ট্রাম্পের নিন্দা জানিয়ে দয়াশীল আমেরিকা গড়ার আহবান অ্যাঞ্জেলিনা জোলির

ক্রাইমবার্তা আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অভিবাসী ও শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার নিন্দা জানিয়েছেন অস্কার বিজয়ী তারকা অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এমন নির্বাহী আদেশের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা হুমকিতে পড়বে। একই সঙ্গে এই সিদ্ধান্ত শরণার্থী ও চরমপন্থিদের রশদ যোগাবে বলে মনে করেন জোলি।

ট্রাম্পের নাম সরাসরি উচ্চারন না করে জোলি নিউ ইয়র্ক টাইমসের মতামত বিভাগের একটি লেখায় প্ররোক্ষভাবে নিন্দা জানান জোলি। জাতিসংঘের শরণার্থী শিবিরের বিশেষ দূত অ্যাঞ্জেলিনা জোলি তাল লেখায় দয়াশীল আমেরিকা গড়ার আহবান জানান। ধর্ম দিয়ে বিভাজন মানে আগুন নিয়ে খেলা করার শামিল বলে তিনি নিউ ইয়র্ক টাইমের মতামত পেজে লিখেন।28

৬ সন্তানের জননী মার্কিন অস্কার বিজয়ী এ অভিনেত্রী আরো বলেন, সব অভিবাসীরা বিদেশে জন্মগ্রহণ করেও আমেরিকার নাগরিকত্ব পেয়ে গর্ব বোধ করেন। আমি মনে করে সিদ্ধান্তটি নেওয়া ভীতি থেকে নেওয়া হয়নি। এই সিদ্ধান্ত অতি শিগগরই পরিবর্তন করার প্রয়োজন বলে মনে করেন জোলি।

জোলি আরো লিখেন, শরণার্থীদের আমেরিকায় বড় হয়ে ভালো কিছু করার সুযোগ আছে। শিশুদের প্রবেশের ক্ষেত্রেও এই নিষেধাজ্ঞা নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। শরণার্থীদের প্রবেশের অনুমতি দিয়েই আমাদের দেশের নিরাপত্তা বাড়াতে হবে। ধর্ম বা ভৌগলিক অবস্থার বিবেচনায় দেশে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত আদৌ যথাযথ নয়।

গত সপ্তায় ট্রাম্প ইরান, ইরাক, সোমালিয়া, লিবিয়া, সুদান, ইয়েমেন ও সিরিয়া এই ৭ মুসলিম দেশের অভিবাসী ও শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারির নির্বাহী আদেশ দেন। ট্রাম্পের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এই আহবান জানান জোলি। বিবাহ বিচ্ছেদের পর এটি তার প্রথম কোনো মতামত।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে অভিনেত্রী ব্রেড পিটের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে খ্যাতিমান এ মার্কিন অভিনেত্রীর। জোলি দম্পতির ৬ সন্তান রয়েছে। এর মধ্যে ৩জন সন্তানকে তিনি বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র থেকে নিয়ে লালন পালন করছেন।

জোলির পালিত সন্তানরা কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম ও ইথিওপিয়ায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। আর তার নিজের সন্তানরা জন্মগ্রহণ করেছেন ফ্রান্স ও নামিবিয়ায়।

৪১ বছর বয়সী মার্কিন এই অভিনেত্রী গত বছর মানবিক কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার জন্য অস্কার পুরষ্কার পান। জিও নিউজ

Check Also

সিরিয়াতেই থাকতে হবে ‘আইএস বধূকে’, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কে এই শামীমা?

ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিগোষ্ঠীতে যোগ দিতে ২০১৫ সালে যুক্তরাজ্য থেকে সিরিয়ায় পালিয়ে যাওয়া শামীমা বেগম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।