১ লাখ ২৩ হাজার ৩৪৫ কোটি টাকা এডিপি অনুমোদন

ECNECঢাকা, ১৩ মে, এবিএন ওয়ার্ল্ড : আগামী ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার নির্ধারণে ১ লাখ ২৩ হাজার ৩৪৫  কোটি টাকার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)। এর মধ্যে মূল উন্নয়নে ১ লাখ ১০ হাজার ৭০০ কোটি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ব্যয় ১২ হাজার ৬৪৫  কোটি টাকা ধরা হয়েছে। সব মিলিয়ে এডিপির আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ২৩ হাজার ৩৪৫ কোটি টাকা। আজ বৃহস্পতিবার শেরে বাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় এ অনুমোদন  দেয়া হয়। বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এদিকে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ও পদ্মা সেতুর গুরুত্ব বিবেচনায় এডিপির বরাদ্দে সবচেয়ে অগ্রাধিকার পেয়েছে পরিবহন খাত। পদ্মা সেতুতে ৬ হাজার ২৬ কোটি টাকা ধরে এ খাতে মোট ২৮ হাজার ৫০৩ কোটি টাকার বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আগামী অর্থবছরের জন্য ১ লাখ ১০ হাজার ৭০০  কোটি টাকার মূল বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন থেকে জোগান দেয়া হবে ৭০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। আর বিদেশি সহায়তা পাওয়া যাবে ৪০ হাজার কোটি টাকা। এর বাইরে সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে ব্যয় ১২ হাজার ৬৪৫  কোটি টাকা। তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পাচ্ছে পরিবহন খাত। এ খাত এডিপির প্রায় ২৬ দশমিক ১০ শতাংশ অর্থ বা ২৮ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা বরাদ্দ পাচ্ছে। এরপর শিক্ষা ও ধর্ম খাত ১৪ হাজার ৪৫৭ কোটি টাকা বরাদ্দ পাচ্ছে, যা এডিপির ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ। তৃতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে ভৌত পরিকল্পনা, পানি সরবরাহ ও গৃহায়ণ খাত, ১২ হাজার ৯৭১ কোটি টাকা  পেতে যাচ্ছে এটি, যা এডিপির ১১ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
খাতওয়ারি বরাদ্দের বাইরেও স্থানীয় পর্যায়ে উন্নয়ন সহায়তার নামে ২ হাজার ৯৭৭  কোটি টাকা রাখা হচ্ছে। সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়নের আওতায় বিভিন্ন প্রকল্পে এ বিপুল অর্থ ব্যয় করা হবে। এর মধ্যে থোক বা বিশেষ উন্নয়ন সহায়তা রয়েছে ১ হাজার ১৯৬  কোটি টাকা। প্রতিবছর বিশাল মূল এডিপি নেয়া হয়। বাস্তবায়ন করতে না পারায় বছরের দ্বিতীয়ার্ধে এসে তা সংশোধন করে কমানো হয়। চলতি অর্থবছরেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। এ বছর পরিকল্পনা কমিশনের তদারকিতে মূল এডিপির আকার ছিল ৯৭ হাজার কোটি টাকা। গত এপ্রিল মাসে তা কমিয়ে ৯১ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়ন ব্যয়সহ মোট এডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ৯৩ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। সেগুলো হচ্ছে- আগামী অর্থবছর থেকে কেউ একাধিক প্রকল্পের পরিচালক থাকতে পারবে না। প্রত্যেক প্রকল্প পরিচালককে অবশ্যই প্রকল্প এলাকায় থাকতে হবে। যেসব প্রকল্প অনেক দিন ধরে চলছে, বা অল্প কাজ বাকি রেখে বা কিছু কাজ বাড়িয়ে সংশোধনের প্রস্তাব করা হবে সেসব প্রকল্প শেষ ঘোষণা করে দেয়ার নির্দেশ প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

এবিএন/শুক্র/অর্থনীতি/ডেস্ক/এমআর

Please follow and like us:

Check Also

পৃথিবীর যেসব দেশে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রিরও উপরে

জলবায়ু পরিবর্তনের চরম ভয়াবহতার সাক্ষী হতে যাচ্ছে সারাবিশ্ব। প্রতিদিনই একটু একটু করে বৈরি হচ্ছে আবহাওয়া, …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।