চাপ দিয়ে ‘মিথ্যা’ স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে: ফরহাদ মজহার

ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোর্ট:ঢাকা: অপরহণ নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন কবি, প্রাবন্ধিক ও সমাজচিন্তক ফরহাদ মজহার। ১৫৯ দিন পর বললেন তাকে অপহরণের উদ্দেশ্যে তুলে নেয়া হয়েছিল।
আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রসঙ্গে তিনি জানান, চাপ দিয়ে এবং মারধর করে তার কাছ থেকে এটা আদায় করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শ্যামলির নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘গুম’করার উদ্দেশ্যে আমাকে ধরে নেয়া হয়েছিল। সেখান থেকে উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তথা র‌্যাব জোরাল ভূমিকা রেখেছে। তবে পরে চাপ দিয়ে, নির্যাতন করে আমার কাছ থেকে ‘মিথ্যা’ স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে। ঘটনা আড়াল করার জন্য তাদের এ ভূমিকা উদ্ধার অভিযানের সাফল্যকে ম্লান করে দেয়।

গত ৩ জুলাই ভোরে রাজধানীর শ্যামলীর বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন ফরহাদ মজহার। পরে স্ত্রী ফরিদা আক্তারকে নিজের মোবাইল ফোন থেকে কল করে জানান, তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মেরে ফেলাও হতে পারে। এরপর ওইদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত ছয়বার তার স্ত্রীর কাছে ফোন করে ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।

পরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। ঘটনার ১৯ ঘণ্টা পর যশোরের অভয়নগরে হানিফ পরিবহনের বাস থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিন রাতে ফরিদা আক্তার বাদী হয়ে আদাবর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।

গত ১৪ নভেম্বর সংশ্নিষ্ট আদালতে এ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ফরহাদ মজহার অপহরণের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলা করার অভিযোগে দণ্ডবিধির ২১১ ও ১০৯ ধারায় বাদী ও ফরহাদ মজহারের স্ত্রী ফরিদা আখতার ও ভুক্তভোগী ফরহাদ মজহারের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করার অনুমতিও চাওয়া হয়। আদালতে বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য ছিল।

স্ত্রী ফরিদা আখতারের দায়ের করা ফরহাদ মজহার অপহরণ মামলায় পুলিশের দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে ফরহাদ মজহার ও তার স্ত্রী ফরিদা আখতারের বিরুদ্ধে মামলা করতে আদালতের অনুমতি দেয়ার পর শনিবার গণমাধ্যমের সামনে আসেন তিনি।

ফরহাদ মজহারের স্বজনদের ভাষ্য, গত ৩ জুলাই ভোরে রাজধানীর শ্যামলী রিং রোডের বাসা থেকে বেরিয়ে তিনি নিখোঁজ হন। ওই রাতেই ফরিদা আক্তার তার স্বামীকে অপহরণের অভিযোগে আদাবর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন; যা পরে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়। এই ঘটনা নিয়ে সব মহলে আলোচনার মধ্যে ১৮ ঘণ্টার মাথায় গভীর রাতে যশোরে একটি বাস থেকে নাটকীয়ভাবে ফরহাদ মজহারকে উদ্ধার করে র‌্যাব-পুলিশ। পরদিন সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে আদালতে নেয়া হয়।

ফরহাদ মজহার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে জানান, অপহরণ করে খুলনায় নেয়ার পর তার কাছ থেকে ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল। পরে তাকে নিজের জিম্মায় দেন আদালত।

ফরহাদ মজহারকে অপহরণের ‘মিথ্যা’অভিযোগ দেয়ার অভিযোগে তার ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ আদালতের অনুমতি নেয়ার একদিন পর সংবাদ সম্মেলনে এসে একথা বললেন এই জনপ্রিয় এই সমাজচিন্তক।

সংবাদ সম্মেলনের ভিডিও লিঙ্ক দেখতে এখানে ক্লিক করুন-

————-0————-

‘গুম’ করার উদ্দেশ্যে ধরে নেয়া হয়েছিল বলে দাবি করেছেন ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, তাকে উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জোরালো ভূমিকা রেখেছে, তবে পরে চাপ দিয়ে ও মারধর করে তার কাছ থেকে ‘মিথ্যা’ স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে। ফরহাদ মজহারকে অপহরণের ‘মিথ্যা’ তথ্য দেয়ার অভিযোগে তার ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ আদালতের অনুমতি নেয়ার একদিন পর সংবাদ সম্মেলনে এসে একথা বললেন ফরহাদ মজহার।

ফরহাদ মজহার অভিযোগ করে বলেন, আমি স্বেচ্ছায় বাসা থেকে বের হয়েছি-এই বিষয়টি আমাকে চাপ দিয়ে, এমনকি মারধর করে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে। গত ৩ জুলাই সকালে রাজধানীর শ্যামলীর বাসা থেকে বেরিয়ে ফরহাদ মজহারের নিখোঁজ হওয়ার খবর আসে। বিষয়টি নিয়ে সব মহলে আলোচনার মধ্যে ১৮ ঘণ্টা পর গভীর রাতে নাটকীয়ভাবে যশোরে একটি বাস থেকে তাকে উদ্ধার করে র্যাোব-পুলিশ। এ ঘটনায় ফরহাদ মজহারের স্ত্রী ফরিদা আখতারের করা মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ বলেছে, ফরহাদ মজহারকে অপহরণের প্রমাণ পাননি তারা। পাশাপাশি মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগে মজহার ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করার অনুমতি চাওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার তাদের ওই প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলা করার অনুমতি দিয়েছে আদালত।

 

০৯ ডিসেম্বর ২০১৭,শনিবার:ক্রাইমর্বাতাডটকম/jamuna.tv/আসাবি

Please follow and like us:

Check Also

তালায় ৬০ বছর ধরে অবৈধ দখলে থাকা ৩৩ বিঘা সরকারি জমি উদ্ধার

পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি: খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক সংলগ্ন তালা উপজেলার মির্জাপুর নামক স্থানে ১১.২৬ একর (প্রায় ৩৪ বিঘা) …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।