যশোর কোতয়ালী থানার এস.আই আকবর দুদকের মামলায় ফেঁসে গেলেন

ক্রাইমবার্তা রিপোট: জি.এম মিজানুর রহমান মিজান, কয়লা ধুইলে কয়লার ময়লা কখনো যায় না। ভীমবার দিয়ে শতচেষ্টা করলেও কয়লার ময়লা কখনো যায় না। প্রবাদটি অবিশ্বাস্য হলেও সত্য প্রমাণ করলো যশোর কোতয়ালী থানার এসআই হিসেবে কর্মরত আকবর শেখ। আকবর শেখ একটি আতঙ্ক নাম। খুলনা সদর ও দৌলতপুর থানায় কর্মরত থাকা অবস্থায় পেণ্ডিং মামলার ভয় দেখিয়ে অর্থবাণিজ্য, যুবতী রমণীদের দিয়ে দেহব্যবসা, কালোবাজারি, চোরাকারবারি, মাদক ব্যবসাসহ এমন কোনো কর্মকাণ্ড নাই এই এসআই করে নাই। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও পুলিশের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে রয়েছে তার গভীর সম্পর্ক ও আঁতাত। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে রয়েছে মধুর সম্পর্ক। তিনি নিজের ক্ষমতা ও দাপট দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে অনেক অনেক সুবিধা। zn zএমন কোনো পুলিশ অফিসার খুলনায় নেই যে, পুলিশ কনস্টেবল পদে যোগদান করলে টাকার দাপটে এস.আই পদে যেতে বেগ পেতে হয়নি তার। খুলনা মহানগর অভিজাত এলাকার পশ্চিম টুটপাড়া মেইন রোডের ‘আঞ্জুমান মঞ্জিল’ নামে বিলাসবহুল আলোচিত চারতলা বাড়ী নগরবাসীর নজর কেড়েছে। যারা না জানেন তারা ভাববেন এটি একজন শিল্পপতির বাড়ি। কিন্তু দুর্নীতি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে মামলা করার পর আলোচনায় এসেছেন এস.আই আকবার।
বর্তমানে তিনি যশোরের কোতয়ালী থানায় এসআই হিসেবে কর্মরত। বিশ বছরে দেড় কোটির বেশি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত এবং গোপন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি অর্জন করেছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে ঘুষ ও চাঁদাবাজির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধানে এমন তথ্য-প্রমাণ উঠে এসেছে। এ ঘটনায় গত ২২ মার্চ দুর্নীতি দমন কমিশন খুলনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহাতাবউদ্দিন বাদী হয়ে এসআই আলী আকবর শেখের বিরুদ্ধে (কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারা) খুলনা সদর থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলা নং-২৫। বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলা ভাটখালী গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান শেখের ছেলে আকবর শেখ। তিনি ১৯৯৬ সালের ৯ অক্টোবর বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগে যোগদান করেন। পরবর্তীতে তিনি কেএমপির আওতাধীন দৌলতপুর থানার এসআই পদে দায়িত্ব পালন করেন। দুদক সূত্রে জানা গেছে, এসআই আলী আকবর এখন প্রায়  এক কোটি ৮৭ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মালিক। যার মধ্যে মাত্র ৩১ লাখ ৩৬ হাজার ৮৩৬ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বৈধ উৎসের আয়। আর বাকি ১ কোটি ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ২৫১ টাকার গোপনকৃত এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ। যার মধ্যে ২০ লাখ টাকার সম্পদ গোপন এবং ১ কোটি ৩৫ লাখ ৯৭ হাজার ২৫১ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। এর মধ্যে তিনি খুলনা মহানগরীর পশ্চিম টুটপাড়া মেইন রোডের হোল্ডিং নং ১৮/২, আঞ্জুমান মঞ্জিল চারতলা বিশিষ্ট বিলাসবহুল একটি ভবন নির্মাণ করেছেন। যা গোপন রাখা হয়েছে। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় খুলনার ই/আর নং-১৮/২০১১ এর অনুসন্ধানে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

Please follow and like us:

Check Also

বাবার ইমামতিতে ছেলের জানাজা

চাঁদপুর শহরের হাজি মহসিন রোডের রেলওয়ে নূরানি জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাও. আ ন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।