সাতক্ষীরা -খুলনা মহাসড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হলেও কাজে অগ্রগতি নেই

খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কটি দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি জন গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়কটি দুই লেনে উন্নিত হচ্ছে। গল্লামারী জিরোপয়েন্ট হতে আঠারোমাইল পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার খুলনা-সাতক্ষীরা সড়কটি পরিপূর্ণভাবে প্রশস্ত করণের মধ্যদিয়ে দুই লেনে এবং শহর কেন্দ্রীক ময়লাপোতা থেকে জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত তিন কিলোমিটার সড়কটি চার লেনে উন্নিতকরণের পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন হবে। ইতোমধ্যে দরপত্র আহ্বান ও দাখিল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
জানা যায়, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এ মাস থেকে কাজ শুরু হওয়ার কথা। তবে এখনও কাজে কোন অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তবে সড়কটি উন্নীত হলে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরের সাথে খুলনাসহ সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো সহজ হবে। এতে গতি ফিরে পাবে ভোমরা বন্দরের মাধ্যমে আমদানি ও রফতানি কার্যক্রম।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ এমপি বলেন, দুই বছর আগে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কটি উন্নীতকরণের জন্য প্রধান প্রকৌশলের কাছে ডিও-লেটার দিয়েছিলাম। যদিও সড়কটি দু’টি লেনে উন্নীত হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে আরো প্রশস্ত হবে এবং জাতীয় মহাসড়কে উন্নীত হবে। যেহেতু সড়কটি ভোমরা স্থল বন্দরের সাথে সরাসরিভাবে যুক্ত হবে। এছাড়া লোড ক্যাপাসিটি যাতে পর্যাপ্ত থাকে সে ব্যাপারে কার্যকর পদপে নেয়া হবে।
সড়ক ও জনপদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, খুলনা-চুকনগর ও সাতক্ষীরা আঞ্চলিক মহাসড়কটি ২ লেনে উন্নীতকরণ হতে যাচ্ছে। এ সড়কটি জাতীয় মহাসড়কের আওতায় না আসায় চার লেনে উন্নীতকরণ হচ্ছে না। ফলে দনি-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন ভেস্তে যাচ্ছে। পদ্মা সেতু চালু হলে ভোমরা স্থল বন্দরের চাপ কয়েকগুন বেড়ে যাবে এবং ওই সড়কের উপর সবচেয়ে বেশি চাপ পড়বে। এতে যানজটসহ সড়ক দুর্ঘটনা মাত্রা আরো বেড়ে যাবে বলে বিশেষাজ্ঞদের ধারনা। স¤প্রতি সড়কটি পরিপূর্ণভাবে  প্রশস্ত করণের মধ্যদিয়ে দুই লেনে উন্নিত হতে যাচ্ছে। চলতি অর্থ বছরে ১৮ ফুট বিশিষ্ট মুল সড়কসহ দুই পাশে ৬ফুট, ৬ ফুট করে ১২ ফুট প্রশস্ত করণ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। যাহা পরিপূর্ণ ২ লেন (অর্থাৎ ৩০ ফুট) বিশিষ্ট একটি আঞ্চলিক মহাসড়ক। ইতিমধ্যে সড়কটির জিরোপয়েন্ট থেকে আঠারোমাইল পর্যন্ত দু’টি ভাগে মোট ২৮কিলোমিটার দৈর্ঘ এ সড়কটি নির্মাণের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫৪ কোটি টাকা। যাহা গত ২৮ আগস্ট সোমবার ওই কাজের টেন্ডার ড্রপিং হয়েছে বলে জানা গেছে। এ এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কটি জাতীয় মহাসড়কের আওতায় ৪ লেন হবে। এতে সড়ক দুর্ঘটনার হাত থেকে মানুষ বাঁচবে। যান চলাচলের চাপে এবং রাস্তাটি বর্তমানে ভেঙ্গে খানাখন্দ হওয়াতে মৃত্যুপুরিতে পরিনত হয়েছে।

Check Also

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার

প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ইয়াছিন আলীকে গ্রেফতার করা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।