দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্র করতে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে আ’লীগ

ক্রাইমর্বাতা রিপোর্ট: : ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে এক আলোচনা সভায় বিরোধী দলের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে এই অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে সরকার সবকিছু নিয়ন্ত্রণের নীতি গ্রহণ করেছে। সে কারণে সরকার প্রশাসন, গণমাধ্যম থেকে শুরু করে সবকিছুকেই নিয়ন্ত্রণ করছে। সরকারের অত্যাচার পাকিস্তানি স্বৈরশাসনকে ছাড়িয়ে গেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এই সরকার ২৬ লক্ষ মানুষকে আসামী করেছে, ৫শ’ মানুষকে গুম করে দিয়েছে, হাজারের উপরে মানুষকে তারা পঙ্গু করে দিয়েছে। আজকে সমগ্র দেশে যে অত্যাচার-নিপীড়ন-নির্যাতন তা অনেক সময় মনে হয় যে, ১৯৭১ সালের পাকিস্তানি নির্যাতনকে ছাড়িয়েছে গেছে। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ধবংস করবার জন্যে, বিরোধী রাজনীতিকে ধবংস করবার জন্যে তারা সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে। সবশেষে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে জোর করে ২৯ তারিখ রাতে ক্ষমতা দখল করে নিয়েছে। জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ‘তরিকুল ইসলাম স্মৃতি সংসদ’ এর উদ্যোগে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মরহুম তরিকুল ইসলামের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভপতিত্বে ও সহপ্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীমের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মরহুম তরিকুল ইসলামের সহধর্মিনী যশোর জেলার আহবায়ক অধ্যাপিকা নার্গিস ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বিএনপির বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, এজেডএম জাহিদ হোসেন, আবদুল হালিম ডোনার, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, নুরে আরা সাফা, শিরিন সুলতানা, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ, রফিকুল ইসলাম বকুল, টিএস আইয়ুব, অমলেন্দু দাস অপু, মীর রবিউল ইসলাম লাবলু, খান রবিউল ইসলাম রবি, হাসান মামুন, প্রয়াত নেতার দুই ছেলে শান্তুনু ইসলাম সুমিত ও দলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্র্য ইসলাম অমিতসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এক লাখ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে অভিযোগ করেছে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই সরকার অত্যন্ত সচেতনভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধবংস করেছে, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করছে। এর একটি মাত্র উদ্দেশ্য- তারা দেশটাকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। কয়েকদিন আগে প্রখ্যাত গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডি বলেছে যে, বাংলাদেশে যে প্রবৃদ্ধির কথা বলা হচ্ছে সেটা সঠিক নয়। তারা বলেছে যে, বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রতিটি স্তম্ভ ধবংস হয়ে যাচ্ছে- ব্যাংক লুট, শেয়ারবাজার লুট, টাকা পাঁচার, এক লক্ষ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে ব্যাংকের মাধ্যমে। যেটা দিয়ে পাঁচটা পদ্মাসেতু নির্মাণ করা যেতো। এভাবে একদিকে বিচার ব্যবস্থা ধ্বংস, প্রশাসন ধ্বংস, গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। অন্যদিকে মানুষের সমস্ত অধিকারকে হরণ করা হয়েছে।
মরহুম তরিকুল ইসলাম ও সাদেক হোসেন খোকার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে তিনি বলেন, আমাদের তরিকুল ভাই মারা গেছেন ৪ নভেম্বর। তার এক বছর পরেই আমাদের আরেকজন নেতা যাকে এদেশের মানুষ সাহসী সংগ্রামী নেতা হিসেবে চিনে, ঢাকার মহানগরীর মানুষ জনদরদী হিসেবে চিনে সাদেক হোসেন খোকা গত ৪ নভেম্বর ইন্তেকাল করেছেন। তিনি বলেন, এই ধরনের নেতৃবৃন্দ যারা আমাদের মাঝ থেকে চলে যাচ্ছেন, এই চলে যাওয়াটা যদি সুস্থ ও স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হতো আমাদের কিছু বলার ছিলো না। কিন্তু দেখেছি যে, তরিকুল ইসলাম তার সংগ্রামী জীবনের বেশির ভাগ সময় নির্যাতিত হয়েছেন সরকারের হাতে। হয়েছেন পাকিস্তান সরকারের হাতে, আওয়ামী সরকারের হাতে, বাকশালী সরকারের হাতে, তারপরে হয়েছেন স্বৈরাচার এরশাদের হাতে এবং সবশেষে যখন তিনি ব্যাথিগ্রস্থ হয়েছেন, ডায়োলেসিস নিতে হচ্ছে সেই সময়েও তাকে একটার পর একটা মিথ্যা মামলা দিয়ে একবার যশোর, একবার ঢাকা দৌড়াতে হয়েছে। এভাবে তিনি আমাদের মাঝ থেকে চলে যেতে হয়েছে। ঠিক একইভাবে আমাদের অনেক নেতা, অনেক কর্মী, আমাদের স্থায়ী কমিটির সদস্য তারাও এভাবে আমাদের মাঝ থেকে চলে গেছেন খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন সাহেবসহ।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছিলেন বলেই তাকে কারাগারে যেতে হয়েছে। আপনাদের মনে থাকা উচিত- তিনি এই সরকার আসার পরেই যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে পঞ্চমদশ সংশোধনী করলো তখনই তিনি বলেছিলেন, এই সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলাদেশে চিরস্থায়ীভাবে একটি অস্থিতিশীল এবং অস্থির অবস্থার সৃষ্টি করা হলো। তাই চলছে। আমরা জানি, আমাদের দেশের মানুষের আস্থা রয়েছে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপরে। তিনি বলেন, আমরা যদি তরিকুল ইসলাম সাহেবের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে চাই, সাদেক হোসেন খোকার প্রতি যদি শ্রদ্ধা জানাতে চাই, আমাদেরকে অবশ্যই দেশনেত্রীর বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নির্বাচন করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠাই হবে আমাদের লক্ষ্য-আসুন সেই লক্ষ্যে আমরা সবাই আত্মত্যাগ করি, মনোনিবেশ করি।
স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ছাত্রজীবন থেকে তরিকুল ইসলাম আমৃত্যু সাচ্চা জাতীয়তাবাদী, দেশপ্রেমিক এবং একজন সাহসী রাজনৈতিক যোদ্ধা ছিলেন। আজকে বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট থেকে দেশকে যদি রক্ষা করতে হয় তাহলে মরহুম তরিকুল ইসলামের মতো আমাদের সকলকে সাহসী এবং নীতির প্রতি আপোষহীন এবং সংগ্রামী ভুমিকা পালন করতে হবে-এই শিক্ষা আমরা তরিকুল ইসলাম থেকে নিতে চাই।
স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, তরিকুল ইসলাম একজন খাঁটি ও ত্যাগী রাজনীতিবিদ ছিলেন। তার মতো একজন রাজনীতিবিদ আমাদের অঙ্গনে আমরা এখন দেখি না। তিনি শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শ অনুসরণ করতেন। শহীদ জিয়া বিলাসিতা পছন্দ করতে না, মিতব্যয়ী মানুষ ছিলেন। তরিকুল ইসলামের মধ্যে আমরা সেটি দেখেছি, তাকে কোনোদিন বিলাসিতা করতে আমি দেখিনি। তিনি বলেন, আজকে রাজনীতি আর রাজনীতিবিদদের হাতে এখন নাই। রাজনীতি চলে গেছে এখন অর্থ, সন্ত্রাস ও দুর্বৃত্তদের হাতে। এটা থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। এর একটা মাত্র কারণ হলো দেশে সত্যিকার অর্থে জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার নাই, জনগনের ভোটে নির্বাচিত কোনো সরকার। জনগনের কাছে জবাবদিহি করার সরকার নেই বলে সমাজে নৈরাজ্য চলছে। এজন্য আমাদের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, তরিকুল ইসলাম সাহেব একদিন ছিলেন রাজনৈতিক নেতা ও কর্মী তৈরির কারিগর এবং অন্যদিকে সাহসী মাঠ সৈনিক ছিলেন। আজকে যে বয়সে আমাদের অনেক যুবকেরা মিছিল থেকে পালিয়ে যায়, ওই সময়ে আমরা দেখেছি তরিকুল ইসলাম সাহেব আমাদের সঙ্গে থেকে মাঠ গরম করেছেন এবং রাজপথে থেকেছেন। আবার আমরা যখন কোনো কারণে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছি তখন তরিকুল ভাই এগিয়ে আসতেন,অভিভাবকসুলভে একটা ধমক দিতেন, আমাদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করতেন।
স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় স্মৃতিচারণ করে বলেন, তরিকুল ভাইয়ের কাছে পদ কখনো গুরুত্বপূর্ণ হয়নি, তিনি পথেই হাটতে ভালোবাসতেন। ১৯৭৯ সালে নির্বাচনের পরে মন্ত্রী সভা গঠন করে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একদিন বঙ্গভবনে আক্ষেপ করে বলছিলেন-সবাই কমবেশি মন্ত্রী হওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে কিন্তু দল করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে না। ওই সময়ে তরিকুল ইসলাম দাঁড়িয়ে বলছিলেন যে, স্যার আমি মন্ত্রী হতে চাই না, আমি আপনার রাজনৈতিক দলটা করতে চাই। তখন বিএনপির কাঠামোগত সেটার মধ্যে বিশেষ সম্পাদক বলে কোনো পদ ছিলো না, তখন তরিকুল ভাইকে সম্পাদক বিশেষ দায়িত্বে এই পদটা সৃষ্টি করে তাকে সাংগঠনিক দায়িত্ব দিলেন এবং তিনি স্বাচ্ছন্দে সেটা গ্রহন করলেন। তিনি বলেন, পদ তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়নি। যদি হতো তাহলে আমাদের থেকে ১০ বছর আগেই তিনি স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে বিবেচিত হতেন। যেসময়ে তিনি স্থায়ী কমিটির সদস্য হলেন তখন আমাদের সাথেই হলেন। নিশ্চয়ই তরিকুল ইসলাম আমাদের চাইতে রাজনীতিতে অনেক বিজ্ঞ ও অনেক জ্যেষ্ঠ ছিলেন। কিন্তু ভাগ্যক্রমে আমরা সব এক ক্লাসের ছাত্র হয়ে গেলাম।
তরিকুল ইসলামের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, তিনি (তরিকুল) আন্দোলন করতে করতেই মারা গেছেন। এখন আমরা যারা আন্দোলন করছি তার শূন্যতা অনুভব করছি। দুদু বলেন, তরিকুল ইসলাম যেদিন থেকে রাজনীতি শুরু করেছেন সেদিন থেকে এদেশের স্বাধীনতা গণতন্ত্র এবং কৃষক শ্রমিকের পক্ষে কাজ করে গেছেন। তারপরও তার জীবন যদি আমরা বিশ্লেষণ করি তাহলে দেখব তিনি অর্থের প্রতি লোভ ছিলেন না। বিলাসিতার প্রতি আকৃষ্ট হতেন না। সাবেক ছাত্রদলের এ সভাপতি বলেন, তরিকুল ইসলাম সারা জীবন কষ্ট করেছেন। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জেল জুলুম অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করেছেন। তার মত করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মেশা, কথা বলা অনেকেরই সে ক্ষমতা ছিল না। তিনি যদি কখনও কারও সাথে একটু রাগ করতেন পরবর্তীতে তিনি তাকে কাছে ডেকে নিয়ে ভালোবাসতেন এবং বলতেন তোর সাথে একটু রাগ করেছি তখন মাথা গরম ছিল মনে কিছু করিস না। তিনি বলেন, বর্তমান দেশের যে অবস্থা এই অবস্থায় দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা যারা আন্দোলন করছি। আমরা তরিকুল ইসলামের শূন্যতা অনুভব করছি। এই সময় তার খুব দরকার ছিল।
দুদু বলেন, আমরা তখনই তরিকুল ইসলামের প্রতি সম্মান জানাতে পারব যখন দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারব। মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারব। সুষ্ঠু বিচার ব্যবস্থা চালু করতে পারব। কারণ, তিনি দেশে গণতন্ত্র, ভোটার অধিকার, সুষ্ঠু বিচার ব্যবস্থার জন্য আন্দোলন করে গেছেন এবং আন্দোলন করতে করতেই মরে গেছেন। তিনি বলেন, তরিকুল ইসলামের কাছ থেকে আমরা যা পেয়েছি যে আদর্শ পেয়েছি। সেটি অমূল্য সম্পদ। এ সময় তিনি সাদেক হোসেন খোকার কথা উল্লেখ করে বলেন সাদেক হোসেন খোকা ও তরিকুল ইসলাম একই লাইনের মানুষ। তারা দুজনেই গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে গেছেন। খোকাকে আমরা পাব আর একটা দিন পরে। তবে জীবিত না মৃত। তার মাগফেরাত কামনা করি এবং এ দুজনের আদর্শকে আমরা ধরে রাখার চেষ্টা করি।

Please follow and like us:

Check Also

‘জলবায়ুু পরিবর্তন’ —– ঝুঁকিতে উপকূলের ৪০ শতাংশ কৃষিজমি

বাস্তুচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা দুই লাখ ৪০ হাজার কৃষকের আবু সাইদ বিশ্বাস,সাতক্ষীরাঃ ‘জলবায়ুু পরিবর্তনে সবচেয়ে বড় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।