‘জিতলে গাজী, মরলে শহীদ’- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান টুকু# খালেদার শুভ বুদ্ধির উদয় হবে – স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোর্ট:ঢাকা: ‘জিতলে গাজী, মরলে শহীদ’ উল্লেখ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু নেতাকর্মীদের বলেছেন, চোখ-কান খোলা রাখবেন। যখন যে নির্দেশ আসবে তা পালনের জন্য প্রস্তুত থাকবেন। খালেদা জিয়াকে যদি অপমান করা হয় তার প্রতিশোধ নিতে হবে।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী ও তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের সাথে তার কোনো সম্পর্ক নেই। অথচ সরকার তাকে শুধু অপমান ও হয়রানী করার জন্য মিথ্যা মামলা দিয়েছে। তাকে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কোর্টে বসে রাখা হচ্ছে। সেখানে খাবার ও পানির ব্যবস্থা নেই।

তিনি শুক্রবার বগুড়া জেলা বিএনপির কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও বগুড়া পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট একেএম মাহবুবর রহমান, সাবেক এমপি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন, কেন্দ্রীয় সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মো. শোকরানা, রেজাউল করিম বাদশা, মীর শাহে আলম, আলী আজগর হেনা, ফজলুল বারী বেলাল, অ্যাডভোকেট একেএম সাইফুল ইসলাম, সাবেক এমপি কাজী রফিকুল ইসলাম, মাফতুন আহমেদ খান রুবেল, আব্দুল ওয়াদুদ, সিপার আল বখতিয়ার, মেহেদী হাসান হিমু, দেলোয়ার হোসেন পশারী হিরু, সাইদুল কবির, সুজাউদদৌলা সন্জু, মাসুদ রানা, আলীমুর রাজি তরুন, স্বপন, মোমিন, মানিক, শফিক প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বগুড়া জেলা সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম বলেন, খালেদা জিয়ার জন্য যেকোনো ত্যাগ শিকারে নেতাকর্মীরা প্রস্তুত।

আইয়ূব-ইয়াহিয়া-এরশাদও গণতন্ত্র রুখতে পারেনি: নোমান
ঢাকা: বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, স্বৈরাচার আইয়ূব খান, ইয়াহিয়া খান পরাজিত হয়েছেন। তাদের বন্দুক, রাইফেল কোনো কাজে আসেনি। এরশাদ ক্ষমতায় থাকার জন্য বহু চেষ্টা করেছেন কিন্তু পারেননি। গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র তার বিরুদ্ধে আগামীতে আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে রুখে দাঁড়াব।

শুক্রবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান দুদু, কৃষক দলের সহ-সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, এম এ তাহের, নাজিম উদ্দীন মাস্টার, এ কে এম মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ।

বর্তমান সরকার বিচার বিভাগকে ধ্বংস করেছে অভিযোগ করে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, আজকে বিচার বিভাগকে সরকার গিলে খাচ্ছে। বিচার বিভাগে নিজেদের ইচ্ছা পূরণের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করব।

আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, আমরা এমন এক সময়ে এখানে উপস্থিত হয়েছি যখন দেশে কোনো মানবাধিকার নেই, সুশাসন নেই। দেশের অর্থনীতি আজ ধ্বংসের মুখ। সরকারের ষড়যন্ত্র হচ্ছে আবার দেশে ৫ জানুয়ারির মতো একটি নির্বাচন করা। অথবা নির্বাচনবিহীন নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করে তারা আবার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে চায়।

নোমান বলেন, দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরোধ থাকে, ষড়যন্ত্র থাকে, কিন্তু এই ষড়যন্ত্র আজকে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে। তাকে জনবিচ্ছিন্ন করার অপপ্রয়াসের এই ষড়যন্ত্র, আমরা এই অপপ্রয়াসের বিরুদ্ধে লড়ে যাব।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, দেশের মানুষ যখন এগিয়ে আসছে, আন্দোলন সংগ্রামে মনস্থির করেছে, তখন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তাকে একের পর এক মামলায় জড়িয়ে শাস্তি দেয়ার চক্রান্ত চলছে।

দেশের মানুষ গণতন্ত্র চায়, যে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে এদেশের মানুষ স্বাধীনতা অর্জন করেছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আজকে আবার নতুন করে আমাদেরকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই করতে হচ্ছে। নতুন করে আমাদেরকে মানবাধিকার, সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করতে হচ্ছে।

নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে বিএনপি সরকারের সাথে আলোচনা চায় জানিয়ে নোমান বলেন, আমরা সরকারের সাথে আলোচনা করতে চাই। সরকার না করলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করব।

—————-0————–

ঢাকা: খালেদার শুভ বুদ্ধির উদয় হবে মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, তার আদালতে হাজিরা দেয়ার সময় শোডাউন জনগণ দেখেছেন। এমপি মন্ত্রীরাও আইনের ঊর্ধ্বে নয়। তিনি (খালেদা জিয়া) সাবেক প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। কিন্তু জনভোগান্তি সৃষ্টি তো করতে পারেন না। আশা করছি, তার শুভ বুদ্ধির উদয় হবে।

শুক্রবার জুমার নামাজ পর রাজধানীর মগবাজারস্থ ২৮৮/২, নয়াটোলা, আমবাগানের বায়তুল হাসান জামে মসজিদের দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একথা বলেন।

দেশ থেকে আগামীতে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমরা জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ চলতি বছরে সফলতার সঙ্গে মোকাবেলা করেছি। আগামী নতুন বছরটি হবে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মুক্ত আলোকিত বাংলাদেশ।আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সারা দেশের মানুষ জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। মানুষ বুঝে গেছে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ। এদেশে জঙ্গিবাদী ষড়যন্ত্র অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে তা জনগণ উপলব্ধি করেছে।

তিনি বলেন, আমরা জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। নিরাপত্তায় নিয়োজিত বাহিনী ও গোয়েন্দা বাহিনী অত্যন্ত তৎপর। তাদের লোকবল বৃদ্ধি করা হয়েছে। তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্তব্য পালনে তৎপর রয়েছে। আশা করছি, আগামী বছরটি আরও সুন্দর হবে। আমরা আলোকিত বাংলাদেশ দেখতে পাব।

ময়মনসিংহে থানা হেফাজতে নারীকে উলঙ্গ করে নির্যাতনের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় ওসিসহ অভিযুক্ত কয়েকজনের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয় কোনো তদন্ত কিংবা পদক্ষেপ নেবে কি-না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আমরা যেটা জেনেছি ওই নারীর কাছে কিছু অবৈধ মালামাল ছিল। পুলিশ তা জব্দসহ ওই নারীকে গ্রেপ্তার করে। এ কারণে তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন কি-না তা তদন্তের বিষয়। অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হবে। সত্যতা মিললে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আসাদুজ্জামান খানের বার্মা সফর থেকে কতটুকু আশা করা যায়?
রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে আলোচনার জন্য বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সোমবার মায়ানমারে গিয়েছেন। মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেছেন, মায়ানমারের সাথে আলোচনার মাধ্যমে এই সঙ্কট কাটিয়ে উঠার একটা উপায় বের করা সম্ভব হবে। খবর বিবিসির।

এর আগে মায়ানমারের নেত্রী অং সান সুচির মন্ত্রী কিউ টিন্ট সোয়ে যখন ঢাকায় আসেন তখনি বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের মায়ানমারে সফরের বিষয়টি উঠে আসে। এ বছরের ২৫ আগস্টের পর মায়ানমারের রাখাইন থেকে কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে প্রবেশ করার পর এই প্রথম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সেখানে যাচ্ছেন।

সোমবার দুপুরে মায়ানমারের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিবিসি বাংলাকে বলেন, রোহিঙ্গাদের কবে, কিভাবে ফিরিয়ে নেয়া হবে সে ব্যাপারে তিনি মায়ানমারের সরকারের সাথে আলোচনা করবেন। ‘যারা মিয়ানমারের অধিবাসী তারা এখানে বাধ্য হয়েই চলে এসেছে। তাদেরকে কিভাবে ফেরত নেবে, কবে নেবে সেটাও আমি বলবো।’

তিনি বলেন, ‘কফি আনান যে দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন এবং প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে যে পাঁচটা পয়েন্ট তুলে ধরেছিলেন সেটা আলোচনার মাধ্যমে কোন সমাধান করা যায় কিনা সেটা নিয়ে কাজ করবো।’ বৈঠকে বাংলাদেশ নাফ নদীর সীমানা চিহ্নিতকরণ, সীমান্তের লিয়াজো অফিস ছাড়াও নিরাপত্তার ঝুঁকিজনিত নানা দিক মায়ানমারের কাছে তুলে ধরা হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিরাপত্তা ইস্যুতে রোহিঙ্গাদের নিয়ে চিন্তিত না হলেও, দুই দেশের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে একটা সংলাপ হতে পারে।

কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে কতটা সমাধান আশা করা যায়?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক রোজানা রশিদ বলছিলেন, মায়ানমারের রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক ইতিহাস ইতিবাচক কোন ইঙ্গিত দেয় না।

তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় যেটা তারা বলছে সেটা তারা বিশ্বাস করে না এবং করবেও না। এবং আন্তর্জাতিক মহলের চাপও তারা উপেক্ষা করতে পারে। তাদের যে রাজনৈতিক কালচার এবং কূটনৈতিক কালচার তাতে করে মনে হয় না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খুব একটা সফল হবেন।’

বিশ্লেষকেরা বলছেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট অনেক বেশি রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক কারণ। আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক অনেক রাষ্ট্র এখানে জড়িত। সুতরাং দুই দেশ চাইলেই যে এই সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে, সেটা খুব একটা সহজ হবে না।

২৯ ডিসেম্বর,২০১৭ শুক্রুবার:ক্রাইমর্বাতা.কম/প্রতিনিধি/আসাবি

Check Also

হাফিজের কাছ থেকে রাজনীতিতে উৎসাহ না পেয়ে চলে যান সাকিব

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনীতির বিষয়ে উৎসাহিত হয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।