রোহিঙ্গাদের জন্য এখনই প্রয়োজন ৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার: জাতিসংঘ

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার মুখে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য শিগগির ৭ কোটি ৭০ লাখ ডলারের প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
শনিবার আন্তর্জাতিক সংস্থাটির ঢাকা কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, “সীমান্ত পেরোনো লোকজনের সংখ্যা দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় এখানকার আশ্রয় শিবির ও বসতিগুলোর উপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি হয়েছে। “পাশাপাশি স্থানীয় জনগোষ্ঠীও নতুন আসা ব্যাপক সংখ্যক মানুষের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে।”

রাখাইনে নির্যাতনের মুখে ২৫ অগাস্ট থেকে অন্তত ২ লাখ ৯০ হাজার রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে বলে জাতিসংঘের ধারণা। এর ফলে সীমান্ত জেলা কক্সবাজারে রোহিঙ্গার সংখ্যা বেড়ে তিনগুণ হয়েছে।

রোহিঙ্গাদের জন্য নতুন বসতি স্থাপন ও সম্প্রসারণ দ্রুত হলেও ছিন্নমূল এসব মানুষের জন্য মৌলিক সেবা খুবই অপ্রতুল। পরিস্থিতি মোকাবেলায় জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক ত্রাণসংস্থাগুলো তিন লাখ শরণার্থী ধরে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তাদের থাকার ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।17

নতুন পরিকল্পনার আওতায় এই ৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার দিয়ে নতুন করে আসা এসব মানুষের জন্য দ্রুত প্রয়োজনীয় সেবা পৌঁছে দেবে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো।
বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক রবার্ট ওয়াটকিনস বলেন, “অত্যন্ত দুরবস্থায় পড়া এসব মানুষ প্রাণের ভয়ে ঘরবাড়িসহ সবকিছু ছেড়ে নিঃস্ব অবস্থায় পালিয়ে বাংলাদেশে আসছে। এটা থামবে না বলেই মনে হচ্ছে, তাই তাদের জরুরি প্রয়োজনে সাড়া দিতে গেলে কক্সবাজারে কর্মরত সংস্থাগুলোর কাছে পর্যাপ্ত সম্পদ থাকা চাই।”

সর্বশেষ সংকটের আগে থেকেই সংস্থাগুলো মাঠে সক্রিয় থাকলেও রোহিঙ্গাদের এবারে ঢল তাদের হতভম্ব করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন ওয়াটকিনস।
“নতুন আসা এসব মানুষের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ৬০ হাজার ঘর তৈরির প্রয়োজন। তার সঙ্গে দরকার খাদ্য, সুপেয় পানি এবং মানবিক স্বাস্থ্যসেবা বিশেষজ্ঞ ও যৌন সহিংসতা থেকে বেঁচে যাওয়াদের জন্য সহায়তাসহ সার্বিক স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা করাও জরুরি।”
জরুরি ত্রাণ সহায়তার জন্য এর মধ্যে জাতিসংঘের জরুরি ত্রাণ তহবিল থেকে ৭০ লাখ ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এই অর্থ দিয়ে শরণার্থী শিবিরের ভেতরে ও বাইরে ৭৫ হাজার মানুষের জীবন বাঁচানোসহ মৌলিক সেবা নিশ্চিত করা হবে বলে জানান তিনি।

Please follow and like us:

Check Also

‘জলবায়ুু পরিবর্তন’ —– ঝুঁকিতে উপকূলের ৪০ শতাংশ কৃষিজমি

বাস্তুচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা দুই লাখ ৪০ হাজার কৃষকের আবু সাইদ বিশ্বাস,সাতক্ষীরাঃ ‘জলবায়ুু পরিবর্তনে সবচেয়ে বড় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।