কলারোয়ায় বোয়ালিয়া মুক্তিযোদ্ধা কলেজের অধ্যক্ষ ও দপ্তারকে মারপিট ॥ থানায় অভিযোগ #ইউরিয়া সার কিনতে যাওয়ায় কৃষককে মারপিট!

ফিরোজ জোয়ার্দ্দার,স্টাফ রিপোর্টার,
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় বোয়ালিয়া মুক্তিযোদ্ধা ডিগ্রী কলেজের অধ্যাক্ষ ফারুক হোসেন ও দপ্তরীকে মারপিট করে আহত করার অভিযোগ করা হয়েছে। শনিবার সকালে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ৫নং কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা আফজাল হোসেন হাবিলের ইন্ধনে কতিপয় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা অধ্যাক্ষের অফিস কক্ষে প্রবেশ করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। কলেজ অধ্যাক্ষ উপজেলার কলাটুপি গ্রামের মোমিন মোড়লের ছেলে ফারুক হোসেন (৪৮) বলেন, শনিবার সকাল ৯ টার দিকে তিনি কলেজে পৌছে তার অফিস কক্ষে দাপ্তরিক কাজকর্ম করছিলেন। এ সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বোয়ালিয়া গ্রামের মৃত ইনতাজ আলী সরদারের ছেলে আফজাল হোসেন হাবিলের ইন্ধনে বোয়ালিয়া গ্রামের নজরুল গাজি, নজরুল বিশ্বাস, শরিফুল ইসলাম, আজিজুল সরদার, মামুন গাইন, সাগর হোসেন, পাঁচপোতা গ্রামের শেখ রুহুল কুদ্দুস, হরিনা গোয়াল চাতর গ্রামের আব্দুস সামাদ অবৈধ জনতাবদ্ধে তার অফিস কক্ষে প্রবেশ করে অশ্লিল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে নজরুল ইসলাম তার জামার কলার ধরে চেয়ার হতে উঠাইয়া এলোপাতাড়ীভাবে চড়,কিল ও ঘুষ মারিতে থাকে এবং অন্যরা অফিস কক্ষে রক্ষিত গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে তাকে টেনে হেছঁড়ে মারতে মারতে বাইরে কলেজ গেটে নিয়ে ফেলে দেয় এবং তার পকেটে থাকা ১৭,৩০০ টাকা ও হাত ঘড়ি ছিনিয়ে নেয়। পরে তারা আবারও সংঘবদ্ধ হয়ে তাকে লোহার রড দিয়ে মারপিট শুরু করলে কলেজের দপ্তরী বোয়ালিয়া গ্রামের মৃত আছির উদ্দীনের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪৩) ঠেকাতে ছুটে আসলে তাকেও মারপিট করে এবং তার কাছে থাকা ৯,৩০০ টাকা ও হাত ঘড়ি ছিনিয়ে নেয়। এ সুযোগে তিনি প্রাণভয়ে কলেজ থেকে দৌড়ে পাশ্ববর্তী জনৈক আব্দুল গফুরের বাড়িতে আত্মগোপন করে। পরে ওই সব সন্ত্রাসীরা জানতে পেরে চেয়ারম্যানের হুকুমে ওই বাড়ির মালিককে জিম্মি করে তাকে ঘর হতে বাহির করে আনে। এ সময় পুলিশ খবর পেয়ে তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থল গেলে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায় । পরে তিনি কলারোয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হইয়া প্রাথমিক চিকিৎসা নেন বলে জানান। ইউপি চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন হাবিল জানান, এ বিষয়ে তিনি কোন কিছু খবর রাখেন না। কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথ জানান, এ ঘটনায় তিনি একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। তবে অভিযোগটি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কলারোয়া ইউরিয়া সার কিনতে যাওয়ায় কৃষককে মারপিট!
ফিরোজ জোয়ার্দ্দার,স্টাফ রিপোর্টার,
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সার ডিলা্েরর দোকানে ইউরিয়া সার কিনতে গেলে এক কৃষককে মারপিট করার অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় গত ৬ সেপ্টেম্বর কৃষিমন্ত্রী, কৃষি সচিব ও সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর প্রতিকার চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাঠানো হয়েছে। প্রেরিত অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, উপজেলার সোনাবাড়িয়া গ্রামের মৃত মোকছেদ আলীর পুত্র কৃষক জব্বার (৫০) তিন বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করেছে। ওইসব জমিতে সার দেওয়ার জন্য গত ৩ সেপ্টেম্বর রোববার সন্ধ্যায় কৃষক জব্বার উপজেলার সোনাবাড়িয়া বাজারে বিসি আইসি ডিলার নূরুল ইসলামের দোকানে সার কিনতে যায়। এ সময় সার ডিলারের পিতা ইছাহক আলী সার দিতে অস্বীকার করে চোরাই বাজার থেকে ১১৫০ বস্তা দরে সার কিনে নিতে বলে। এতে কৃষক জব্বার ক্ষুব্ধ হয়ে কড়া প্রতিবাদ করলে দোকানে কর্মরত ডিলারের ভাগ্নে মনিরুল আকস্মিক ভাবে কৃষক জব্বারের মুখে সজোরে আঘাত করে। এতে রক্তাক্ত জখম হয়ে কৃষক জব্বার মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পার্শ্ববর্তী লোকজন এসে কৃষক জব্বারকে উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করে। ডিলার নূরুলের কারসাজিতে সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নে সার সংকট এবং সরকার নির্ধারিত ১৬ টাকা কেজি দরের ইউরিয়া ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে সার ডিলার নূরুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি স্বীকার করে বলেন, কৃষক জব্বারের প্রতি অন্যায় করা হয়েছে। সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম মনিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বিসি আইসি ডিলার নূরুল বেশ কিছু দিন যাবত ইউরিয়া সার নিয়ে কৃষকদের সংঙ্গে অসাদাচারণ ও হয়রানী করে আসছে। কলারোয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহসিন আলী ঘঁনাটি সম্পর্কে তিনি জানেন না বলে জানান।
ফিরোজ জোয়ার্দ্দার,স্টাফ রিপোর্টার,
০ ১ ৭ ১ ৩ ৯ ১ ৬ ৫ ৬ ৫

Please follow and like us:

Check Also

সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৯ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল

 ক্রাইমবাতা রিপোট: সাতক্ষীরা:সাতক্ষীরার সুন্দরবন ঘেষা শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল রেছেন। আর …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।