ক্রাইমবার্তা রিপোট:সহানুভূতি দেখানোর নামে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা মোজাম্মেল মেম্বারের বিরুদ্ধে এক গৃহবধূকে তার ঘরে ঢুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার কোম্পানিগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ওই গৃহবধূ।
শুক্রবার সকালে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি সৈয়দ মো. ফজলে রাব্বী, পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল মজিদ ও এসআই মো. রবিউল হক ঘটনাস্থলে যান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মোজাম্মেল মেম্বার এলাকা থেকে পালিয়ে যায়।
শনিবার গৃহবধূকে নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মোজাম্মেল উপজেলার চর এলাহি ইউনিয়নের দক্ষিণ শাখা যুবলীগের সভাপতি ও ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।
ওই গৃহবধূ জানান, একটি মামলায় পরোয়ানা থাকায় গত ২৪ নভেম্বর তার স্বামীকে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। সহানুভূতি দেখাতে বৃহস্পতিবার রাতে মোজাম্মেল মেম্বার তার বাড়িতে যায়। স্বামীকে জামিনে বের করে আনার প্রতিশ্র“তি দেয় সে।
তিনি জানান, একপর্যায়ে মুখ চেপে ধরে তাকে ধর্ষণ করে মোজাম্মেল মেম্বার। পরে তার আর্তচিৎকারে এলাকার লোকজন বের হয়ে আসলে সে পালিয়ে যায়।
সকালে বিষয়টি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রেজ্জাককে জানান ওই গৃহবধূ। পরে মোজাম্মেল মেম্বারকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ওই ভুক্তভোগী।
পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল মজিদ বলেন, প্রাথমিক তদন্তে গৃহবধূকে ধর্ষণের সত্যতা পাওয়া গেছে। ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
ডেমরায় বিয়ের প্রলোভনে প্রেমিকাকে ধর্ষণ
ডেমরায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে আদালতের নির্দেশে পিটিশন মামলা হয়েছে। তদন্ত শেষে গত বৃহস্পতিবার রাতে ডেমরা থানায় ধর্ষকসহ ৬ জনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন ধর্ষিতা।
আসামিরা হলেন- ঢাকার দোহার থানার বর্ধণ পাড়া গ্রামের সুবাস বিশ্বাসের ছেলে ধর্ষক দিপ্ত বিশ্বাস (২৫), তার বাবা সুবাস বিশ্বাস (৪৮), মা ববিতা বিশ্বাস (৪২) , সহযোগী নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার নাওড়া গ্রামের অগ্নিশ্বরের ছেলে দিগ বিজয় (৪০), তার স্ত্রী অঞ্জণা সরকার (৩২), ও একই এলাকার টান মুশুরি গ্রামের কালাচান সরকারের ছেলে স্বপন সরকার (৪০)।
ধর্ষিতার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, দির্ঘ ৮-৯ মাসের প্রেমের সম্পর্কের এক পর্যায়ে গত ২২ মে বিয়ের প্রলোভণ দেখিয়ে দিপ্ত সোনাগাঁয়ে তার পরিচিত এক বাসায় এনে কৌশলে ধর্ষিতাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এভাবে দিনের পর দিন দিপ্ত ধর্ষিতাকে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক রাখতে বাধ্য করেন। এজন্য চতুর দিপ্ত তার মায়ের সঙ্গে ধর্ষিতাকে মুঠোফোনে কথা বলিয়ে তাদের বিয়ের বিষয়টিও নিশ্চিত করেন। গত ২৮ অক্টোবর হঠাৎ দিপ্ত আর এ সম্পর্ক রাখতে পারবেনা বলে জানায় তার প্রেমিকাকে। এ সময় বাকবিত-ার এক পর্যায়ে দিপ্ত তাকে আত্মহত্যা করতে বলেন। এ ঘটনায় ৩০ অক্টোবার ধর্ষিতা তার ডায়েরিতে একটি নোট লিখে (আমার মৃত্যুর জন্য দিপ্ত দায়ী থাকবে) দিপ্তকে ফোন দেয়। এ সময় দর্ষক দিপ্ত বাদীকে টাকা পয়সা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে তার কাছে চলে আসতে বলেন।
পরিকল্পনা মোতাবেক কেরানীগঞ্জ থেকে বাবার ৯০ হাজার টাকাসহ সাড়ে ৩ ভরি স্বর্নালংকার নিয়ে ডেমরার স্টাফ কোয়ার্টারে আসেন ধর্ষিতা। পরে ওই টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে কৌশলে পালিয়ে যায় দিপ্ত। এ ঘটনায় ধর্ষিতা দিপ্তর বাবাকে ফোন করলে ধর্ষিতাকে তিনি রূপগঞ্জের বিংরাব এলাকায় ডেকে এনে ধর্ষকসহ উক্ত সহযোগীদের নিয়ে মারধর করে তার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। বিষয়টি মুঠোফোনে নিশ্চিত করেছেন ধর্ষিতা। এ ঘটনায় মহামান্য আদালত ডেমরা থানাকে মামলা নেওয়ার নির্দেশ দিলে তদন্ত শেষে গত বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা হয় বলে জানিয়েছেন থানা পুলিশ।