গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেন, জঙ্গিবাদ চলে যাবে: মওদুদ আহমদ

ক্রাইমবার্তা রিপোট: ‘আওয়ামী লীগের একার পক্ষে জঙ্গিবাদ দমন করা সম্ভব না’ বলে সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেন, জঙ্গিবাদ চলে যাবে।
বুধবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়।28
‘বাংলাদেশ-ভারতের আসন্ন প্রতিরক্ষা চুক্তি, আমাদের স্বাধীনতা- সার্বভৌমত্ব কোন পথে? শীর্ষক সভায় তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সরকার জঙ্গিবাদকে অতিরঞ্জিত করছে। এতে আওয়ামী লীগ, দেশে এবং আমাদের ক্ষতি হবে। সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ দমন আওয়ামী লীগের একার পক্ষে সম্ভব নয়। পুলিশ ও র‌্যাবের পক্ষেও সম্ভব নয়, তাদের ‘পুলিশ ও র‌্যাব’ মাধ্যমে আংশিক দমন হবে। আমরা আগেও বলেছি, এখনও বলছি, জঙ্গিবাদ মোকাবেলা জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। কারণ মানুষ ঐক্যবদ্ধ হলে জঙ্গিবাদ বিস্তার সম্ভব হবে না।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ইঙ্গিত করে মওদুদ আহমদ বলেন, জঙ্গিবাদ দমনে প্রধানমন্ত্রী আহবান জানিয়েছেন। কিন্তু তার আহবানে কাজ হবে না। তাই বসুন, আলোচনা করুন। আমরা সহযোগিতা করবো। আর যদি ভাবেন ‘প্রধানমন্ত্রী’ জঙ্গিবাদ উত্থান হলে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন, তাহলে সেটা অন্য কথা। জঙ্গিবাদ সরকারের রাজনৈতিক কৌশল ও উদ্দেশ্য বলেও মন্তব্য করেন মওদুদ আহমদ।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে তাদের গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে। প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের কথা বলে বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ করে ভোট চাচ্ছেন। এটা ভালো কথা, কিন্তু ইসি নিরপেক্ষ হলে প্রধানমন্ত্রীর প্রচারণা বন্ধ করতেন। অথবা আমাদেরও সুযোগ দিতেন। আর এখন থেকেই নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন মওদুদ।
বিএনপির এ নেতা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বিএনপি। বিএনপির মুক্তিযুদ্ধের রক্ষাকারী। কারণ আমাদের নেতা হাতে হাতিয়ার নিয়ে যুদ্ধ করেছেন। আর আমাদের দলে যত বেশী মুক্তিযোদ্ধা আছে, আওয়ামী লীগে সেটাও নেই।
আসন্ন ভারত সফরে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা চুক্তির তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে যেকোন চুক্তির বিরোধীতা করবো আমরা। তবে আগে দেখবো, এরপর বক্তব্যে রাখবো। এছাড়া চুক্তির বিষয়ে আমি পুরোপুরি জানি না। আর এধরণের চুক্তি করার আগে সংসদে আলোচনা করা উচিত। মানুষের মতামত নেওয়া উচিত আমরা চুক্তি করবো কী না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানই। এটা নিয়ে বিতর্কের অবকাশ নেই। আর আমাদের বক্তব্যে যে সত্য সেটা আওয়ামী লীগের ঘরোনা ব্যক্তিদের মুখ থেকেই বের হয়েছে।

Please follow and like us:

Check Also

নতুন যোগ হচ্ছে ২০ লাখ দরিদ্র

মূল্যস্ফীতির কশাঘাত মোকাবিলায় ২০ লাখ ২৬ হাজার দরিদ্র মানুষকে নতুন করে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।