আসামে নরবলি ঠেকাতে পুলিশের গুলি, শিশু উদ্ধার

ক্রাইমর্বাতা রিপোর্ট :   কয়েকদিন আগেই আসামের কামাখ্যা মন্দিরের কাছে উদ্ধার হয়েছিল মুন্ডু ও ধড় আলাদা করা একটি নারীদেহ। তখনই নরবলির শঙ্কা সকলের মধ্যে দানা বেঁধেছিল। এবার জানা গেছে, নরবলি দেয়ার চেষ্টার ভয়ঙ্কর একটি ঘটনা। একবিংশ শতকে দাঁড়িয়ে কুসংস্কারের এই ভয়ঙ্কর ঘটনা জেনে শিউরে উঠেছেন অনেকে। তবে এবার নরবলির জন্য আনা শিশুকন্যাটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এজন্য গুলি চালাতে হয়েছে পুলিশকে। ঘটনাটি ঘটে আসামের ওদালগুড়ির এক গ্রামে।

এক তান্ত্রিকের তত্ত্ববধানে এক বিজ্ঞান শিক্ষকের বাড়িতে চলছিল নরবলির এ আয়োজন।

এ জন্য আনা হয়েছিল একটি শিশুকন্যাকে। আশ্চর্যের বিষয়, সেই শিশুটির অভিভাবরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। হাড়িকাঠ এবং শান দেয়া খড়গও তৈরি করা ছিল। তবে নরবলির আগে চলছিল যজ্ঞ। সঙ্গে মন্ত্রোচ্চারণ। যজ্ঞের লকলকে আগুনের শিখা ঘিরে চলছিল পরিবারের উন্মত্ত উলঙ্গ নৃত্য।

আশপাশের মানুষ উঁকি দিয়ে এই দৃশ্য দেখতে পেয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের ওপর চড়াও হয় অভিযুক্ত পরিবারের সদস্যরা। এরপরই পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী প্রথমে বাড়িটিকে ঘিরে ফেলে। পুলিশের পক্ষ থেকে বাইরে আসার অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু পুলিশের ওপর অভিযুক্ত পরিবারের সদস্যরা পাল্টা আক্রমণ চালালে গুলি চালাতে বাধ্য হয় তারা।

পুলিশের গুলিতে জখম হয়েছেন গৃহকর্তা যাদব চহরিয়া। তবে বাচ্চাটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ভন্ড তান্ত্রিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে পরিবারের অন্য সদস্যদের।

জানা গেছে, স্থানীয় শিক্ষক যাদব চহরিয়ার বাড়িতে বছর তিনেক আগে ঘাঁটি তৈরি করেন তান্ত্রিক রমেশ চহরিয়া। তার নির্দেশেই নরবলির আয়োজন করে পরিবার। তান্ত্রিকের নির্দেশেই বাড়িতে থাকা বাইক ও গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ সূত্রে খবর, বলি দেয়ার জন্য আনা শিশুটির বাবা-মায়ের  সম্মতিতেই নাকি গোটা ঘটনা ঘটছিল।

Check Also

উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট সোনার বাংলা গড়ে তুলব: পরিদর্শন বইয়ে প্রধানমন্ত্রী

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে ঢাকার সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।