বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে : মির্জা ফখরুল

ক্রাইমবার্তা রিপোট:দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে যাবে মন্তব্য করে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রতিবছর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে আমরা প্রচুর শ্রদ্ধা নিবেদন করি যারা ৫২ সালে আমাদের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন দিয়েছিলেন। এখন বর্তমান প্রেক্ষাপটে মানুষের সকল অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে, গণতন্ত্র নিহত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের কাছে এসব বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের প্রতিজ্ঞা একুশের চেতনায় যে গণতন্ত্র হারিয়ে গেছে, তাকে পুনরুদ্ধারে আমরা আমাদের সংগ্রাম চালিয়ে যাবো। বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

ক্ষমতাসীন দলের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, একুশের চেতনা ছিলো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাও ছিলো গণতন্ত্র। আজকে দেশকে গণতন্ত্রহীন রেখে ক্ষমতাসীনরা শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করেছে।

সকাল ৮টার দিকে কয়েক হাজার নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রভাত ফেরী করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসেন মির্জা ফখরুল। এ সময় দলের কেন্দ্রীয় নেতা আমানউল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আশরাফউদ্দিন উজ্জ্বল, তাইফুল ইসলাম টিপু, শায়রুল কবির খান, অঙ্গসংগঠনের অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

এরআগে দলের সিনিয়র নেতারা আজিমপুরে ভাষা শহীদদের কবর জিয়ারত করে নীলক্ষেত্রের বলাকা সিনেমা হলের কাছে সমবেত হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার অভিমুখে রওনা হয়।

তা ছাড়া একুশের প্রথম প্রহরের পর রাত ১টা ৩২ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মূল বেদীতে এসে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। কালো ব্যাজ বুকে নিয়ে খালেদা জিয়া তার দলের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে মূল বেদীতে এসে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

এ সময়ে দলের বিএনপি মহাসচিব ছাড়াও সিনিয়র নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মাহবুবুর রহমান, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আবদুল্লাহ আল নোমান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সেলিমা রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান, এজেডএম জাহিদ হোসেন, আমানউল্লাহ আমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বিএনপি নেতা ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম. অধ্যাপক ড, মোর্শেদ হাসান খান, লুৎফর রহমান, আল মুজাদ্দেদি আলফেছানী, ড. গোলাম রব্বান সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ছিলেন।

Check Also

মালয়েশিয়ার পাম তেলে ইইউ’র নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের শ্রমবাজারে অশনি সংকেত

বন উজাড়, কার্বন নির্গমনের ঝুঁকি এবং পরিবেশের ভারসাম্য নষ্টগত কারণ দেখিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়ার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।