রোমাঞ্চকর জয়ে বছর শেষ করল অস্ট্রেলিয়া

ক্রাইমবার্তা স্পোর্টস ডেস্ক:  ১৮১ রানের লিড নিয়ে পাকিস্তানকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে পাঠাল অস্ট্রেলিয়া। শেষ দিনে খেলা। জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার ৬৮ ওভারে প্রয়োজন ১০ উইকেট। পাকিস্তান চাইলেই ম্যাচটি ড্র করতে পারত!

রোমাঞ্চকর জয়ে বছর শেষ করল অস্ট্রেলিয়া

বোলারদের অসাধারণ পারফরম্যান্সে শেষ বিকেলে বিজয় উল্লাস করল অস্ট্রেলিয়া। ১৬৩ রানে অলআউট পাকিস্তান। ইনিংস ও ১৮ রানে বক্সিং ডে টেস্ট জিতে ২-০ ব্যবধানে সিরিজও জিতে গেল স্টিভেন স্মিথের দল। এ জয়ে অস্ট্রেলিয়ার এ বছরের জয়-পরাজয়ের পরিসংখ্যানও সমান হল। ১১ ম্যাচে ৫ জয় ও ৫ পরাজয়ের রেকর্ড অসিদের। ১টি ম্যাচ ড্র হয়েছে। বলাই যায় পারফরম্যান্স ফিফটি-ফিফটি।

 

টসে জিতে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বক্সিং ডে টেস্ট ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। আজহার আলীর ডাবল সেঞ্চুরিতে ৯ উইকেটে ৪৪৩ রানের পুঁজি পায় পাকিস্তান। জবাবে স্টিভেন স্মিথের অপরাজিত ১৬৫ ও ডেডিভ ওয়ার্নারের ১৪৪ রানের ইনিংসে ভর করে অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে ৬২৪ রান করে। ১৮১ রানে পিছিয়ে থেকে পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৬৩ রানে অলআউট!  ইনিংস ও ১৮ রানের জয়ে শেষ দিনে রোমাঞ্চকর জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। এর আগে ব্রিসবেনে প্রথম টেস্টে ৩৯ রানে জয় পায় স্বাগতিক দল।

 

বৃহস্পতিবার চতুর্থ দিন পাকিস্তানের রান টপকে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। স্মিথের সেঞ্চুরিতে চতুর্থ দিন শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ছিল ৬ উইকেটে ৪৬৫। শুক্রবার আরও ২৯ ওভার ব্যাটিং করে অস্ট্রেলিয়া। এ সময়ে স্কোরবোর্ডে ৬২৪ রান তুলে স্বাগতিক দল। ব্যাট হাতে ঝড় তুলেন স্টার্ক। ৯১ বলে ৩ চার ও ৭ ছক্কায় ৮৪ রান করেন বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান। অন্যদিকে স্মিথ ডাবল সেঞ্চুরির পথে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু মধ্যাহ্ন বিরতির কিছুক্ষণ আগে ইনিংস ঘোষণা করেন স্মিথ। ১৬৫ রানে অপরাজিত থাকেন অসি অধিনায়ক। তার সঙ্গে ছিলেন ১২ রান করা নাথান লায়ন। পাকিস্তানের হয়ে বল হাতে ৩টি করে উইকেট নেন সোহেল খান ও ইয়াসির শাহ।

 

দুই সেশন ও ৬৮ ওভার হাতে রেখে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় তুলে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে নামে স্মিথের দল। ক্রিকেটারদের শারীরিক ভাষা ও বোলারদের বোলিং দেখে সেটাই বোঝা যাচ্ছিল। মধ্যাহ্ন বিরতির আগেই পাক শিবিরে আঘাত করেন অসি পেসার হ্যাজেলউড। ২ রানে বোল্ড হন সামি আসলাম। বিরতির পর স্টার্ক ফিরিয়ে দেন বাবর আজমকে। তৃতীয় উইকেটে ৫৭ রানের জুটি গড়েন আজহার আলী ও ইউনুস খান। ইউনুসকে ফিরিয়ে এ ‍জুটি ভাঙেন স্পিনার লায়ন। অভিজ্ঞ এ ব্যাটসম্যানকে ফেরানোর এক বলই পর মিসবাহ-উল-হক ইউনুসের পথ অনুসরণ করেন।

 

শতরানের আগে পাকিস্তান হারায় আসাদ শফিকের উইকেট। ১০১ রানে আজহার আলী (৪৩) ফিরে গেলে অস্ট্রেলিয়ার জয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায়। উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান সরফরাজ আহমেদ ৪৩ রান করে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করলেও স্টার্কের অসাধারণ এক ডেলিভারীতে তাকে সাজঘরে ফিরতে হয়। পাকিস্তান শিবিরের শেষ তিন উইকেট নেন বাঁহাতি পেসার স্টার্ক। এছাড়া নাথায় লায়ন ৩টি, হ্যাজেলউড ২টি ও বার্ড ১টি উইকেট নেন।

 

ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন স্টিভেন স্মিথ।  সিডনিতে আগামী ৩ জানুয়ারি দুই দলের শেষ টেস্ট শুরু হবে।

 

 

 

Check Also

ফুটবলার রাজিয়ার জন্য আমরা কে কী করেছি

ফজয়ী নারী ফুটবলার রাজিয়া সুলতানা মাঠে ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। সন্তান জন্মদানের পর আবার দ্রুত খেলায় ফিরতে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।