প্রতিরক্ষাসহ ৩৬টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরকারী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর 

রবিবার ০৯ এপ্রিল ২০১৭ |

প্রতিরক্ষাসহ ৩৬টি চুক্তি ও  সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

মোহাম্মদ জাফর ইকবাল : প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষাসহ ৩৬টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে হায়দরাবাদ হাউজে বৈঠকে বসেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপর দুই নেতা দুই দেশের সংশ্লিষ্ট নেতা ও কর্মকর্তাদের নিয়ে শীর্ষ বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে প্রতিরক্ষা, ঋণ, তথ্য-প্রযুক্তি, বিদ্যুৎ-জ্বালানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে ৩৬টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে স্বাক্ষরিত চুক্তি ও সমঝোতাপত্র বিনিময় হয়। সফরের আগেই এই চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকগুলো প্রকাশের দাবি জানিয়ে আসছিল বিএনপিসহ দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল। এছাড়া চুক্তি ও স্মাকের বিষয়গুলোও প্রকাশের দাবি করা হয়। সইয়ের পর গতকাল রাতে বাংলাদেশর পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক আনুষ্ঠানিক প্রেস ব্রিফিংয়ে চুক্তি ও স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়গুলো তুলে ধরেন।

স্বাক্ষরিত চুক্তি ও স্মারক: ‘বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা রূপরেখা’ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক। ‘কৌশলগত ও ব্যবহারিক শিক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে’ ঢাকার মিরপুরের ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ ও ভারতের তামিলনাডু রাজ্যের ওয়েলিংটনে (নিলগিরি) ডিফেন্স সার্ভিস স্টাফ কলেজের মধ্যে সমঝোতা স্মারক। ‘জাতীয় নিরাপত্তা, উন্নয়ন ও কৌশলগত শিক্ষার ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে’ ঢাকার ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ ও নয়া দিল্লির ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের মধ্যে সমঝোতা স্মারক। প্রতিরক্ষা খাতের এই তিন সমঝোতা স্মারকে বাংলাদেশের পক্ষে সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার ও ভারতের প্রতিরক্ষা সচিব সই করেন।

‘মহাকাশের শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে সহযোগিতার বিষয়ে’ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সমঝোতা স্মারকে সই করেন বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) ও ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (আইএসআরও) চেয়ারম্যান। ‘আনবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে সহযোগিতার’ বিষয়ে দুই দেশের সরকারের মধ্যে চুক্তিতে সই করেন বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব এবং ভারতের আনবিক শক্তি বিভাগের সচিব। পরমাণু নিরাপত্তা ও বিকিরণ নিয়ন্ত্রণে কারিগরি তথ্য বিনিময় ও সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ অ্যাটমিক এনার্জি রেগুলেটরি অথরিটি (বিএইআরএ) ও ভারতের অ্যাটমিক এনার্জি রেগুলেটরি বোর্ডের (এইআরবি) মধ্যে বন্দোবস্তনামায় দুই সংস্থার চেয়ারম্যান সই করেন। বাংলাদেশে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে সহযোগিতার বিষয়ে বাংলাদেশ অ্যাটমিক এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিএইআরসি) ও ভারতের গ্লোবাল সেন্টার ফর নিউক্লিয়ার এনার্জি পার্টনারশিপের (জিসিএনইপি) মধ্যে চুক্তিতে দুই সংস্থার চেয়ারম্যান সই করেন।

তথ্যপ্রযুক্তি ও ইলেক্ট্রনিকসের ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং ভারতের ইলেক্ট্রনিকস ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক। সাইবার নিরাপত্তা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ গভর্নমেন্ট কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম (বিজিডি ই-জিওভি সিআইআরটি) ও ইন্ডিয়ান কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিমের (সিইআরটি-ইন) মধ্যে চুক্তি। বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব ও ভারতের ইলেক্ট্রনিকস ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব এদুটিতে সই করেন। বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তজুড়ে বর্ডার হাট স্থাপনের বিষয়ে সমঝোতা স্মারকে সই করেন দুই দেশের বাণিজ্য সচিব।

বিচারিক ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতায় দুই দেশের সরকারের মধ্যে সমঝোতা স্মারকে বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সই করেন। ভারতে বাংলাদেশের বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা তৈরির কর্মসূচির বিষয়ে সমঝোতা স্মারকে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ও ভারতের ন্যাশনাল জুডিশিয়াল অ্যাকাডেমির (এনজেএ) পরিচালক সই করেন। নৌবিদ্যায় সহায়তার বিষয়ে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকে বাংলাদেশের নৌপরিবহন বিভাগের সচিব ও ভারতের লাইটহাউজ অ্যান্ড লাইটশিপসের মহাপরিচালক (ডিজিএলএল) সই করেন। ভূবিদ্যা নিয়ে গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে পারস্পরিক বৈজ্ঞানিক সহযোগিতার বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারকে জিওলজিক্যাল সার্ভে অব বাংলাশের (জিএসবি) মহাপরিচালক ও জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার (জিএসআই) উপ- মহাপরিচালক সই করেন। কোস্টাল ও প্রটোকল রুটে যাত্রী ও পর্যটন সেবায় দুই দেশের সরকারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক ও স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউরস (এসওপি) দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিনিময় করা হয়।  ভারত-বাংলাদেশ প্রটোকল রুটে সিরাজগঞ্জ থেকে লালমনিরহাটের দইখাওয়া এবং আশুগঞ্জ থেকে জকিগঞ্জ পর্যন্ত নাব্য চ্যানেলের উন্নয়নে সমঝোতা স্মারক। এই সমঝোতা স্মারক দুটিতে সই করেন দুই দেশের নৌসচিব।

এছাড়া গণমাধ্যমের ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব ও ভারতের তথ্য সচিব স্বাক্ষর করেন। অডিও-ভিজ্যুয়াল সহ-প্রযোজনা চুক্তিতেও তারা দুজন সই করেছেন। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৫০ কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা ঋণ সহায়তা সমঝোতা স্মারকে সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার ও ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সই করেন। মোটরযান যাত্রী চলাচল (খুলনা-কলকাতা রুট) নিয়ন্ত্রণের জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চুক্তি ও চুক্তির স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউরসে দুই দেশে সড়ক বিভাগের সচিব স্বাক্ষর করেন। তৃতীয় ঋণ সহায়তার আওতায় বাংলাদেশকে সাড়ে ৪০০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার বিষয়ে সমঝোতা স্মারকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ও ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সই করেন।  বাংলাদেশে ৩৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণে অর্থায়নের চুক্তিতে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশে ভারতীয় হাই কমিশনার সই করেন।  বিচার বিভাগের সহযোগিতা, সাড়ে চারশ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা, মহাকাশ গবেষণা এবং যাত্রীবাহী নৌ চলাচলে স্বাক্ষরিত সমঝোতাপত্রগুলো অনুষ্ঠানে বিনিময় হয়।

মোট ৩৬টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের মধ্যে অন্যতম বিষয় হলো, তৃতীয় লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় বাংলাদেশকে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে ভারত। গত ছয় বছরে তা ৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হল। সামরিক কেনাকাটায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে ভারত। বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা রূপরেখা’ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক। ৩৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনে সমঝোতা স্মারক। আরও সীমান্ত হাট চালু করতে সমঝোতা স্মারক। বাংলাদেশের বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণে সমঝোতা স্মারক।

সফরের দ্বিতীয় দিনে যা হলো: চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরের দ্বিতীয় দিন (শনিবার) বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে অন্তত ৩২টি চুক্তি ও চারটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়ও রয়েছে এসব চুক্তিতে। তবে দীর্ঘ প্রতিক্ষীত ও ২০ বছরের বেশি সময় ধরে আলোচিত তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তির বিষয়ে কোনো আশার আলো দেখাতে পারেনি নয়াদিল্লি। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, শেখ হাসিনা সরকারের আমলেই এই চুক্তি আলো দেখতে পারে। দুই দেশের সরকার সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করলেও বহুল প্রতীক্ষিত তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি। দুই দেশের মাঝে ট্রেন ও বাস সার্ভিস উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তিস্তা ইস্যুতে তার আগের অবস্থান থেকে সরে আসেননি।

কলকাতা এবং বাংলাদেশের মধ্যে একটি নতুন বাস ও ট্রেন সার্ভিস চালু করা হয়েছে। নতুন সীমান্ত হাট চালুর জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বাংলাদেশের সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। এই খাতে ৫০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তার ঘোষণা এসেছে মোদির কাছে থেকে। বেসামরিক পারমাণবিক বিদ্যৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের চুক্তি হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। প্রতিরক্ষা খাতের চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশে সামরিক সরঞ্জামাদি সরবরাহ করবে ভারত।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত ভারতীয় সেনাসদস্যদের পরিবার ও স্বজনদের সম্মাননা জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নয়াদিল্লির মানেকশ সেন্টারের অয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ সম্মাননা দেয়া হয়। এসময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ভারতকে নিয়ে আমার স্বপ্ন যেরকম একই ধরনের স্বপ্ন আছে বাংলাদেশকে নিয়ে।

শেখ হাসিনার কর্মব্যস্ত দিন: সফরের দ্বিতীয় দিন শীর্ষ বৈঠকের পাশাপাশি টানা বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশ নেন শেখ হাসিনা। সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা ও গার্ড অব অনার দেওয়া হয় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে। মোদী এসময় উপস্থিত ছিলেন। এরপর রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধি সৌধে ফুল দেওয়ার পর তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর হায়দ্রাবাদ হাউজে যান। সেখানে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন তারা। বৈঠকের পর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নতুন করে দুটি রুটে বাস ও ট্রেন সার্ভিসের উদ্বোধন করা হয়।  সেই সঙ্গে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনি’র হিন্দি সংস্করণেরও মোড়ক উন্মোচন করা হয়। সেখানে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নেন তিনি। শীর্ষ বৈঠকের পর হায়দ্রাবাদ হাউজ থেকে শেখ হাসিনাকে নিয়ে এক গাড়িতেই বের হন নরেন্দ্র মোদী। বৈঠকের পর শেখ হাসিনা ও মোদী এক গাড়িতে চড়ে যান মানেকশ সেন্টারে, সেখানে একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ ভারতীয় শহীদদের সম্মাননা জানানো হয়। এরপর সন্ধ্যায় ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারীর সঙ্গে বৈঠক করেন হাসিনা। এছাড়া রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাতের খাবার খান। উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে নয়াদিল্লিতে বিমানবাহিনীর পালাম স্টেশনে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। ১০ এপ্রিল সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ-ভারতের শীর্ষ শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের এক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন। এরপর বিকেলে তিনি ঢাকার উদ্দেশে দিল্লি ত্যাগ করবেন। গত সাত বছরের মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রথম ভারত সফর এটি। এর আগে ২০১০ সালে দেশটিতে গিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। ২০১৫ সালের জুনে মোদির ঢাকা সফরে দু’দেশের মধ্যে ২২টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

পদত্যাগের ঘোষণায় হাসির হিড়িক: ইংরেজি ‘ স্টেপ ডাউন’ কথাটির অর্থ কী হতে পারে? ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ স্টেপ ডাউন’ কথাটি বলে হাস্যরসের সৃষ্টি করেছেন অনুষ্ঠান সঞ্চালকদের একজন। গতকাল দুপুরে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে হায়দরাবাদ হাউসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়ার আগে এ ঘটনা ঘটে।

নরেন্দ্র মোদি ও শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের সামনে আনুষ্ঠানিক চুক্তি সই করেন। এরপর দুই নেতাকে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়ার জন্য মঞ্চ থেকে একধাপ নামতে অনুরোধ করতে গিয়ে সঞ্চালকদের একজন বলে বসেন, ‘মে আই রিকোয়েস্ট দ্য টু প্রাইম মিনিস্টার্স টু নাউ প্লিজ স্টেপ ডাউন।’ কথার অর্থ বুঝেই এরপর হাসতে শুরু করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। হাসতে শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। হাসি থামতেই চায় না। প্রায় পুরো এক মিনিট ধরেই এ হাসির রেশ ছিল।

Check Also

মালয়েশিয়ার পাম তেলে ইইউ’র নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের শ্রমবাজারে অশনি সংকেত

বন উজাড়, কার্বন নির্গমনের ঝুঁকি এবং পরিবেশের ভারসাম্য নষ্টগত কারণ দেখিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়ার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।