‘মা ও প্রেমিকার দেয়া আগুনে’ শিশুর মৃত্যু, সংকটাপন্ন অন্যজন

ক্রাই্মবার্তা ডেস্করিপোট:  নারায়ণগঞ্জে মায়ের বিরুদ্ধে দুই সন্তানের গায়ে আগুন দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর সন্তান পুড়ে মারা গেলেও আপাতত প্রাণে বেঁচেছে অপর শিশু। তবে তার জীবন নিয়েও আছে শঙ্কা।

জেলার আড়াইহাজার উপজেলার বাড়ৈপাড়া এলাকায় শুক্রবার ভোরে এই ঘটনা ঘটে। আগুনে পুড়ে মারা যায় নয় বছরের হৃদয়, আর হাসপাতালে ভর্তি সাত বছরের শিশু জিহাদ।

পুলিশ এই ঘটনার জন্য শিশু দুটির মা শেফালী বেগমকেই সন্দেহ করছে। তাকে আটকও করা হয়েছে।

বাহিনীটি জানিয়েছে, শেফালীর স্বামী আনোয়ার হোসেন মালয়েশিয়া থাকেন। আর দেশে মোমেন নামে একজনের সঙ্গে তার অনৈতিক সম্পর্ক তৈরি হয় শেফালীর।

বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে শেফালীর ঘরেই ছিলেন মোমেন। আর এটা দেখে ফেলে তার দুই সন্তান। এরপর দুই সন্তানকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তাদের গায়ে শেফালী আগুন ধরিয়ে দেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ঘটনা জানতে পেরে আড়াইহাজার থানা থেকে পুলিশ গিয়ে হৃদয়ের মরদেহ উদ্ধার করে তার মাকে আটক করে।

আর ঝলছে যাওয়া শিশু জিহাদকে উদ্ধার করে পাঠানো হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। পরে সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

আড়াইহাজার হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক উত্তম জানান, জিহাদের একটি হাত ও দুটি পা ঝলসে গেছে।

নিহত হৃদয় ওই এলাকার ৩৫ নং বাড়ৈপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল।

বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সভাপতি জয়নাল আবেদীন জানান, প্রায় ১১ বছর আগে শেফালীর সঙ্গে আনোয়ার হোসেনের বিয়ে হয়। শেফালীর বাড়ি ছিল ঢাকার কেরানীগঞ্জে।

এলাকাবাসী জানায়, উচিৎপুরা ইউনিয়নের বাড়ৈপাড়া এলাকায় শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন শেফালী। এরই মধ্যে স্থানীয় যুবক মোমনের সঙ্গে তার অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠে।

স্থানীয়রা জানান, মোমেনের সঙ্গে সম্পর্কের কথা জানাজানি হওয়ায় শেফালীকে তালাক দেয় স্বামী। কিন্তু সেটি মৌখিক তালাক হওয়ায় শেফালী সন্তানদের নিয়ে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন। আর ঘটনার রাতে মোমেন তার ঘরেই ছিলেন।

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ হক বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শিশুদের মা শেফালীকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেফালী জানিয়েছে তিনি সন্তানদের গায়ে আগুন দেননি। মোমেন আগুন দিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

—————–0—————

স্টাফ রিপোর্টার: পরকীয়ার কথা জেনে ফেলায় প্রেমিকের সহযোগিতায় নিজের দুই শিশুসন্তানকে ঘুমন্ত অবস্থায় কাঁথায় পেঁচিয়ে গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন এক মা।

এতে হৃদয় নামে তার ৯ বছরের এক ছেলে ঘটনাস্থলেই মারা গেছে। দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে তার সাত বছরের ছেলে শিহাবকে।

এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত মা শেফালী বেগমকে। তিনি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার উচিতপুরা ইউনিয়নের বারইপাড়া গ্রামের লিবিয়া প্রবাসী আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী।

শুক্রবার সকালে শিশু হৃদয়ের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের সদস্যরা আরেক শিশু শিহাবকে উদ্ধার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শেফালীর সঙ্গে পাশের বাড়ির মোমেনের দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া চলছিল। বিষয়টি নিয়ে শেফালীর সঙ্গে পরিবারের লোকজনের মনোমালিন্য হয়। এ কারণে নিজ সন্তানদের হত্যার পরিকল্পনা করে শেফালী ও তার প্রেমিক।

শুক্রবার ভোররাতে মা শেফালী ও তার প্রেমিক মোমেন ঘুমন্ত অবস্থায় দুই শিশুসন্তান হৃদয় ও শিহাবকে কাঁথায় পেঁচিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। মুহূর্তের মধ্যে ঝলসে যায় দুই শিশুর দেহ।

এ সময় দুই শিশুর আর্তচিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। তবে এর মধ্যেই আগুনে পুড়ে মারা যায় হৃদয়।

গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় শিহাবকে উদ্ধার করে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করেন।

আড়াইহাজার থানার ওসি এমএ হক জানান, এ ঘটনায় দুই শিশুর মা শেফালী বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে তার প্রেমিক মোমেন পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতার করতে পুলিশি অভিযান চলছে।

Please follow and like us:

Check Also

পৃথিবীর যেসব দেশে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রিরও উপরে

জলবায়ু পরিবর্তনের চরম ভয়াবহতার সাক্ষী হতে যাচ্ছে সারাবিশ্ব। প্রতিদিনই একটু একটু করে বৈরি হচ্ছে আবহাওয়া, …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।