খালেদা জিয়ার সময়ের আবেদন নামঞ্জুর, পরবর্তী তারিখ ১৫ ডিসেম্বর

ক্রাইমবার্তা রিপোট:: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে অসমাপ্ত বক্তব্য দিতে আদালতে গেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

এ মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানি পেছানোর সময়ের আবেদন করেন তার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। শুনানি শেষে ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের আদালত আবেদন না মঞ্জুর করে আত্মপক্ষে সমর্থনে পরবর্তী তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ধার্য করে আদালত।4

বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌনে ১২টার দিকে খালেদা জিয়ার গাড়ি বহর আদালত প্রাঙ্গণে পৌঁছায়।

গত ১ ডিসেম্বর এই মামলায় খালেদা জিয়া আত্মপক্ষ শুনানি করেন। আত্মপক্ষ শুনানিতে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। তিনি তার পক্ষে সাফাই সাক্ষী দেবেন বলে আদালতকে জানান।

এরপর নিজে অসুস্থ থাকায় আর শুনানি করতে পারবেন না জানিয়ে আদালতের কাছে সময় চান। আদালত অবশিষ্ট আত্মপক্ষ শুনানির জন্য ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।

এদিকে একই আদালতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাটিরও ধার্য তারিখ রয়েছে বৃহস্পতিবার। মামলাটিতে তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক হারুন অর রশিদকে জেরার জন্য দিন ধার্য রয়েছে। গত ১৭ নভেম্বর এ মামলার প্রধান আসামি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা শেষ করেন তার আইনজীবীরা। গত ১ ডিসেম্বর তারেক রহমানের পক্ষেও তদন্ত কর্মকর্তার জেরা শেষ হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক।

২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়।

আসামি তারেক রহমান দেশের বাইরে আছেন। মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ জামিনে আছেন। কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক।

অন্যদিকে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। এ মামলায় ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়।

মামলাটিতে বিএনপির নেতা হারিছ চৌধুরী এবং তার তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান আসামি।

Check Also

হাফিজের কাছ থেকে রাজনীতিতে উৎসাহ না পেয়ে চলে যান সাকিব

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনীতির বিষয়ে উৎসাহিত হয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।