হঠাৎ গুলশান কার্যালয় ও খালেদার বাসভবনের সামনে গোয়েন্দা পুলিশ!#বিএনপি নেতা আজিজুল বারী হেলালসহ ৬ জন আটক

ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোর্ট:ঢাকা: বুধবার সন্ধ্যা থেকেই হঠাৎ বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয় ও বাসভবনের সামনে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবস্থান নিয়েছে। ঘিরে ফেলা হয়েছে বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবনের আশেপাশের পুরো এলাকা।বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসব কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সন্ধ্যার পর থেকেই পুরো গুলশান এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। সাধারণ পথচারীদের দফায় দফায় চেক করা হচ্ছে।

 নয়াপল্টনে দলের কার্যালয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘সরকার যে ভয়ঙ্কর খেলায় মেতে উঠেছে সেই লক্ষণ স্পষ্ট।’ তিনি অভিযোগ করেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয় ও বাসভবনের সামনে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবস্থান নিয়েছে।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বাসভবনের সামনে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবস্থান নিয়েছে। জানি না এর কারণ কী। সরকার যে ভয়ঙ্কর খেলায় মেতে উঠেছে সেই লক্ষণ স্পষ্ট।’

রুহুল কবির রিজভী জানান, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আদালতে আসা-যাওয়ার পথে আজ বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া পুলিশের লাঠিপেটায় ৫০ জন আহত হয়েছেন।

রিজভী বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ব্যাপক জনপ্রিয়। এ কারণে আওয়ামী লীগ সরকার তা সহ্য করতে পারছে না।’

তিনি আরো বলেন, ‘সরকার একের পর এক কালো আইন তৈরি করছে, যেন তার বিপক্ষে কেউ টু শব্দটি না করতে পারে।’

এর আগে রাজধানীর মগবাজার এলাকা থেকে বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলালসহ ৬ জনকে আটক করে পুলিশ।

রাত ৮টার পর পুলিশ তাদেরকে তুলে নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

এসময় বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আজীজুল বারী হেলালকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ‘তুলে নিয়ে গেছে’ বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বুধবার রাত পৌনে ৮টায় মগবাজার ওয়ারলেস গেট থেকে তাকে তুলে নেওয়া হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, ‘মগবাজার মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বাসায় ফেরার পথে সাদা পোশাকের পুলিশ আজিজুল বারী হেলালকে তুলে নিয়ে গেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। এখন প্রশাসনের পক্ষে স্বীকার করা হচ্ছে না। আমরা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় আছি।’

অন্যদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে কারাগারে পাঠানোর নির্শেদ দিয়েছেন আদালত। শাহবাগ থানায় দায়ের হওয়া মামলায় বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম মাহমুদুল হাসান তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গয়েশ্বরের বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদনের কথা থাকলেও কোনো রিমান্ড আবেদন করেনি মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তিনি।

রাজধানীর হাইকোর্ট এলাকায় পুলিশের প্রিজন ভ্যানে হামলা ও ছাত্রদলের দুই কর্মীসহ তিন নেতাকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় নির্দেশদাতা হিসেবে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের বিরুদ্ধে তিনটি পৃথক মামলা করা হয়। রমনা ও শাহবাগ থানায় তিনটি মামলা দায়ের হয়।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রহিদুল ইসলাম ও এসআই চম্পক বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় পৃথক দুটি এবং রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মহিবুল্লাহ রমনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

থানা সূত্রে জানা গেছে, মামলায় সরকারি কাজে বাধা দেয়া, পুলিশের ওপর হামলা, রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নসহ বেশ কয়েকটি ধারা জুড়ে দেয়া হয়েছে।

রমনা থানার মামলায় গয়েশ্বর ও মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ শীর্ষ ৪৪ বিএনপি নেতার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের নির্দেশক্রমে সাত-আটশ’ জন হামলা চালায়। রমনা থানার মামলার বাদী এসআই মহিবুল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে শাহবাগ থানায় দুটি মামলায় রিজভীসহ শীর্ষ নেতাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ওসি আবুল হাসান।

————–0———————-

বিএনপি নেতা আজিজুল বারী হেলালসহ ৬ জন আটক

ঢাকা: বিএনপির তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলালসহ ছয়জনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ।
বুধবার রাত পৌনে ৮টার দিকে ঢাকার মগবাজারের বাসা থেকে পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে যায় বলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানিয়েছেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, সন্ধ্যায় মগবাজার ওয়ারলেসের বাসা থেকে সাদা পোশাকে পুলিশ আজিজুল বারী হেলালকে তুলে নিয়ে গেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। কিন্তু পুলিশ এখন অস্বীকার করছে বলেও জানান তিনি।
তবে আটক হওয়ার পর কোন থানায় নেয়া হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত করেনি দলটি। এদিকে এ ব্যাপারে জানতে রমনা থানায় যোগাযোগ করা হলে তারাও কোনো তথ্য দিতে পারেনি।
ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হেলাল বর্তমানে বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক।
তাকে গ্রেফতারের বিষয়ে পুলিশের কোনো ভাষ্য পাওয়া যায়নি।
গয়েশ্বর ও অনিন্দ্যকে গ্রেপ্তারের ঘণ্টাখানেক পর পুলিশ সেকথা স্বীকার করেছিল।
মঙ্গলবার বিকালে হাই কোর্ট এলাকায় বিএনপিকর্মীরা পুলিশের উপর চড়াও হওয়ার পর রাতে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও কেন্দ্রীয় নেতা অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশের উপর হামলার মামলায় তাদের দুজনকে বুধবার আদালতে পাঠানো হয়। গয়েশ্বরকে পাঠানো হয়েছে কারাগারে, রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে অমিতকে।

Check Also

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার

প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ইয়াছিন আলীকে গ্রেফতার করা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।