২০০৮ সালে জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছি:মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চাই না: শেখ হাসিনা

ক্রাইমবার্তারিপোট: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০১ সালে গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিল। আমি মুচলেকা দিয়ে বাংলাদেশের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষমতায় যেতে চাই না।শনিবার বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তরণ, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, অস্ট্রেলিয়া থেকে ‘গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন এবং ভারতের নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি-লিট ডিগ্রি পাওয়া, দেশের উন্নয়নে অনন্য ভূমিকার জন্যই প্রধানমন্ত্রীকে এ সংবর্ধনা দেয় তার দল আওয়ামী লীগ। এই সংবর্ধনা জনগণকে উৎসর্গ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালে জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছি। দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করছি। কিন্তু ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে বিএনপি নির্বাচন ঠেকানোর আন্দোলন শুরু করে। কারণ নির্বাচন ঠেকাতে পারলে আবার অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীরা ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু দেশের জনগণের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তারা বিএনপির জ্বালাও-পোড়াও ঠেকিয়ে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছে। দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করেছে। আবার বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু বিএনপি আবার মাঝপথে সেটিকে বন্ধ করে দেয়। কারণ তারা দ্বিতীয় দফায় আবার ক্ষমতায় আসে। যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই আমাদের নেয়া উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বন্ধ করে দেয়।

তিনি বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে তাদের বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালের আগে বাঙালি ছিল বীরের জাতি। আর ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সেই বাঙালি হলো খুনি জাতি। কলকাতায় আমরা যে বাসায় ছিলাম সেখানে এক কাপড় বিক্রেতা আসতেন। তিনি আমাদের বললেন- আপনারা কীসের জাতি? যিনি আপনাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন তাকে হত্যা করল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে আমরা আমাদের সম্মান হারিয়েছি।

তিনি বলেন, ১৯৭৯ সালে সুইডেনে আমার বোন রেহানা প্রথম জাতির পিতা হত্যার বিচার দাবি করে। ১৯৮০ সালে আমি লন্ডনে এক সভায় বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার দাবিসহ বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দাবি জানাই।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে জাতির পিতার হত্যার বিচার শুরু করেছি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাজ শুরু করেছি। কিন্তু জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমা করে দিয়েছিল।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ গণসংবর্ধনায় দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য দেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে মানপত্র পাঠ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

Check Also

সাতক্ষীরায় বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় পালিত হলো ৫৪তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস

সাতক্ষীরায় বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় পালিত হয়েছে ৫৪তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। দিবসটি উপলক্ষে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।