২দিনের মধ্যে মামলা প্রত্যাহার না হলে আবারো মাঠে নামার হুমকি আন্দোনকারীদের

ক্রাইমবার্তা রিপোট:   শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দেয়া মামলা দুই দিনের মধ্যে প্রত্যাহার না করলে আবারো পথে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কোটাবিরোধীরা।

সোমবার সকালে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষন পরিষদ এর ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেন্ট্রাল লাইব্রেরীর সামনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। লিখিত বক্তব্য আন্দোলনের যুগ্ন আহ্বায়ক নূর হোসেন বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনে আমাদের বিরুদ্ধে পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভিত্তিহীনভাবে যে অজ্ঞাতনামা মামলা দিয়েছে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা তা এখনো প্রত্যাহার করেনি। আগামী ২ দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে যে অজ্ঞাতনামা মামলা দিয়েছে তা প্রত্যাহার না করলে ছাত্রসমাজ আবার আন্দোলনে নামবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা আন্দোলন শুরু করার পর থেকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা আমাদের সব কিছু তদন্ত করে দেখেছে। আমাদের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য আছে কিনা। কিন্তু তারা নেগেটিভ কিছু না পাওয়ায় আমাদের হয়রানি করেনি। যখন আমাদের প্রধানমন্ত্রী আমাদের দাবী মেনে নিয়েছে, তখন একটা কুচক্রি মহল আমাদের বিরুদ্ধে বিএনপি জামায়াত বলে অপপ্রচার করার চেষ্টা করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। আমাদের নেতৃত্ব নিয়ে বিতর্কিত করা মানে সরকারকে বিতর্কিত করা। দেশকে অস্থিতিশীল করা।’

তিনি আরো বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচাযের বাসায় হামলা হয়েছে সেখানে কোনো সাধারণ শিক্ষার্থী জড়িত নয়। কিন্তু একটি জাতিয় দৈনিক রিপোর্ট করেছে কেন্দ্রীয় কমিটির একজনের নেতৃত্বে হামলা হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ভিসি বাড়ি হামলার সাথে জড়িতদের তাদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হোক। আমরা সকল ধরনের সহযোগীতা করবো। কিন্তু আমাদের বিরুদ্ধে কেউ মিথ্যা ষড়যন্ত্র করে ফাসানো হয় তাহলে বাংলার ছাত্র সমাজ মানবেনা।’

সংবাদ সম্মেলনে কোটা সংস্কার আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, ‘আমি বর্তমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজি মুহাম্মদ মহসীন হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। আমার পরিবার আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত। আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিভিন্ন অপ্রচার চালানো হচ্ছে।’

সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনের যুগ্ন আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। একটা জাতিয় দৈনিকে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে আমি নাকি সূয সেন হলে ২০১২ সালে ছিলাম। অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি ভর্তি হই ২০১৩ সালে। হলে উঠি ২০১৩ সালে। সেখানে বলা হয়েছে আমি হলে থাকিনা ২০১২ সাল থেকে। অথচ আমি এখনো সূয‌সেন হলে থাকি। আমার যে রুম নাম্বার দেওয়া হয়েছে সেটাও ভুল দেওয়া হয়েছে। রিপোর্টে আমার বাবার নাম ও ভুল দেওয়া হয়েছে। সুতরাং যা তথ্য দেওয়া হয়েছে সব ভুল।’

বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষন পরিষদ এর যুগ্ন আহ্বায়ক ফারুক হোসেন বলেন, ‘আমরা ফেব্রুয়ারি ১৭ তারিখ থেকে শান্তিপূর্ণ অহিংস আন্দোলন করে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে আমরা আন্দোলন থেকে সরে এসেছি। কিন্তু বাংলাদেশের একটা কুচক্রি মহল এখন আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটির বিরুদ্ধে উঠে পঠে লেগেছে। আজকে বাংলাদেশের একটা জাতীয় দৈনিক রিপোর্ট করেছে আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটি নাকি বিএনপি এবং জামায়াতের সাথে জড়িত। অথচ আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে আমাদের ডিটেইলস গোয়েন্দা সংস্থারা নিয়ে গিয়েছে। তারা তখন কিছু পাইনি। কিন্তু হঠাৎ করে আমাদের নেগেটিভলি উপস্থাপন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সারাবাংলার ছাত্র সমাজকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করবেননা। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী। আজকে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার বার্তা সম্পাদক, যে রিপোর্টার এ বানোয়াট রিপোর্ট করেছে আজকে বিকেল ৫ টার মধ্যে এই সংবাদ প্রত্যাহার না করে এবং ক্ষমা না চায় তাহলে আগামীকাল থেকে ইত্তেফাক পত্রিকাকে বর্জন করা হবে।’

Please follow and like us:

Check Also

কারিগরি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে যা বললেন ডিবির হারুন

ভুয়া সনদ সরবরাহে জড়িত থাকার অভিযোগে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদ থেকে সদ্য অব্যাহতি পাওয়া …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।