সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল এর প্যাথলজি পরীক্ষা ডাক্তারদের ভরসা নেই

বিশেষ প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের ডাক্তার কর্তৃক রোগীকে নাজেহাল, ভুল প্যাথলজি রিপোর্টেভরা, সদর হাসপাতালের প্যাথলজি পরীক্ষা কর্তব্যরত ডাক্তারদের ভরসা নেই। তার কারণে সেই প্যাথলজি পরীক্ষা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠানো হয়। এক প্রসূতির ১৪ ও ১৫ মার্চ ২দিন সদর হাসপাতালে গাইনি বিভাগের ডা: কানিজ ফাতেমা।
ওই রোগী দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের পুষ্পকাটি গ্রামের আবির হোসেন লিয়নের স্ত্রী ও  অহিদুজ্জামানের বৌমা খাদিজা খাতুন।
সদর হাসপাতালে ভর্তি রেখে পরীক্ষা নিরিক্ষা দেখায় পরে বাচ্চা ডেলিভারী হওয়ার ডেটওভার হওয়ায় অপারেশনের পরামর্শ দেন। সেই মোতাবেক অপারেশশনের জন্য বাহির থেকে ঔষধপুত্র কেনার জন্য একখানা ঔষদের তালিকা দেয়। রোগীর লোক তৎক্ষনাত ঔষধ গুলো কিনে দেন। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রোগী অপারেশনের জন্য অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। রোগী ওটিতে নেওয়ার ১ ঘন্টা পর ওটির ভিতর থেকে আসা এক ব্রাদারের কাছে  আমাদের রোগীর কখন অপারেশন হবে জানতে চাইলে। উত্তরে তিনি বলেন, আপনাদের রোগীর অপারেশন করা হবে না। তার একটু পরে অপারেশন থিয়েটার থেকে খবর আসে এ রোগীর অপারেশন করা যাবে না কারণ রোগী বি ভাইরাসে আক্রান্ত। যে কারণে অজ্ঞান করা ডাক্তার অজ্ঞান করবে না। অপারেশন থিয়েটারের মধ্যে থাকা একজন নার্স বলেন রোগীকে এক্ষনি খুলনা নিয়ে যেতে হবে। এদিকে রোগীর এমন অবস্থা শীঘ্রই অপারেশন না করলে বাচ্চাটা মারা যাবে। রোগীর লোকজন ডাক্তারের পায়ে ধরে বলে আপনারা ২২ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে বি ভাইরাস সদর হাসপাতাল থেকে পরীক্ষা করলে বি ভাইরাস ধরা পড়ে। এ রিপোর্টগুলো আপনারা ৩ মাস পূর্বে দেখেছেন তারপরও গত বুধবার রোগী ভর্তি করে সদর হাসপাতালে পরীক্ষা ভালো হয়নি বলে ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে পরীক্ষা করা হলে বি ভাইরাস ধরা পড়ে। এ রিপোর্ট গুলো ২দিন ভর্তি অবস্থায় দেখার পরে অপারেশন করতে না পারলে ভর্তি করে রাখা ও অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। সদর হাসপাতাল বি ভাইরাস রোগীর চিকিৎসা হয় না প্রথমে বলে দেওয়া উচিত ছিল।
এদিকে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল ও বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম উক্ত রোগীর সু চিকিৎসার জন্য ডা: কানিজা ফাতিমার বলেন। এসময় তিনি সুচিকিৎসা করার জন্য আশ্বাস্ত করেন। এছাড়াও রোগীর সংকটাপন্ন অবস্থায় ডাক্তার রোগীর অপারেশন করতে না রাজি হলে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম সিভিল সার্জন ডা:তৌহিদুর রহমানের কাছে মোবাইল ফোনে অবগত করালেও তিনি কোন সুরাহ করতে পারেননি। পরবর্তীতে সংগ্রাম হাসপাতালে ভর্তি করে অপারেশন করা হলে রোগী ও বাচ্চা সুস্থ্য হয়।

Check Also

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু

মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। জুড়ী উপজেলার পূর্ব জুড়ী ইউনিয়নের পূর্ব গোয়ালবাড়ি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।