নওগাঁয় ছোট যমুনা নদীতে বয়লারের ছাই ছেলে নদী ভরাট, পরিবেশ দুষণ, চোখ হারাচ্ছে অনেকে, দেখার কেহ নেই।

ক্রাইমবার্তা রিপোট:আহাদ আলী , নওগাঁ থেকে ঃ নওগাঁ শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে ছোট যমুনা নদী। এই নদীর তীরবর্তী মানুষরা নদীর পানি দিয়ে গোসল, কাপড় চোপড়সহ নানাবিধ কাজ করে থাকে। নদীর পূর্ব ধারে অসংখ্য চাল উৎপাদনের অ্েটা বয়লার বা চাল তৈরীরর চাতাল গড়ে উঠায় এই বয়লারের বর্জ পানি আর ছাই এই নদীতে ফেলায় নদীর পানি দুষিত হচ্ছে। দুষনের ফলে নদীর দেশীয় মাছসহ জলবৈচিত্রের প্রানীরা মারা যাচ্ছে। বেশী বেশী ছাই ফেলার ফলে নদীর তলদেশ থেকে জলালের মাধ্যমে পানি উঠতে পারে না। নদীগুলোও ভরাট হয়ে যাচ্ছে।12 ফাল্গুন-চৈত্র মাসে নদীর পানি কমে গেলে বয়লারের বর্জ পানি আর ছাই ফেলায় নদীর পানি দুষনের ফলে নদীতে গোসল, কাপড় চোপড় ধোয়াসহ কোন কাজ করতে পারে না। এই পানিতে গোসল করলে খোসপাচরা, চুলকানিসহ নানাবিধ চর্মরোগ হয়। জেলায় কোন পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন অফিস না থাকায় বয়লার মালিকরা কিছুই মানে না। জেলা প্রশাসন এই বয়লারের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেও তা বন্ধ করতে পারে নাই। নদীর দুই ধারের জনগনের দাবী, অবিলম্বে নদী দুষনকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের।
এ ব্যাপারে অটোমেটিক চাল কল মালিকরা ক্ষমতাধর আর টাকাওয়ালা হওয়াই তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েও কোন লাভ হয় না। জেলায় কোন পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন অফিস না থাকায় বয়লার মালিকরা কিছুই মানে না। টাকার জোরে কোন রকমে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছারপত্র আনলেও ছাড়পত্র অনুযায়ী বয়লারের কাজ করে না তারা। তাদের ইচ্ছেমত কাজ করে থাকে। পরিবেশ অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী কোন চাল কল তাদের বর্জ পানি এবং ছাই চাতালের কাছে একটি ডোবায় বর্জ পানি আর ছাই পানিতে ফেলতে হবে। পানি আর ছাই যাতে পরিবেশের কোন ক্ষতি করে না। অথচ নওগাঁর শতকরা ৯৯ ভাগ চাতাল মালিকরা যত্রতত্র যেথানে সেখানে ফেলে দেয়। কোন কিছুরই তোয়াক্কা করে না। আর নদীর ধারের চাতাল মালিকরা বর্জ পানি আর ছাই নদীতে ফেলে দেয়। নদীর তীরবর্তী মানুষের ক্ষতি হলেও কোন কিছুই মনে করে না। এছাড়াও নওগাঁ থেকে পতœীতলা পর্যন্ত মহাসড়কের দুই ধারে অসংখ্যক বয়লার আছে। একই ভাবে তারা মহাসড়কের দুই ধারে ছাই ফেলে রাখে। এই সড়ক দিয়ে দ্রুত যানবাহন গেলে যানবাহনের বাতাসে ছাই উড়ে গিয়ে চোখে পড়ে কয়েক বছরে শতাধিক পথচারীর চোখ নষ্ট হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে জেলা চাল কল মালিক গ্রুপের সাধারন সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার জানান, জেলায় প্রায় দুই সহ¯্রাধিক চালকল রয়েছে। এদের মধ্যে ১ হাজার ৪০০ চালকল তাদের সমিতির তালিকা ভুক্ত। তিনি চালকল মালিকদের যত্রতত্র ছাই ফেলার কথা স্বীকার করে বলেন আমারা সমিতি পক্ষ থেকে নিদিষ্ট স্থানে ছাই ফেলার জন্য তালিকাভ’ক্ত মালিকদের বললেও তারা কোনই কর্নপাত করেন না বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ড. মোঃ আমিনুর রহমান নদীর পানিসহ পরিবেশ দুষন, ছাই দিয়ে নদী ভরাট, তলদেশ বন্ধসহ এই পরিবেশ দুষনের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন,এই পরিবেশ দুষনকারী বয়লার মালিকদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জরিমানা করেছে এবং সেটা অব্যাহত রাখবেনও বলে তিনি জানান। এছাড়াও নদীর দুই ধারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করবেনও বলে জানান।
অবিলম্বে ছাই ফেলে নদীর পানি দুষন, নদী ভরাটসহ দুষনকারী বয়লার মালিকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনসহ নদী ভরাটের হাত থেকে রক্ষার দাবী জানিয়েছেন, নদীর দুুই ধারের হাজার হাজার জনগন।

Please follow and like us:

Check Also

রাজাপুর আল- হেরা জামে মসজিদের কমিটি গঠন

সাদী হাসান, চাম্পাফুল প্রতিনিধিঃ কালীগঞ্জ উপজেলা রাজাপুর আল- হেরা জামে মসজিদে নতুন কমিটি গঠন করা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।