সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে জাতিসংঘে বিএনপি” কেমন দেখছেন অা,লীগ ঘরওয়ানা বুদ্ধিজিবিরা

ক্রাইসবার্তা ডেস্করির্পোটঃদেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে বিএনপির আহ্বানে সাড়া দিয়েছে জাতিসংঘ। গত ফেব্রুয়ারি মাসে জাতিসংঘের সহায়তা চেয়ে বিএনপির দেওয়া চিঠির জবাব দিয়েছে সংস্থাটি। একইসঙ্গে চিঠিতে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আমন্ত্রণ পেয়ে মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল যুক্তরাষ্ট্র গেছে। আজ বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সদর দপ্তরে সংস্থার রাজনীতি বিষয়ক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মিরোস্লাভ জেনকারের সঙ্গে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় (বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১১টা) বিএনপির প্রতিনিধি দলের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বিএনপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। বৈঠকে সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে আগামী নির্বাচন সম্পন্ন করতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানাবেন বিএনপি নেতারা।

তবে যে কোনো সংকট নিরসনে বিবদমান দু’পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের পথ খুঁজে বের করার রেওয়াজ থাকলেও গতকাল বুধবার রাত পর্যন্ত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কাউকে আমন্ত্রণ জানায়নি জাতিসংঘ। অবশ্য বিএনপি নেতাদের জাতিসংঘে যাওয়ার বিষয়টিকে মোটেই গুরুত্ব দিচ্ছে না আওয়ামী লীগ। এতে তাদের কোনো আপত্তিও নেই। অন্যদিকে জাতিসংঘের মহাসচিবের এই উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বিএনপি। তারা আশা করছেন, জাতিসংঘের এ উদ্যোগ সংকট সমাধানে ভূমিকা রাখবে। রাজনৈতিক বিশ্নেষকরা বলছেন, জাতিসংঘ বিশ্বের যেকোনো দেশের সৃষ্ট সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিতেই পারে। তবে বিবদমান দু’দলের নেতাদের সঙ্গেই বৈঠক করা জরুরি। একইসঙ্গে তারা নিজেদের সমস্যা নিজেরা বসে সমাধানের ওপরই গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তাদের মতে, বিদেশিদের মাধ্যমে সমাধানের আশা মোটেই সম্মানজনক নয়।

বিএনপির একাধিক উচ্চপর্যায়ের সূত্র জানায়, জাতিসংঘ কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকে সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে আগামী নির্বাচন করতে সরকারের ওপর ‘চাপ সৃষ্টি’র আহ্বান জানাবে বিএনপি প্রতিনিধি দল। একইসঙ্গে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং আগামী নির্বাচনে তার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার বিষয়ে যথাযথ ভূমিকা রাখার অনুরোধ করা হবে। এ ছাড়া দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা, হয়রানি, হত্যা, গুম এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করবেন তারা।

দলীয় সূত্র দাবি করেছে, সফরে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনি গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিএনপি প্রতিনিধি দলের বৈঠক হতে পারে। বিএনপি প্রতিনিধি দলে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল ছাড়াও লন্ডনপ্রবাসী বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির রয়েছেন।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গতকাল এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, জাতিসংঘ মহাসচিবের ডাকে মির্জা ফখরুল জাতিসংঘে যেতেই পারেন। এ সফরকে তারা গুরুত্ব দিচ্ছেন না। এতে সরকার কিংবা আওয়ামী লীগের আপত্তি নেই। তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের মহাসচিব কাউকে ডাকতে পারেন, কথাও বলতে পারেন; কিন্তু সরকারের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন, তাই-ই নেবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর  বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির বিষয় নিয়ে বিদেশিদের কথা বলা উচিত নয়, সুযোগও নেই। তারপরও তারা বলেন। এর কারণ হচ্ছে, আমরা নিজেরা নিজেদের সমস্যা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে পারছি না। নিজেদের এই সক্ষমতার অভাবটি মোটেও সম্মানজনক নয়। তিনি আরও বলেন, ‘যেসব দেশে এ ধরনের সংকট আছে, সেসব দেশে জাতিসংঘ, অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা দূত পাঠায়। বাংলাদেশ যদি সেসব দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে আসতে পারে, সেটাই হবে সবচেয়ে সম্মানজনক।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন গতকাল এ বিষয়ে  বলেছেন, জাতিসংঘের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান তারা। সরকার স্বীকার করুক আর না করুক, আসন্ন নির্বাচন নিয়ে একটি বড় সংকট তৈরি হয়েছে। ভৌগোলিক কারণে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। জাতিসংঘ বিগত নির্বাচনের আগেও একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য চেষ্টা করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবারও তারা একটি ইতিবাচক উদ্যোগ নিয়েছে। দেশের জনগণের পাশাপাশি জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও সবার অংশগ্রহণে একটি প্রতিযোগিতপূর্ণ সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। তারা আশা করেন, বিএনপি মহাসচিবকে আমন্ত্রণের মাধ্যমে সৃষ্ট সংকট সমাধানের সূচনা হয়েছে।

বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের প্রতি আস্থা হারিয়েছে। বিদেশি শক্তির সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে তাদের কেউ ক্ষমতায় থাকতে চায়, কেউ ক্ষমতায় যেতে চায়। জনগণের প্রতি আস্থাহীনতা এবং বিদেশিদের সাহায্য-সহযোগিতা চাওয়ার এই প্রবণতা সার্বিকভাবে গণতন্ত্রকেই দুর্বল করে।

বিএনপির আন্তর্জাতিক উইং সূত্র জানায়, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি জানতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের একটি প্রতিনিধি দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। গত ২৪ আগস্ট বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক কার্যালয়ের মাধ্যমে বিএনপি মহাসচিব বরাবর চিঠি পাঠিয়ে ওই আমন্ত্রণ জানানো হয়। বিষয়টিকে কঠোর গোপনীয়তায় গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দলের নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় উপস্থাপন করেন মির্জা ফখরুল।

ওই সূত্র জানায়, গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মির্জা ফখরুল ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকও করেন। রাত পৌনে ২টায় এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট-৫৮৫ এ যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন মির্জা ফখরুল ও তাবিথ আউয়াল। অন্যদিকে লন্ডন থেকে হুমায়ুন কবির জাতিসংঘের বৈঠকের উদ্দেশে এখন যুক্তরাষ্ট্রে।

বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সম্পাদক ও দলের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সিনিয়র নেতা গিয়াস আহমেদ সমকালকে বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতিসংঘ ছাড়াও স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং বাংলাদেশ ককাস-এর নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।

দলের আন্তর্জাতিক উইংয়ের একজন সদস্য সমকালকে জানান, জাতিসংঘে বৈঠকে আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট জটিলতাকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। গতবারের মতো এবারও সংবিধানের দোহাই দিয়ে সরকার প্রশাসনের সহযোগিতায় যাতে আবারও একটি একতরফা নির্বাচন করতে না পারে এবং সবার অংশগ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে জাতিসংঘের কার্যকর সহায়তা চাওয়া হবে।

বিএনপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, বৈঠকে বিগত সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলোতে সরকারি দলের হস্তক্ষেপ, নির্বাচন কমিশনে ক্ষমতাসীনদের যোগসাজশের বিষয়গুলোও তুলে ধরা হবে। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলা ও তার জামিন প্রক্রিয়ায় সরকারের হস্তক্ষেপ, তার সুচিকিৎসায় অবহেলা, বিচার বিভাগের ওপর নিয়ন্ত্রণ, সারাদেশে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলার পরিসংখ্যান এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন নিয়েও লিখিত বক্তব্য রাখবে বিএনপির প্রতিনিধি দল।

বৈঠকে বিএনপির মূল দাবি থাকবে- নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগে বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন, জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে নির্বাহী ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন, সারাদেশে রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার ও নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠন করে শক্তিশালী করা।

সূত্র জানায়, জাতিসংঘ মহাসচিবের আমন্ত্রণে সেখানে বৈঠকের বিষয়টি পুরোটা দেখভাল করছেন লন্ডনে অবস্থানরত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ নিয়ে দলের মহাসচিবসহ সংশ্নিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন তিনি। অপর একটি সূত্র জানায়, জাতিসংঘে বৈঠক শেষে লন্ডনে যেতে পারেন মির্জা ফখরুল। বৈঠকের বিষয়ে অবহিত করতে ও পরবর্তী করণীয় নিয়ে তারেক রহমানের পরামর্শ নিতে তিনি এ সফর করবেন বলে জানা গেছে।

রাজনৈতিক সংকটে আন্তর্জাতিক যত উদ্যোগ :বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক তৎপরতা দৃশ্যমান হতে শুরু করে গত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশক থেকে। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকায় দায়িত্ব পালনকারী প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলোর কূটনীতিকরা বিভিন্ন সময়ে এ দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি সম্পর্কে নানা মন্তব্য করে আসছেন। সরকার ও বিরোধী দলের সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে তাদের মতবিনিময়ও করতে দেখা গেছে। ঘনীভূত রাজনৈতিক সংকটে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে সংলাপ অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ এবং কমনওয়েলথকে উদ্যোগ নিতেও দেখা গেছে অতীতে। তবে কোনোবারই তাদের সংলাপ প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ সফলতার মুখ দেখেনি।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের বিবেচনায়, যখন যে দল সরকারে থাকে, তখন সেই দল আন্তর্জাতিক এ ধরনের তৎপরতার বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনামুখর থাকে। অন্যদিকে যারা বিরোধী পক্ষে থাকে, তারা জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তৎপরতাকে স্বাগত জানায় এবং সহযোগিতা করে।

১৯৯০ সালের স্বৈরাচারবিরোধী গণঅভ্যুত্থানের পর দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের পরও ১৯৯৬ সালে রাজনৈতিক সংকট ঘনীভূত হয়ে ওঠে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে তখন প্রধান বিরোধী দল আওয়ামী লীগ প্রবল আন্দোলন গড়ে তোলে বিএনপির নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে। বিএনপি এ দাবিকে পাশ কাটিয়ে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে অনড় থাকলে রাজনৈতিক সংকট তীব্র আকার ধারণ করে। সে সময় দুই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের মধ্যে সংলাপ অনুষ্ঠানে মধ্যস্থতার জন্য ঢাকায় কমনওয়েলথের বিশেষ দূত স্যার নিনিয়ান স্টিফেন আসেন। তিনি ঢাকায় বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। কিন্তু অর্থবহ সংলাপ অনুষ্ঠানে সফল হননি তিনি।

এরপর দেশে আবারও রাজনৈতিক সংকট তীব্র হয় ২০০৬ সালে। তখন ঢাকায় দায়িত্ব পালনরত প্রভাবশালী দেশের কূটনীতিকরা নানাভাবে চেষ্টা চালিয়েও দুই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের মধ্যে সংলাপ অনুষ্ঠানে ব্যর্থ হন। এ পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায় এবং ক্ষমতায় আসে বহুল আলোচিত ওয়ান-ইলেভেন সরকার।

২০১২ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি মাঠে নামলে রাজনৈতিক সংকট ঘনীভূত হতে থাকে। এ সংকট নিরসনে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ২০১২ এবং ২০১৩ সালে দুই দফা ঢাকায় আসেন জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো। ২০১৩ সালে একই উদ্দেশ্যে ঢাকায় আসেন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল। তবে তাদের কেউই দুই বিরোধী রাজনৈতিক পক্ষের মধ্যে সংলাপ অনুষ্ঠানে সফল হননি।

বর্তমান রাজনৈতিক সংকটেও আন্তর্জাতিক ভূমিকা ও উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। সম্প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আমন্ত্রণে জাতীয় নির্বাচন-পূর্ব সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার লক্ষ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিউইয়র্কে গেছেন। এমন প্রেক্ষাপটে অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে আন্তর্জাতিক তৎপরতার বিষয়টি জোরালোভাবে উঠে এসেছে। সমকাল

Check Also

উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট সোনার বাংলা গড়ে তুলব: পরিদর্শন বইয়ে প্রধানমন্ত্রী

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে ঢাকার সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।