বার্মায় যে জুলুম চলছে, এইটা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, এ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সমগ্র পৃথিবীর মানবতা এবং মানবাধিকার সংগঠনকগুলো এগিয়ে আসতে হবে

ক্রাইমবার্তা রিপোট:মোঃ আলাউদ্দীন,হাটহাজারী(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধিঃ29
সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্র মায়ানমারে (র্বামা) রোহিঙ্গা মুসলমাদের গণহত্যা, নির্যাতন বন্ধের দাবীতে বাদে জুম’আ হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ হাটহাজারী শাখার উদ্দ্যোগে আরকানে বার্মা সেনাবাহিনী কর্তৃক রোহিঙ্গা মুসলমানদের নির্বিচারে গণহত্যা, ঘর-বাড়ী জ্বালিয়ে দিয়ে বসত-ভিটা থেকে উচ্ছেদ, শিশু-নারীদের পাইকারী গণ-ধর্ষণ হেলিকপ্টার দিয়ে বোমা নিক্ষেপ এর প্রতিবাদে এবং বাংলাদেশ সরকারের কুটনৈতিক উপায়ে বার্মার সূচি সরকারের প্রতি নির্যাতনের বন্ধের প্রতি চাপ প্রয়োগের দাবীতে শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) এক বিশাল প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে হাটহাজারী ডাক-বাংলোতে এসে শেষ হয়।
উক্ত প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিলটি মাওলানা মীর ইদ্রিস সাহেবের সভাপতিত্বে মাওলানা কামরুল ইসলাম ও মাওলানা অলিউল¬াহ বাবুনগরীর পরিচালনায় প্রধান অতিথির হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব সংগ্রামী জননেতা আল¬ামা জুনাঈদ বাবুনগরী। প্রধান বক্তা হিসাবে ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মঈনুদ্দীন রুহী, উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা হাজী মোজাম্মেল হক, মাওলানা মোহাম্মদ শফি, মাওলানা হাবীবুল¬াহ্ নদভী, মাওলানা ওসমান ক্বাসেমী, মাওলানা জাকারিয়া ফয়জি, মাওলানা জাহাঙ্গির আলম মেহেদী, মাওলানা আলমগীর, মাওলানা ফয়জুর রহমান, মাওলানা মাহমুদ হাসান খাকী, মাওলানা এমরান সিকদার, মাওলানা শফিউল¬াহ, মাওলানা আতউর রহমান, মাওলানা আমিনুল ইসলাম প্রমূখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আল¬ামা জুনাঈদ বাবুনগরী বলেন, আমরা মুসলমান, সারা দুনিয়ার মুসলমানরা একটি শরীরের মত, শরীরের কোন অঙ্গ যদি আঘাত প্রাপ্ত হয়, তাহলে যেমন সারা শরীর ব্যথা হয়ে যায়, তেমনি দুনিয়ায় যেকোন প্রান্তে মুসলমান আক্রান্ত হলে আমাদের ঈমানী দায়িত্ব তার জন্য ব্যথিত হওয়া তার প্রতি সহানুভূতি জানানো। আমি বাংলাদেশ সরকারকে আহ্বান করব, যেন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জাতিসংঘ (ও.আই.সি.)’র মাধ্যমে বার্মায় নির্যাতন বন্ধের জন্য কুটনৈতিক উপায়ে বার্মা সূচি সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা কোন ধরণের সন্ত্রাসকে সমর্থন করি না। বার্মায় যে জুলুম চলছে, এইটা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, এ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সমগ্র পৃথিবীর মানবতা এবং মানবাধিকার সংগঠনকগুলো এগিয়ে আসতে হবে।
ব্যক্তারা আরো বলেন, বার্মার জুলুম নির্যাতনের বিবরণ দেওয়ার ভাষা আমাদের নেই। এমন কোন অত্যাচার নেই যেটা মুসলমানদেরকে করা হচ্ছে না। যেখানে নারীদেরকে ধর্ষণ করা হচ্ছে ছোট ছোট বাচ্চা শিশুদেরকে জবাই করে তাদেরকে আগুনে নিক্ষেপ করা হচ্ছে। তাদের ঘর-বাড়ী জ্বালিয়ে দিয়ে তাদের পৈতৃক ভিটা বাড়ী থেকে বিতাড়িত করা হচ্ছে। আবার বাংলাদেশেও তাদের আশ্রয় বা ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্ডার খুলে দেওয়ার দাবী জানান। আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, বাংলাদেশে আমরা সংখ্যালঘুদের উপর জুলুম অত্যাচার করা পছন্দ করি না। বার্মার মুসলমান সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের ষ্ট্রিম রোলার চালাচ্ছে রাষ্ট্রীয়ভাবে, অবিলম্বে জাতিসংঘ সনদ মতে বার্মার মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা সহ মুসলমানদেরকে স্বীকৃতি দিতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে মীর ইদ্রিস বলেন, বার্মায় মুসলমানরা আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে ১৯৭১ সালে তারা আমাদেরকে আশ্রয় দিয়েছিল। বর্তমানে তারা মজলুম আমরা তাদের আশ্রয় দিতে হবে। মাওলানা হাবিবুল¬াহ নদভী বলেন, আরকানে মুসলমানদের নির্যাতন বন্ধের জন্য মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে এবং আরকানে কোন বিদেশী কোন মিডিয়া কর্মী ঢুকতে দিচ্ছে না, কোন ত্রাণ কর্মী ঢুকতে দিচ্ছে না। আরকানের সংবাদ সংগ্রহের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ প্রচারের জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে বার্মা সরকারের প্রতি জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে।

Please follow and like us:

Check Also

রাজাপুর আল- হেরা জামে মসজিদের কমিটি গঠন

সাদী হাসান, চাম্পাফুল প্রতিনিধিঃ কালীগঞ্জ উপজেলা রাজাপুর আল- হেরা জামে মসজিদে নতুন কমিটি গঠন করা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।