অর্থ আত্মসাত জাতীয় বিশ্ববিদ্যায়ের তিন কর্মকর্তার মধ্যে দু’জনের জামিন, একজন কারাগারে

ক্রাইমবার্তা রিপোট:গাজীপুর সংবাদদাতা,  অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় গ্রেফতার হওয়া তিন আসামির মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই কর্মকর্তাকে বৃহ¯পতিবার সাত দিনের অন্তবর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন আদালত। তবে অপর কর্মকর্তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত।
11
জামিন প্রাপ্তরা হলেন-বিশ্ববিদালয়ের প্রক্টর তাওহীদ জামান শিপু ও সহকারী রেজিস্ট্রার সিদ্দিকুর রহমান । তবে গ্রেফতার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি পরিচালক শেখ মো. মোফাজ্জল হোসেনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হওয়ায় তাকে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে।

বাদি পক্ষের আইনজীবী আব্দুস সাত্তার জানান, বৃহ¯পতিবার গাজীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ওই তিন আসামির জামিনের জন্য তাদের পক্ষের আইনজীবীরা আবেদন করেন। পরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. এনামুল হক ওই আদেশ দেন। সামনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট অধিবেশন থাকায় ওই দুইকর্মকর্তাকে ২৩ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত অন্তর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর ও অপর কর্মকর্তা শেখ মো. মোফাজ্জল হোসেনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে আরো তিনটি মামলায় শ্যোন এরেস্টের জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক ফজলুল বারী ওই আদালতে আবেদন করেন। পরে আদালত তা শুনানীর জন্য ২৮মার্চ তারিখ ধার্য করেন।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হকের দায়ের করা একটি দুর্নীতি মামলায় সোমবার ভোরে রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে দুদক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই তিন কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করে। পরদিন তাদের আদালতের মাধ্যমে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এ পাঠানো হয়। এ মামলায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহসহ মোট ১৩ জনকে আসামি করা হয় ।

ওই মামলায় অভিযোগ করা হয়, সরকারের নিষেধাজ্ঞার পরও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘গণনিয়োগ’ পাওয়া ১৬৯ জন কর্মচারীকে অবৈধভাবে সিলেকশন গ্রেড দিয়ে আসামিরা পর¯পর যোগসাজশে সরকারের এক কোটি ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৩৯৪ টাকা আত্মসাত করেন।

বাদিপক্ষে গাজীপুর জজ আদালতের আইনজীবী আব্দুস সাত্তার, মোজাম্মেল হক এবং আসামী পক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ, মো. আব্দুল আজিজ মিয়া মিন্টুসহ একাধিক আইজীবী জামিন আবেদনের শুনানীতে অংশ নেন। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক মো. হাফিজুর রহমান ও সহকারি কলেজ পরিদর্শক এমএইচ এম এ শাহজাহান বাদি হয়ে আরো তিনটি দুর্নীতির মামলা করেন। মামলাগুলো দুদক তদন্ত করছেন।

Please follow and like us:

Check Also

নতুন যোগ হচ্ছে ২০ লাখ দরিদ্র

মূল্যস্ফীতির কশাঘাত মোকাবিলায় ২০ লাখ ২৬ হাজার দরিদ্র মানুষকে নতুন করে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।