৪ শত গ্রাহকের টাকা নিয়ে লাপাত্তা নওয়াপাড়ার জনতা সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি

অভয়নগর প্রতিনিধি : অভয়নগর উপজেলার প্রাণকেন্দ্র নওয়াপাড়া পৌরসভার নুরবাগের সোনালী ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংকের বিপরীতে অবস্থিত যশোর খুলনা মহাসড়কের সংলগ্ন পিযুষ কুন্ডুর ভবনের ২য় তলায় বিগত কয়েক বছর যাবৎ জনতা সঞ্চয় ও ঋণদান কো-অপারেটিভ সোসাইটি নওয়াপাড়া এলাকার প্রায় ৪ শত গ্রাহকের সঞ্চিত টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে বলে জানা যায়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নওয়াপাড়া বাজারের বিভিন্ন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতিদিন সঞ্চয় জমা নিত এবং ঋণ আদায় করত। হঠাৎ করে লাপাত্তা হওয়ায় ৪ শত গ্রাহকদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। নুরবাগ খেয়াঘাটের চা বিক্রেতা বাবুল আখতার বলেন, ভাই আমার প্রায় নয়লক্ষ টাকা নিয়ে গেছে। আমার জীবনের সব সঞ্চয় নিয়ে চলে গেছে আমিতো পথের ভিখারী হয়ে গেছি। তার দেখানো সঞ্চয়পত্র হতে জানা যায় , গত ১০.০২.২০১৪, ২৫.১১.২০১৫ ও ১২.০৬.২০১৬ তারিখে পাঁচ বছর মেয়াদী ১ লক্ষ টাকা করে মোট ৩ লক্ষ টাকা ফিক্সড ডিপোজিড করায় শতকরা ১৮ টাকা হারে লভ্যাংশ দেবে বলে। এছাড়া প্রতিদিন সঞ্চয় রেখে তার হিসাব নং এ ১৪৭০০/- টাকা সঞ্চয় জমা আছে। এছাড়াও চায়ের দোকানে পানি সরবরাহকারী রহিমা, কোদলা স্কুলের কর্মচারী সন্তোষ,শাহানাজ, আকিবুর, ইন্জিনিয়ার আব্দুল হকসহ অনেকেই এখন কেঁদে বুক ভাসাচ্ছে। নওয়াপাড়া শাখার ম্যানেজার আরজেদ আলী এ প্রতিবেদককে বলেন ৪২০ জন গ্রাহক তাদের প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা সঞ্চয়ী আমানত এবং আরো ফিক্সড আমানত রয়েছে যার সঠিক হিসাব এই মুহুর্তে জানানো সম্ভব হয়নি।অনেক গরীব লোক এখানে আমানত রেখেছিল।পরিচালকরা শাখা বন্ধ করায় আমরাও বিপদে রয়েছি। বিশ্বস্ত সুত্রে জানা কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের তারাগুনিয়ার খন্দকার রওশান আলীর ছেলে খন্দকার আবুল কালাম আজাদ (চেয়ারম্যান), খন্দকার শরিফুল আলম (এমডি) এবং খন্দকার রফিকুল আলম, তিন ভাই মিলে ২০০৩ সালে তারাগুনিয়ায় প্রধান কার্যালয় খুলে সমবায় সমিতি চালু করে দেশের উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, যশোর, মাগুরা, খুলনা, পাবনা, রংপুর, সিরাজগঞ্জ ও রাজশাহীসহ ৫৬ টি শাখা খুলেছিল। বর্তমানে সবকয়টি শাখায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। প্রায় ৪০০ কর্মকর্তা পড়েছে মহাবিপাকে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে বলেন, সারা দেশে বেশ কয়েক হাজার গ্রাহকের ১০০ কোটি টাকার উপরে আমানত জমা রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে সমিতির চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের ০১৭১৩৯০৫৬৬০ /০১৮৪৫৯৬৬০০০ নাম্বারে যোগাযোগ করলে বন্ধ পাওয়া যায়। সারা দেশে এ সকল ভুক্তভোগিরা সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাদের আমানত উদ্ধারের দাবী জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।

Please follow and like us:

Check Also

কলারোয়া  উপজেলা জামায়াতের প্রথম সভাপতি আবুল কাশেমের ইন্তেকালঃ বঙ্গবন্ধু বিশেষ সুপারিশে  যিনি কারা মুক্ত হন

সাতক্ষীরা সংবাদদাতাঃ কলারোয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, উপজেলা জামায়াতের প্রথম সভাপতি বাংলাদেশ পরিবহন মালিক সমিতির …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।