বৈঠকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর কাদের বলেন, ‘চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা লাঞ্ছনার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মর্মাহত, ক্ষুব্ধ। তিনি এ ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।’
পরে ওবায়দুল কাদের টেলিফোনে মোছলেম উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে কথা বলেন। তাকে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পরামর্শ দেন। পাশাপাশি যারা এ ঘটনায় দায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিডিও কনফারেন্স শেষে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বক্তব্য দিচ্ছিলেন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা। ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, জেলা পরিষদের প্রশাসক এমএ ছালাম বক্তব্য দেওয়ার পর মোছলেম উদ্দিন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তার বক্তব্য শেষ হলে সেখানে হুড়োহুড়ি লেগে যায়। এ সময় ‘লাল টুপি’ পরা কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মীকে মোছলেম উদ্দিন ধাক্কা দিলে ছাত্রলীগ কর্মীরা তার দিকে তেড়ে গিয়ে মারতে উদ্যত হয়। এ সময় পাশে থাকা কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা তাকে রক্ষার চেষ্টা করেন। মোছলেম উদ্দিনকে উদ্দেশ করে কিছু ছাত্রলীগ কর্মী অশালীন ও কটু মন্তব্য করে। একপর্যায়ে নগর আওয়ামী লীগ নেতা মশিউর রহমান তাকে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও ধাওয়া দেওয়ার চেষ্টা করে ছাত্রলীগ কর্মীরা। নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি ও কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে এ সময় তাদের নিবৃত্ত করে ফের মোছলেম উদ্দিনকে মাঠে ঢুকিয়ে দিতে দেখা যায়। পরে সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য আফছারুল আমীনের গাড়িতে করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন মোছলেম উদ্দিন।