ক্রাইমবার্তা রিপোট:ঢাকা: সংসদে দলের বিরুদ্ধে ভোট দিলে আসন শূন্য হওয়া সংক্রান্ত সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে ষোড়শ সংশোধনীর রায়ে আপিল বিভাগের দেয়া পর্যবেক্ষণ মানা বাধ্যতামূলক বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার সকালে সংসদে নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দেয়ার কারণে সংসদ সদস্য পদ শূন্য হওয়া সংক্রান্ত সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে রিটের শুনানির সময় এমন মন্তব্য করেন হাইকোর্টের একটি দ্বৈতবেঞ্চ। সুপ্রিমকোর্টের অবকাশকালীন ছুটির এক সপ্তাহ পর এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেছেন আদালত।
গত এপ্রিলে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ। এতে ৭০ অনুচ্ছেদ কেন সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আবেদন করা হয়। রিট আবেদনে জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সংসদ সচিব ও আইন সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কোনো আদেশ এলে বিচার বিভাগের সাথে নির্বাহী বিভাগের দূরত্ব আরও বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
উল্লেখ্য, ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, ৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোনো সংসদ সদস্য নিজ দলের বিরুদ্ধে ভোট দিলে তার সংসদ সদস্যপদ থাকবে না। এতে বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, ৭০ অনুচ্ছেদ সংসদের স্থায়িত্ব ও দলের সদস্যদের মধ্যে শৃঙ্খলা ধরে রাখার জন্য একটা ব্যবস্থা মাত্র। একজন সংসদ সদস্য যদি দরকষাকষির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন বা সন্দেহ হয় যে তিনি দরকষাকষির সঙ্গে যুক্ত, তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিধান সংবিধানে নেই। এ অবস্থায় তারা বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা কিভাবে নিতে চান? দল যদি কোনো ভুল সিদ্ধান্ত বা নির্দেশনা দেয় তার বিরুদ্ধে ভোট বা মতামত দেয়ার সুযোগ সংসদ সদস্যদের নেই। তারা দলের নীতিনির্ধারক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হন। ৭০ অনুচ্ছেদ বলবৎ থাকাবস্থায় বিচারক অপসারণ ক্ষমতা সংসদের হাতে গেলে একজন বিচারককে দলীয় নীতিনির্ধারকের করুণা অনুযায়ী চলতে হবে। বিচারক অপসারণ ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে গেলে তার প্রভাব বিচার বিভাগে পড়বে।
Check Also
আলিপুর ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন জিয়াউল ইসলাম জিয়া
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার সদরের আলিপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী …