শ্যামনগরে ফাজিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠান প্রধানকে আসামী করায় মামলার বাদীকে জীবন নাশের হুমকি

শ্যামনগর সংবাদদাতা : শ্যামনগর কেন্দ্রীয় দারুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠান প্রধান নিয়োগ, ম্যানেজিং কমিটি গঠনের তঞ্চকতা ও ভারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালত, সাতক্ষীরা মামলা করায় বাদীকে নানা ধরনের হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলা নং-৫৩/২০১৮। মামলাটি দায়ের করেন উক্ত মাদ্রাসার সহঃ সুপার মোস্তফা শাহাজাহান সিরাজ। তিনি বিজ্ঞ আদালতে মামলা করায় তার বিরুদ্ধে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আনছার আলী ও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি তাকে চাকরী থেকে বরখস্ত, মিথ্যা মামলা জড়ানো, বেতন ভাতাদী বন্ধ সহ নানাবিধ হয়রানি করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। মাদ্রাসাটি ফাজিল শ্রেণীর পাঠদানের অনুমতি পত্র বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলেও অধ্যক্ষ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে তঞ্চকতা করে সুপারঃ পদে নিয়োগের জন্য কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে। অনানুষ্ঠানিক ভাবে অবৈধ পন্থায় উক্ত পদে মাওঃ এ,এ,এম ওজায়েরুল ইসলাম কে নিয়োগ করতে দৌড় ঝাপ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে মাওঃ এ,এ,এম ওজায়েরুল ইসলাম উক্ত মামলায় প্রভাব বিস্তার করতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আনছার আলীকে সাথে নিয়ে বিজ্ঞ আদালতের স্বরনাপন্ন হয়েছেন। নিয়োগের পূর্বেই মাওঃ এ,এ,এম ওজায়েরুল ইসলাম এ ধরনের কার্যক্রম অনেকের নিকট ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। তার অবৈধ পন্থায় নিয়োগের কার্যক্রমে প্রচুর অর্থের বিনিময়ে কি হচ্ছে ? এ নিয়ে শ্যামনগরে সর্বত্রে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বহমান। নিয়োগের পূর্বেই ঐ মাদ্রাসার সহঃ সুপারঃ মোস্তফা শাহাজাহান সিরাজকে হয়রানি করার অভিযোগটি মাওঃ এ,এ,এম ওজায়েরুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় উঠছে। সূত্রে প্রকাশ, শ্যামনগর কেন্দ্রীয় দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসাটি ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) কর্তৃক গত ১৩/২/২০১৫ তারিখে ইআবি/পরি/ফাজিল-প্রাঃ পা/২০১৭/৩২৪৪ নং স্মারকে প্রেরিত অফিস আদেশ দ্বারা অত্র মাদ্রাসাটি ১৭/২/২০১৭ তারিখ থেকে ১৪/২/২০২১ তারিখ পর্যন্ত ৪ বছরের জন্য নির্দেশক্রমে উক্ত মাদ্রাসায় ফাজিল (¯œাতক) প্রাথমিক পাঠদানের অনুমতি প্রদান করেন। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক মাদ্রাসাটি ফাজিল স্বীকৃত হইলেও দাখিল পর্যায়ে এমপিও ভুক্ত। ফাজিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠান প্রধান পদ অধ্যক্ষ, সুপারঃ কোন পদ নেই। অথচ পত্রিকায় সুপারঃ পদে দরখাস্ত আবেদন আহবান করা হলে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় বিজ্ঞ আদালত মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত প্রধান, ম্যানেজিং কমিটির সকল সদস্যদের বিরুদ্ধে কারন দর্শানোর নোটিশে জারী করেছেন। মাদ্রাসার সুপার মাওঃ ইসমাইল হোসেন অবসর গ্রহন করায় পদটি শুন্য হয়। নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক ব্যক্তিরা জানান, বর্তমানে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক সুপার পদে ১০ জন প্রার্থীর আবেদন পাওয়ার তথ্য পাওয়া যায়। এর মধ্যে ফাজিল মাদ্রাসার উপাধাক্ষ্য মাওঃ মোঃ আবু ইউসুফ, আলিম মাদ্রাসার (আলিম নন এমপিও ভুক্ত) অধ্যক্ষ এ,এ,এম ওজায়েরুল ইসলাম, সুপার মোঃ আবুল কাশেম, মোঃ খবির উদ্দীন, আ.ফ.ম হাবিবুর রহমান প্রমুখ। আবেদনকারীরা অধ্যক্ষ এ,এ,এম ওজায়েরুল ইসলাম এর ঘনিষ্ঠ ও বন্ধু স্বজন। এ প্রতিষ্ঠানে অনেক অর্থের বিনিময়ে হত্যা ও ধর্ষন মামলার আসামী অধ্যক্ষ এ,এ,এম ওজায়েরুল ইসলাম কয়েক মাস জেল হাজত খাটলেও উক্ত পদে নিয়োগের জন্য মাদ্রাসার কমিটি ও বিভিন্ন দপ্তরে দৌড় ঝাপ করার গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তঞ্চকতাপূর্ণ ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিজ্ঞ আদালত মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত প্রধান, ম্যানেজিং কমিটির সকল সদস্যদের বিরুদ্ধে কারন দর্শানোর নোটিশে জারী করায় জবাব দাখিল করতে উক্ত আদালতে গিয়ে এ,এ,এম ওজায়েরুল ইসলাম সহযোগীতা করেছেন। এলাকাবাসী নতুন কমিটি গঠন পূর্বক বিধি মোতাবেক পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে স্বচ্ছতার সাথে প্রতিষ্ঠান প্রধান নিয়োগ করতে এবং মামলার বাদী সহঃ সুপার মোস্তফা শাহাজাহান সিরাজ বিভিন্ন ষড়যন্ত্র থেকে রেহাই পেতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Please follow and like us:

Check Also

‘জলবায়ুু পরিবর্তন’ —– ঝুঁকিতে উপকূলের ৪০ শতাংশ কৃষিজমি

বাস্তুচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা দুই লাখ ৪০ হাজার কৃষকের আবু সাইদ বিশ্বাস,সাতক্ষীরাঃ ‘জলবায়ুু পরিবর্তনে সবচেয়ে বড় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।