মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার আসামি আব্দুল্লাহ হেল বাকীর শাররিক অবস্থা খারাপ #১০৪ বছর বয়সি, বাকশক্তি হারানো

ক্রাইমবার্তা রিপোট: সাতক্ষীরা:  মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার আসামি আবদুল্লাহেল বাকির বয়স ১০৪ বছর। শাররিক অবস্থা খুবই খারাপ। এক দিন ওষুধ না খেলে রাতের ঘুম হয় না তার। এছাড়া গ্রেফতারের পর শাররিক অবস্থা আরো খারাপ হয়েছে বলে পরিবার সূত্র জানায়। কয়েক বছর ধরে সে বাকশক্তি হারানো। এখন মৃত্যু শর্যায়। তাঁর ভাই বাংলাদেশ আহলে হাদীস আন্দোলনের আমীর ড. আসাদুল্লাহ আল গালিব।
শনিবার রাতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বুলারাটি গ্রামের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকার উদ্দেশে নিয়ে যায় পুলিশ।
শারীরিকভাবে অসুস্থ ১০৪ বছর বয়সের (পরিবারের তথ্য অনুযায়ী জন্ম ১৯১৩ সালে) আবদুল্লাহেল বাকিকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন।45
পুলিশ জানায়, গত ৮ মার্চ ট্রাইব্যুনাল তিনিসহ চার জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। তাঁদের মধ্যে জামায়াতের সাতক্ষীরা জেলা আমীর মওলানা আবদুল খালেক আগে থেকেই কারাগারে রয়েছেন। অপর দুজন হলেন খান রোকনুজ্জামান ও জহুরুল ইসলাম। তাঁরা দুজন পলাতক। তাঁদের বিরুদ্ধে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সাতটি হত্যা, নির্যাতনসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে।44

১৯৬৪ সালে তৎকালীন সাতক্ষীরা মহকুমার আলিপুর ইউনিয়ন কাউন্সিলের প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন আবদুল্লাহেল বাকি।

মুসলিম লীগ নেতা হিসেবে টানা ২৪ বছর একই ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট অথবা চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৭৮ সালে সাতক্ষীরা মহকুমার ৭৮টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সমন্বয়ে গঠিত চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি ছিলেন তিনি। এরপর কো-অপারেটিভ ব্যাংকের চেয়ারম্যান হন আবদুল্লাহেল বাকি।
আবদুল্লাহেল বাকির বাবা হাজি জমিরুদ্দিন। তাঁরা দুই ভাই ও দুই বোন। তাঁরা হলেন আবদুল্লাহেল বাকি, আহলে হাদীস নেতা ড. আসাদুল্লাহ আল গালিব, জামিলা খাতুন ও হালিমা খাতুন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আবদুল্লাহেল বাকির দুই স্ত্রীর প্রথম জন টরি বেগম মারা গেছেন। এখন বেঁচে আছেন ছোট স্ত্রী সাজেদা খাতুন। তাঁর নয় মেয়ে ও তিন ছেলে এবং ৬৪ নাতি-নাতনি রয়েছেন। মেয়েরা হলেন লতিফা খাতুন, তৈয়বা খাতুন, হেনা খাতুন, মিনা খাতুন, আছিয়া খাতুন, সালমা খাতুন, তাহমিনা খাতুন ও মৌহসেনা খাতুন। অপর মেয়ে নাজমা খাতুন মারা গেছেন। বাকির তিন ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল বেসিক ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। মেজ ছেলে মোস্তাজারুর রহমান বাবুল সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যাপক এবং ছোট ছেলে মোস্তাফিরুর রহমান হাবুল একজন মুদি ব্যবসায়ী। বর্তমানে বাকশক্তি হারানো আবদুল্লাহেল বাকি খুলনায় তাঁর বড় ছেলের বাসায় থাকতেন। পাঁচ দিন আগে তাঁকে গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার আলিপুর ইউনিয়নের বুলারাটিতে নিয়ে আসা হয়।–

Please follow and like us:

Check Also

আবুল কাশেম কোন প্রতিহিংসার রাজনীতি করেননি,তাই জনগণ তাকে বার বার নির্বাচিত করতেন: সাতক্ষীরায় মিয়া গোলাম পরওয়ার

সাতক্ষীরা সংবাদদাতাঃ কলারোয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, উপজেলা জামায়াতের প্রথম সভাপতি, বাংলাদেশ পরিবহন মালিক সমিতির …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।