‘খালেদা জিয়াকে সাধারণ কয়েদির মতো রাখা হয়েছে’

ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোর্ট:ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ অভিযোগ করেছেন, তাঁর দলের চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে কারাগারে কোনো ডিভিশন দেওয়া হয়নি। তাঁকে সাধারণ কয়েদি হিসেবে রাখা হয়েছে।

আজ শনিবার খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের কাছে মওদুদ এ অভিযোগ করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন খালেদা জিয়ার মামলার আইনজীবী ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী ও অ্যাডভোকেট আবদুর রেজাক খান।

মওদুদ আরো বলেন, খালেদা জিয়া সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং একটি দলের প্রধান। কিন্তু কোনো ডিভিশন দেওয়া হয়নি।

বিএনপি নেতা আরো বলেন, পরিচারিকা ফাতেমাকেও খালেদা জিয়ার সঙ্গে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে অখাদ্য খেতে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

মওদুদ আহমদ বলেন, তার দলের নেত্রীকে নির্জন কারাগারে রাখা হয়েছে, যা আইন ও সংবিধান পরিপন্থী। রায়ের সার্টিফায়েড কপি হাতে পেলে আগামী সোমবার বা মঙ্গলবার উচ্চ আদালতে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানান তিনি।

এর আগে বিকেলে ৪টা ২৫ মিনিটে পাঁচ আইনজীবী কারাগারে প্রবেশ করেন।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করেন বিশেষ আদালতের বিচারক ডা. মো. আখতারুজ্জামান। রায়ে তিনি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।

রায় ঘোষণার পর পরই খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সলিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এঁদের মধ্যে তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান পলাতক।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০১০ সালের ৫ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক হারুন-আর রশিদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

Check Also

আলিপুর ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন জিয়াউল ইসলাম জিয়া

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার সদরের আলিপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।