রোহিঙ্গা ইস্যু : চীন-রাশিয়ার অবস্থানে আওয়ামী লীগ হতাশ

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী দেশ চীন ও রাশিয়ার অবস্থানে হতাশ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বিশ্বের প্রভাবশালী এ দু’টি দেশের হস্তক্ষেপে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের সর্বশেষ বৈঠকটিও সিদ্ধান্তহীনভাবে শেষ হওয়ায় বেশ চিন্তিত আওয়ামী লীগ ও সরকারের নীতিনির্ধারকেরা।

সঙ্কট নিরসনে সরকারের জোরালো কূটনৈতিক তৎপরতায় ‘ম্যানেজ’ করা যাচ্ছে না দেশ দু’টিকে। শুধু তাই নয়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ মিত্র চীনের দ্বিমুখী অবস্থানে চরম ক্ষুব্ধ তারা। সরকারের প্রভাবশালী নীতিনির্ধারকদের বক্তব্যেও তেমনটি ফুটে উঠছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিপুল পরিমাণ ত্রাণসহ সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকলেও শক্তিধর দেশগুলোর নেতিবাচক প্রভাবে জাতিসঙ্ঘের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দৃশ্যমান না হওয়ায় রোহিঙ্গা পরিস্থিতি শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় তা নিয়ে বেশ চিন্তিত সরকার। তবে সঙ্কট নিরসনে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সরকারের কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে।

আওয়ামী লীগ ও সরকারের একাধিক সূত্র জানায়, বাংলাদেশের ওপর রোহিঙ্গাদের এ চাপকে সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে সরকার। সরকারের প্রভাবশালী নীতিনির্ধারকেরাও সে বিষয়টি অকপটে বলে আসছেন। এ ইস্যুতে বাংলাদেশের ওপর শুধু অতিরিক্ত শরণার্থীর চাপই নয়, বরং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও নতুন মাত্রা যোগ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু ও সহযোগী এবং বাংলাদেশের উন্নয়নের বিপক্ষে রাষ্ট্রগুলোর মাঝে একটি সীমারেখা তৈরি করতে পারে এ রোহিঙ্গা ইস্যু, যা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নির্ণয়ে সহযোগিতা করতে পারে। সেজন্য রোহিঙ্গা ইস্যুকে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে তা মোকাবেলার জন্য সর্বাত্মকভাবে কাজ করছে সরকার।

সূত্রগুলো জানায়, বাংলাদেশের প্রভাবশালী উন্নয়ন সহযোগী দেশ চীন শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মিয়ানমারকেই সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। সঙ্কটের শুরুর দিকে জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে রোহিঙ্গা ইস্যু আলোচনায় ভেটো দেয় দেশটি। সরকারের কূটনৈতিক তৎপরতা এবং জাতিসঙ্ঘের বারবার মানবিক আহ্বানের পরও দেশটি কোনোভাবেই নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করছে না। এমন প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল (অব:) ফারুক খান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা: দীপু মনির নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের শক্তিশালী একটি টিম চীন সফর করে। প্রায় সপ্তাহখানেক সফর শেষে গত বুধবার দেশে ফেরে ওই প্রতিনিধিদল।

আলাপকালে টিমের একাধিক সদস্য জানান, সফরে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়ন বিভাগের ভাইস মিনিস্টার লি জুনসহ কমিউনিস্ট পার্টির উচ্চপর্যায়ের নেতাদের সাথে বৈঠক করেন তারা। এ সময় রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরা হয়।

মিয়ানমারের বিমানবাহিনী বাংলাদেশের আকাশসীমা অতিক্রম করার বিষয়টিও অবহিত করা হয় চীনকে। এ ছাড়া আগামী ১৮ অক্টোবর চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ১৯তম সম্মেলন। সেই সম্মেলনে রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক জোরদারে ভূমিকা রাখতে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির কাছে আহ্বান জানানো হয়। রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারকে চাপ দিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য চীনের প্রতি জোর আহ্বান জানান তারা। জবাবে লি জুন প্রতিনিধিদলকে জানিয়েছেন, আগামী এক থেকে দেড়-দুই বছরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে চীন ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। এ ছাড়া রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে চীন সহায়তা দেবে বলেও জানান তিনি। আর আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিদলের সফরকালীন সময়েই বাংলাদেশে ত্রাণসামগ্রী পাঠায় চীন।

আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশে চীনের ত্রাণ পাঠানোকে বেশ ইতিবাচক হিসেবে দেখছিল সরকার। এটিকে সরকারের কূটনৈতিক বিজয় হিসেবে দেখছিলেন সরকারের নীতিনির্ধারকেরাও, কিন্তু রোহিঙ্গা ইস্যুতে শুক্রবার জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশন চীন ও রাশিয়ার ভেটোতে কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হওয়ায় অবাক হন তারা। বিষয়টি নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াও দেখিয়েছে সরকার।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘চীন ও রাশিয়া বৃহৎশক্তি। তারাও আমাদের বন্ধুদেশ। তবে চীন ও রাশিয়া রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবেলায় মিয়ানমারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, যা খুব দুঃখজনক। তবে এটা তাদের শেষ পদক্ষেপ হিসেবে আমরা মেনে নিতে চাই না। এর মধ্যে চীন আবার মানবিক সাহায্যও পাঠাচ্ছে। আমাদের কথা হচ্ছে, এক দিকে মানবিক সাহায্য, অন্য দিকে রোহিঙ্গা নির্যাতনকেও সমর্থন করা, এটা দ্বিচারিতা। এটি কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতন মধ্যযুগের বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। মিয়ানমারের বর্বর গণহত্যাকে সমর্থন করা দুঃখজনক ও দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের এ মানবিক সঙ্কটে তারা যথাযথ ভূমিকা পালন করবে, এটাই আমরা আশা করি।’

এ দিকে বাংলাদেশের আরেক বন্ধুরাষ্ট্র রাশিয়াও একইভাবে মিয়ানমারের অবস্থানকে অব্যাহত সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্য দেশগুলোকে নাক না গলানোর আহ্বান জানাচ্ছে দেশটি। শুক্রবার রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে চীনের সাথে রাশিয়া ভেটো প্রদান করে মিয়ানমারকে তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।
অন্য দিকে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অন্যতম বন্ধু ভারত শুরু থেকেই মিয়ানমারের পক্ষে অবস্থান নেয়। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর ইতিহাসের জঘন্য ও বর্বর নিপীড়ন এবং বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ঢলের মধ্যেই মিয়ানমার সফর করে জোরালো সমর্থনের কথা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর কয়েক দিন পরই ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভেটো প্রদান করে ভারত।

শুধু তাই নয়, রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করে ভারতে থাকা ৪০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত পঠানোর ঘোষণাও দেয় ভারত। বিষয়টি নিয়ে খানিকটা বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে বাংলাদেশ সরকার। রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারতের ভূমিকা নিয়ে জাতিসঙ্ঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমালোচনা এবং বাংলাদেশের জোরালো কূটনৈতিক তৎপরতার মুখে খানিকটা অবস্থান বদল করে ভারত। এর অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করে উদ্বেগ জানান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। একই সাথে এর এক দিন পরই রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ পাঠায় ভারত সরকার। তবে ভারত মিয়ানমারে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির কথা ভাবছে বলে সম্প্রতি রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়। মিয়ানমার নৌপ্রধানের ভারত সফরে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বিষয়টি মিয়ানমারের প্রতি ভারতের জোরালো সমর্থনের ইঙ্গিত বহন করে।

অপর দিকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রথম দিকে খানিকটা নীরবতা অবলম্বন করলেও পর্যায়ক্রমে সরব হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ইস্যুতে মিয়ানমারের সমালোচনা করে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন দেশটির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তারা। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য ২৩ মিলিয়ন ডলার সাহায্যের ঘোষণাও দেয়া হয়েছে। তবে সম্প্রতি জাতিসঙ্ঘ অধিবেশনের এক ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কুশল বিনিময়ের সময় শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা প্রসঙ্গ উঠালে ট্রাম্প কোনো মন্তব্য করেননি। বিষয়টি নিয়ে খানিকটা মর্মাহত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা ঘটনাটি উল্লেখ করে বলেন, রোহিঙ্গা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কিছু আশা করি না। কারণ, ট্রাম্পের কাছে বিষয়টি তুলেছিলাম; কিন্তু তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

সরকারের সূত্রগুলো জানায়, বাংলাদেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর সাথে রোহিঙ্গাদের অতিরিক্ত এ চাপ মোকাবেলায় প্রতিবেশী ভারত, চীন, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করছে বাংলাদেশ। কিন্তু উল্লেখিত প্রভাবশালী দেশগুলোর ভূমিকা এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে মিয়ানমারকে সরাসরি সমর্থন বাংলাদেশকে হতাশ করেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকাকেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন।

গত ২১ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন টাইমসে প্রকাশিত এক নিবন্ধে জয় রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আসা ঠেকাতে মিয়ানমারের ওপর জরুরিভাবে আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগ করা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করে বলেন, বিশেষ করে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে।

তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে বাংলাদেশের জিরো টলারেন্স অবস্থানের প্রশংসাকারী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানেন, এ অস্থিতিশীল অবস্থা ও বাস্তুচ্যুত মানুষের কারণে সন্ত্রাসের প্রজনন ক্ষেত্র তৈরি হতে পারে। বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে সম্প্রতি মোদি এ ইস্যুতে মিয়ানমার সরকারকে চাপ দিয়েছেন। এখন যুক্তরাষ্ট্রের পালা, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একটা বিবৃতি বা টুইট ব্যাপক কর্তৃত্ব তৈরি করবে। এর আগেও যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বাংলাদেশের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে চলমান সহিংসতা বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও দেশটির প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশের প্রয়োজন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের একাধিক সিনিয়র নেতা বলেন, ‘মিয়ানমার যেখানে রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশের ইস্যু বলে মন্তব্য করছে, সেখানে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী বন্ধুপ্রতিম দেশ ভারত, চীন ও রাশিয়ার অবস্থান আমাদের হতাশ করেছে। কারণ, আওয়ামী লীগকে ভারতের প্রকৃত বন্ধু হিসেবে বলা হয়। আর এ সরকারের সাথে চীনেরও গভীর বাণিজ্যিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের বড় বড় উন্নয়নে অংশীদার হিসেবে আছে চীন। বর্তমান সরকারের সময়ই চীনের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ সফর করে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়ে গেছেন। অন্য দিকে রাশিয়ার সাথে জন্মলগ্ন থেকেই সামরিক সম্পর্ক রয়েছে বাংলাদেশের। কিন্তু ভারতের কৌশলী অবস্থান এবং চীন ও রাশিয়ার মিয়ানমারকে সরাসরি সমর্থন আমাদের জন্য চরম বিব্রতকর। তবে সরকার বসে নেই, কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত আছে। আমরা আশা করি, তাদের সমর্থন আদায়ে সফল হবো।’

এক নেতা বলেন, ‘আসলে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিদলের সফরের প্রভাবেই চীন বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ পাঠিয়েছে। কিন্তু তাদের কূটনীতি, পররাষ্ট্রনীতি তথা মনোভাবের কোনো পরিবর্তনই হয়নি। এটি সরকারের জন্য বেশ উদ্বেগের বিষয়।’

আরেক নেতা বলেন, ‘আসলে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমাদের প্রকৃত বন্ধু ও শত্রু কারা তা ফুটে উঠছে। এটি ভবিষ্যতে আমাদের অন্তর্জাতিক সম্পর্ক নির্ণয়ে শিক্ষণীয় হয়ে থাকবে।’

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একজন নেতা বলেন, ‘এ সমস্যা সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ভারত, চীন ও রাশিয়ার সমর্থন আমাদের জন্য বেশি প্রয়োজন। সেজন্য কূটনৈতিক তৎপরতাও সেভাবে চলছে। জাতিসঙ্ঘে ট্রাম্পের সাথে শেখ হসিনার কুশল বিনিময় এবং পরবর্তী মন্তব্যও সেই কৌশলের অংশ। আসলে ট্রাম্পের প্রতি একরকম অনাস্থা দেখিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বিপরীতমুখী চীন ও রাশিয়াকে কাছে পেতে চেয়েছেন। তবে সেই কৌশলও মনে হচ্ছে ব্যর্থ হয়েছে, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত হতাশার বিষয়।’ নয়াদি

Check Also

মালয়েশিয়ার পাম তেলে ইইউ’র নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের শ্রমবাজারে অশনি সংকেত

বন উজাড়, কার্বন নির্গমনের ঝুঁকি এবং পরিবেশের ভারসাম্য নষ্টগত কারণ দেখিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়ার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।