পুলিশের বেপরোয়া গ্রেফতার।। মামলা ও হামলা এখন স্বাধীন পরিবেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায়

মোহাম্মদ জাফর ইকবাল : তিন সিটিতে নিরাপদে এবং শান্তিপূর্ণ কায়দায় একতরফা নির্বাচন সম্পন্ন করতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রধানঅস্ত্র পুলিশ, আদালত এবং মামলা। এমন অভিযোগ বিএনপিসহ দেশের বিশিষ্টজনদের। তারা বলছেন, আগামীকাল সোমবার অনুষ্ঠিতব্য রাজশাহী, বরিশাল এবং সিলেট সিটি নির্বাচনের ফলাফল নিজেদের পক্ষে নিতে মরিয়া সরকারি দল। তারা এজন্য পুলিশ, মামলা এবং একইসাথে আদালতকেও ব্যবহার করছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আদালত থেকে বিরোধী নেতাকর্মীদের মামলা ছাড়া গ্রেফতার বা হয়রানি না করার নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণার পরই তিন সিটিতে যথেচ্ছাভাবে বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও আটক করা হচ্ছে। নেতাকর্মীদের কেউই বাসা বাড়িতে থাকতে পারছেনা। অবস্থা এমন যে বিরোধী প্রার্থীরা প্রচারণাও চালাতে পারেনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পুলিশ বিরোধী নেতাকর্মীদের আটক করে অন্য জেলায় নিয়ে ছেড়ে দিয়ে বলছে, নির্বাচনের আগে সিটিতে প্রবেশ করা যাবেনা। আবার অনেকেই ভোটার সিটি কর্পোরেশনে। কিন্তু গ্রামের বাড়ি অন্য জেলায়। এসব বিরোধী ভোটারদের নিজ জেলায় মামলা দিয়ে গ্রেফতার দেখানো হচ্ছে। এছাড়া পুলিশ কিছু মামলা দিচ্ছে যেখানে মূল আসামী ১০ জন। অথচ এর সাথে অচেনা আসামী করা হচ্ছে হাজার জনকে। এর মানে এই মামলার মাধ্যমে পুরো সিটি শহরের মানুষকেই আসামী বানানো যাচ্ছে। পুলিশ যাকে ইচ্ছে তাকে গ্রেফতার করছে। সর্বশেষ সিলেটে বিএনপির ৮০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সিলেটে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী সেলিম যখনই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন তখন থেকে তিনি সেখানে থাকতে পারছেন না। অন্যান্য সিটিতেও যারাই সক্রিয় হচ্ছেন তাদের গ্রেফতার বা হয়রানি করা হচ্ছে। এসব মামলায় আদালত জামিনও দিচ্ছেনা। অথচ শতাধিক কোটি টাকা দুর্নীতির মামলার আসামীকে আদালত জামিন দিচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতীয় নির্বাচনেও এর প্রভাব পড়বে। সরকারি দল একই অস্ত্র ব্যবহার করে সেখানেও জয় ছিনিয়ে নিবে। অবস্থা এমন হয়েছে যে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হয়রানির ভয়ে মানুষ নির্বাচন নিয়ে কথা বলতেও ভয় পাচ্ছে। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন অন্ধের ভূমিকা পালন করছে। দেখেও না দেখার ভান করছে। এসব বিষয়গুলো নিয়ে বার বার অভিযোগ জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেনা।
জানতে চাইলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নির্দেশে ইসি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তিন সিটিতে একতরফা নির্বাচনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে। তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশে তিন সিটি কর্পোরেশনে একপেশে নির্বাচন করার ডিজাইনারের কাজ করে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ প্রশাসন। নির্বাচন কমিশন যে সরকারের হাতের মুঠোয় সেই প্রমাণ নিজেরাই রেখে যাচ্ছে। তিন সিটিতে তফশীল ঘোষণার পর বিনা ওয়ারেন্টে কাউকে গ্রেফতার না করার প্রজ্ঞাপন জারির উদ্যোগ নিয়েছিল ইসি। কিন্তু পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আপত্তির মুখে সেই উদ্যোগ থেকে সরে আসে কমিশন। প্রচারণা শুরুর পর থেকেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে আগ্রাসী আক্রমণ চালাচ্ছে। রিজভী বলেন, তিন সিটিতে নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর পর থেকেই নৌকা মার্কার প্রার্থীদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অসংখ্য অভিযোগ আসতে থাকে। আবার পাশাপাশি বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোট প্রর্থী এবং সমর্থক ও কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান এক চরম পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। গ্রফতারের পর পুলিশ বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের অবস্থানও জানায় না। আর নিবাচন নিয়ে এতো অনাচারের পরেও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে নির্বাচন কমিশন। খুলনা-গাজীপুর নির্বাচনের মতোই আসন্ন তিন সিটি নির্বাচনে বিরোধী দলের ভোটার ও পোলিং এজেন্ট শুন্য করার এক অভিনব কৌশল অবলম্বন করেছে। কিন্তু এসব অভিযোগ জানিয়েও লাভ হচ্ছেনা। তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রে সরকারি দল আদালতকেও ব্যবহার করছে। আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করার পর আদালতে জামিন চাইলে তাদের জামিন দেয়া হচ্ছেনা। অথচ কাউকে গ্রেফতার বা হয়রানি না করতে আদালতের নির্দেশনা রয়েছে।
জানা গেছে, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশ হানা অব্যঅহ রয়েছে। বাসায় গিয়ে তারা পরিবারের সদস্যদের বলেছে ২ আগষ্টের আগে কাউকে যেন সিটি কর্পোরেশন এলাকায় দেখা না যায়। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এলাকায় গণগ্রেফতারের গতি থামছেই না। সেখানে নির্বাচনে নৌকা মার্কার পক্ষে ভোট কারচুপির মহা আয়োজনের আভাস স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। প্রায় ৯০ শতাংশ আওয়ামী সমর্থিত লোকদের পোলিং ও প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ভোটের আগের রাতে নৌকায় সিল মারা ব্যালট পেপার ভোটকেন্দ্রে লুকিয়ে রাখা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ধানের শীষের প্রার্থী। ভোটের আগের দিন প্রিজাইডিং অফিসারদের দিয়ে ভোট কেটে সেটি লুকিয়ে রাখা হবে হেড মাস্টার অথবা এ্যাসিসটেন্ট হেড মাস্টারের রুমে বলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন। সিলেট সিটি নির্বাচনেও রাজশাহী ও বরিশালের মতোই চিত্র। নির্বাচনী এলাকায় ভোটারদের মধ্যে কোন আনন্দ উচ্ছাস নেই, ভোটারদের মনে একটা থমথমে ভাব বিরাজ করছে। বিএনপিসহ বিরোধী জোটের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশ হানা দিচ্ছে, গ্রেফতারও চলছে। ইতোমধ্যে মামলা দিয়ে কয়েক শো নেতাকর্মীকে ঘরছাড়া করা হয়েছে। সিলেটেও নেতাকর্মীদের গ্রেফতার বা হয়রানী না করার জন্য হাইকোর্টের নির্দেশ থাকলেও পুলিশ সেটি অমান্য করে ধৃষ্টতা দেখাচ্ছে। এরই মধ্যে সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের নির্বাচনী কার্যালয়ে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় বিএনপির ৮০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে যুবলীগ নেতা ফারুক আহমদ বাদী হয়ে ৬০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানায় এ মামলা করেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ৩০ জুলাই তিন সিটি নির্বাচন। সরকার পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে নির্বাচনকে ছিনতাই করতে চাচ্ছে। ডাকাতি করে ভোটগ্রহণের জন্য সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। তিনি বলেন, এই দেশের মানুষ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়, বুদ্ধিজীবীররা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়, দেশের সকল দেশপ্রেমিক দল অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় এবং আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রগুলোও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, নিম্ন আদালত বলছে গ্রেফতার করা যাবে না। উচ্চ আদালত বলছে গ্রেফতার করা যাবে না। তারপরও তিন সিটিতে আমাদের নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার করা হয়েছে। কারণ একটাই আবারো সেই গাজীপুর ও খুলনা মার্কা নির্বাচন করতে চায় তারা।
এদিকে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনগুলোতে পুলিশের ভূমিকাই প্রধান হয়ে উঠছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিজেদের ক্ষমতা পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারছে না। অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয় পুলিশের ওপরও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারছে না ইসি। ফলে তিন সিটিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আবার সিটিগুলোতে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায়ও কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না সাংবিধানিক সংস্থাটি। ফলে নির্বাচনের মাঠে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত হচ্ছে না বলে অভিযোগ রাজনৈতিক দলগুলোর। সর্বশেষ খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসির ভূমিকা ছিল দুর্বল। পুলিশের গ্রেফতার এবং বাড়ি বাড়ি অভিযান চালিয়ে এক পক্ষকে মাঠছাড়া করা, বুথ দখল করে ব্যালটে সিল মারা, বিএনপির প্রার্থীর পোলিং এজেন্টকে কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়া, এজেন্টদের তুলে নেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম দেখা গেছে এই দুই নির্বাচনে। তখন বিএনপি বলেছিল, এ দুটি নির্বাচন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা করেননি, পুলিশ আর ডিবির কিছু লোক করেছে। নির্বাচনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল-এই তিন সিটি নির্বাচনেও একই ধরনের আলামত দেখা যাচ্ছে। ভোটের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, পুলিশের তৎপরতা ও ইসির দুর্বলতা তত প্রকাশ্যে আসছে। আইনত তফসিলের পর পুলিশ ও প্রশাসন ইসির নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু বাস্তবে তা কতটুকু, সে প্রশ্ন আছে। ইসির কাছ থেকে কার্যকর পদক্ষেপ না পেয়ে ক্ষমতাসীনদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থীরা সুরক্ষা পেতে আগেভাগে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন। ইতিমধ্যে আলাদা দুটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিলেট ও বরিশালে বিএনপির নেতা, সমর্থক ও নির্বাচনে প্রচারকারীদের গ্রেফতার ও হয়রানি না করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিপরীতে পুলিশও নতুন নতুন কৌশল নিচ্ছে।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, শুধু ইসি চাইলেই একটি ভালো নির্বাচন করতে পারে না। এর জন্য অংশীজনদের বিশেষ করে সরকারের সহযোগিতা দরকার। পুলিশ-প্রশাসন সহযোগিতা না করলে ইসি একা ভালো নির্বাচন করতে পারে না।
জানা গেছে, ১০ জুলাই নির্বাচনী প্রচার শুরু হওয়ার পর থেকেই রাজশাহীতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ধরপাকড় করা হচ্ছে। সেখানে পুলিশকে নতুন কৌশল নিতে দেখা গেছে। এত দিন বিএনপির নেতা-কর্মীদের মহানগরীর বিভিন্ন নাশকতা ও বিস্ফোরক মামলায় গ্রেফতার দেখানো হতো। কিন্তু এখন রাজশাহী শহর থেকে আটক করে তাদের গ্রেফতার দেখানো হচ্ছে আশপাশের বিভিন্ন জেলার মামলায়। গত সোমবার রাতেই রাজশাহী শহর থেকে বিএনপির ১১ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের তিনটি জেলার বিভিন্ন থানায় চালান দেওয়া হয়। গত মঙ্গলবার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দেওয়া অভিযোগপত্রে বিএনপি দাবি করেছে, তাদের ৪৩ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিএনপির অভিযোগ, নির্বাচনী প্রচারণায় সক্রিয় এবং নির্বাচনী এজেন্ট হতে পারেন এমন নেতা-কর্মীদের বেছে বেছে গ্রেফতার করা হচ্ছে। সোমবার দিবাগত রাতে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ ও তার পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহকারী জুরেজ আবদুল্লাহ গুলজারকে গ্রেফতার করা হয়। বরিশালেও বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার ও পুলিশি হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির প্রধান সমন্বয়কারী মির্জা আব্বাস অভিযোগ করেন, বরিশালে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে দৃশ্যপট পাল্টে দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সদস্যরা। প্রচারণা চালানোর সময় বিএনপিসহ বিরোধী নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। বিএনপিপন্থী কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রলোভন দেখিয়ে বসাতে ব্যর্থ হয়ে এখন পুলিশি হয়রানি করা হচ্ছে।
তিন সিটিতে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা। বিধি অনুযায়ী এই অপরাধে জেল-জরিমানা এমনকি প্রার্থীতা বাতিল করারও ক্ষমতা আছে ইসির। কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তারা কিছু কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েই দায় সারছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বড়জোর একই কাজ না করার মুচলেকা দিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছেন।
নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে জানতে চাইলে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মজিবর রহমান সরওয়ার বলেন, বরিশালে আগে ঈদের খুশির মতো নির্বাচন হতো, এখন চোখের জলে নির্বাচন হচ্ছে। এমন নির্বাচন বরিশালবাসী চায়নি। বিএনপির এই মেয়র প্রার্থী বলেন, এখনো সময় আছে, নির্বাচন কমিশন চাইলে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর চলা জুলুম-নির্যাতন বন্ধ করতে পারে। বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি ও হয়রানি করা হচ্ছে। হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। এভাবে নির্বাচন করা যায় না। এখনো সময় আছে, গ্রেফতার-হয়রানি বন্ধ করুন। বরিশালে এখনো সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব।
রাজশাহীতে মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের সব নির্বাচনী কার্যালয় বন্ধ হয়ে গেছে। পুলিশের ভয়ে দলটির নেতাকর্মীরা নির্বাচনী কার্যালয়ে বসতে পারছে না তিন-চার দিন ধরে। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক) নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হওয়ার পর নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে নির্বাচনী ক্যাম্প বা কার্যালয় স্থাপন করেছিল বিএনপি। মূলত মেয়র পদে নির্বাচন ঘিরেই তখন উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছিল ওই সব নির্বাচনী কার্যালয়ে। পরে কর্মীশূন্য হতে হতে একপর্যায়ে বন্ধ হয়ে পড়েছে সেগুলো। রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় বুলবুলের সব নির্বাচনী কার্যালয় বন্ধ দেখা যাচ্ছে বলে জানা গেছে।সংগ্রাম।

Check Also

স্বাধীনতার ৫৩ বছরে আজ প্রশ্ন উঠছে গণতন্ত্র কোথায়: মঈন খান

ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখার জন্য বিরোধী দলের রুদ্ধে এক লাখ মামলা দেওয়া হয়েছে ও তাদের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।