পাবনায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪

 ক্রাইমবার্তা রিপোট:পাবনায় বন্দুকযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪-এ। জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার জয়নগর এলাকায় রাইচ মিলে ডাকাতিকালে র‌্যাবের সাথে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এর আগে ৩ জন নিহতের খবর পাওয়া গিয়েছিল। বিকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরেকজনের মৃত্যু হয়।

আজ শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

নিহতদের শুধু নাম জানা গেছে। তারা হলেন, বাদশা মিয়া, শফিকুল ইসলাম, মঞ্জুরুল ইসলাম ও পরে বিকেলে হাসপাতালে ময়মনসিংহের ফুলপুর থানার তৃষ্ণামত দৌলার আব্দুল হামিদের ছেলে রুস্তুম আলী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।

র‌্যাব নিহত তিন ডাকাতের বিস্তারিত পরিচয় সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানাতে পারেনি। তবে আহতদেরর নাম প্রকাশ করেছেন, আহত ৩ ডাকাত হলেন- ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার সাংকাটনি গ্রামের মৃত মফিজের ছেলে বাচ্চু মিয়া (৩৫), পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার কবিরুল ইসলামে ছেলে মেহেদী হাসান (২৫), চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার দক্ষিণ বড়চরের বিল্লাল হোসেনের ছেলে হানিফ মিয়া (২৫)।

র‌্যাব-১২ পাবনার কোম্পানী কমান্ডার এএসপি বীনা রানী দাশ জানান, শুক্রবার রাত ৩টার দিকে দিকে ঈশ্বরদী উপজেলার জয়নগর এলাকার বাদশা রাইচ মিলে ট্রাক নিয়ে এসে চাল লুট করছিল ১৫ জনের একদল ডাকাত। এমন খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালায় র‌্যাব। ডাকাত দল র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। আত্মরক্ষার্থে র‌্যাবও পাল্টা গুলি শুরু করে। প্রায় আধা ঘন্টা গুলি বিনিময়ের পর ছত্রভঙ্গ হয়ে পালানোর চেষ্টা করে ডাকাতরা। এক পর্যায়ে এলাকাবাসীর সহায়তায় বড়ইচড়া এলাকা থেকে ২ ডাকাতের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে র‌্যাব। এসময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ৫ ডাকাত সদস্যকে আটক করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায় আরো একজন। এবং বিকেলে আরো এক ডাকাত মারা যায়। তিনি এ পর্যন্ত ৪ ডাকাত নিহতের বষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ঘটনাস্থল থেকে ডাকাতদলের লুট করা ২ ট্রাক চাল এবং দু’টি পিস্তল ও একটি রিভলবার উদ্ধার করা হয়েছে।25

তিনি আরো জানান, নিহতদের লাশ ময়না তদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

র‌্যাব-১২ কমান্ডিং অফিসার শাহাবুদ্দিন খান জানান, বাদশা রাইচ মিল থেকে ৪০০ বস্তা চালসহ ডাকাতিকালে সংঘবদ্ধ ডাকাতদের আমরা হাতে নাতে ধরে ফেলি। কিন্তু ডাকাতদল র‌্যাবের উপর গুলি করলে আমরা গুলি চালাতে বাধ্য হই। অন্ধকারে প্রথমে গুলিবিদ্ধ ডাকাতদের মৃত মনে হওয়ায় মৃতের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রাস্তির সৃষ্টি হয়। প্রথমে ২ জন জানানোর হয়। পরে ৩ জনের মারা যাওয়া বিষয়টি আমরা নিশ্চিত হই। বিকেলে রস্তম নামের আরো এক ডাকাত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।

Check Also

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু

মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। জুড়ী উপজেলার পূর্ব জুড়ী ইউনিয়নের পূর্ব গোয়ালবাড়ি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।