থেকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন ফারুক চৌধূরী। আর এটা করা না হলে আগামী সংসদ নির্বাচনে ব্যক্তি ওমর ফারুক চৌধূরী নয় কার্যত আওয়ামী লীগের ক্ষতিগ্রস্ত হবার শঙ্কা রয়েছে। ফলে এমপি ওমর ফারুক চৌধূরীকে মন্ত্রীসভায় অর্ন্তভুক্ত করার দাবির প্রতি সাধারণ মানুষের সমর্থন দিন দিন বাড়ছে। #
তানোর প্রতিনিধি
তাং-৮ আগস্ট ২০১৭
মো-০১৭১১-৪১৭৪৬৬

Please follow and like us:

Check Also

সোনাই নদীর পাড়ে দুই বাংলার মানুষের মিলন মেলা ২২বছর পর সাতক্ষীরা সীমান্তে নৌকাবাইচ

দীর্ঘ ২২ বছর পর সাতক্ষীরার কলারোয়া সীমান্তের সোনাই নদীতে আবারও অনুষ্ঠিত হলো নৌকাবাইচ। ঈদের দিন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।