খুলনা মহানগর পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার ও গাজীপুরের পুলিশ সুপারকে (এসপি) প্রত্যাহার করার আগে তাদেরকে আরো অবজার্ভ করা হবে সিইসি

ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, খুলনা মহানগর পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার ও গাজীপুরের পুলিশ সুপারকে (এসপি) প্রত্যাহার করার আগে তাদেরকে আরো অবজার্ভ করা হবে। বিএনপির অভিযোগ সত্য কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি এই কথা বলেন।

সিইসি বলেন, নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে আলাদাভাবে বসতে হবে। তাদের মতামত নিতে হবে। কমিশনারা যদি সিদ্ধান্তে একমত না হয় তাহলে আমরা প্রত্যাহার নাও করতে পারি। আর প্রত্যাহার করা যদি এত অল্প সময়ের ভেতরে যুক্তিসঙ্গত হয় তাহলে আমরা করতেও পারি।

খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনে পুলিশ বিভিন্নভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে-এমন প্রশ্নের জবাবে কে এম নুরুল হুদা বলেন, এই অভিযোগ সত্য নয়। এমন তথ্য আমাদের কাছে নেই।

খুলনায় নির্বাচনী প্রচারে যাওয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের হোটেল পুলিশ দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে- এটা নির্বাচনী আচরণ বহির্ভূত কিনা এমন প্রশ্নে সিইসি বলেন, ওই হোটেলে কিছু বিদেশি লোকজন আছে। তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে সেখানে পুলিশের অবস্থান। কিন্তু ঘটনাক্রমে ওই হোটেলেই বিএনপির নেতারা অবস্থান করছেন।

সিইসি আরো বলেন, বিএনপি অভিযোগ করেছে, একজন মেয়র প্রার্থী একটি ওয়ার্ডে একটি ক্যাম্প স্থাপন করতে পারবেন। কিন্তু কোথাও কোথাও একের অধিক ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। একাধিক ক্যাম্প স্থাপন নিয়ে তাদের সাথে আলোচনা হয়েছে। এরই মধ্যে আমরা সেখানে চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছি যাতে করে একের অধিক ক্যাম্প কেউ স্থাপন না করতে পারে।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে সিইসির সঙ্গে বৈঠকে বসে বিএনপির প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধিদলে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, বরকত উল্লাহ বুলু ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। বৈঠক শেষে বিকেল সোয়া ৫টার দিকে বিএনপির নেতারা বেরিয়ে আসেন। বৈঠকে বিএনপির নেতারা খুলনা মহানগর পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মো. হুমায়ুন কবির ও গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মদ হারুন অর রশীদকে প্রত্যাহারের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানান।

প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেওয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনের ধারক-বাহক যদি পুলিশ হয়ে যায় তাহলে তো সমস্যা। খুলনায় আমাদের স্থায়ী কমিটির দুজন সদস্য (গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও নজরুল ইসলাম খান) পাঠানো হয়েছে। তারা যে হোটেলে উঠেছেন তার চারপাশে পুলিশ ঘিরে রেখেছে। এতে নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। গাজীপুরে আমাদের যে সিনিয়র নেতারা গেছেন তাদের পুলিশ বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। বলছে, আপনাদের এখানে কী। এজন্য তারা কেএমপি কমিশনার ও গাজীপুরের এসপির প্রত্যাহার চেয়েছেন।

এই ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন থেকে কোনো আশ্বাস পেয়েছেন কি না জানতে চাইলে ড. মঈন খান বলেন, এটা তো আশ্বাসের বিষয় না। নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব নির্বাচনের পরিবেশ বজায় রাখা। তবে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে কথাবার্তা হয়েছে। তারা আমাদের কথা শুনেছে।

Please follow and like us:

Check Also

ইছামতি নদীরপাড় কেটে পাইপ বসিয়ে মৎস্য পয়েন্ট তৈরি: ঝুঁকিতে বেড়িবাঁধ

নিজস্ব প্রতিনিধি: ইছামতি নদীর পাড় কেটে অবৈধভাবে পাইপ বসিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে মৎস্য রেণু প্রসেসিং …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।