নিজস্ব প্রতিবেদক | মে ৫, ২০১৭ –
একইভাবে যশোর বোর্ডেও আগের রাতেই ফল ফাঁস হয়েছে। যশোর সদরের সরকারি মমিন বালিকা বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর বাবা বুধবার রাত ১১টার দিকে ফল জানতে পারেন। তার মেয়ে জিপিএ ফাইভ পায়নি এমন খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার খুব ভোর থেকে মেয়েটি উধাও। শুক্রবার সকালে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মেয়েটিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
আমাদের চট্টগ্রাম প্রতিনিধি জানান, বুধবার রাত একটার পর চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার হাটহাজারী পার্বতী উচ্চবিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার ফলের তালিকার ছবি (প্রিন্ট কপি) বিভিন্ন ব্যক্তি তাঁদের ফেসবুক পাতায় তুলে ধরেন। ছবির তথ্যের সঙ্গে গতকাল দুপুরের পর চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকার হুবহু মিল পাওয়া যায়।
তবে ফল ফাঁসের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড ও বোর্ডের প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রতিষ্ঠান ‘কপট্রনিক ইনফো সিস্টেম’-এর কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মাহবুব হাসান বলেন, ফল ফাঁসের বিষয়টি তাঁর জানা নেই। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অনলাইনে পুরো কার্যক্রম পরিচালনা করার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান হচ্ছে কপট্রনিক ইনফো সিস্টেম নামের একটি সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান। ফলাফলের তথ্য (ডেটা) ফল প্রকাশের আগের দিন বিকেলে কপট্রনিক ইনফো সিস্টেম ও টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডকে সরবরাহ করা হয়। প্রতিষ্ঠান দুটি ফলাফলের তথ্য ওয়েবসাইটে আপলোড করে তা নির্ধারিত সময়ে উন্মুক্ত করে দেওয়ার কথা।
কপট্রনিক ইনফো সিস্টেমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইমরুল ইসলাম চৌধুরী মুঠোফোনে বলেন, ‘শিক্ষা বোর্ড থেকে পাওয়া ডেটা আমরা বোর্ডের ওয়েবসাইটে আপলোড করেছি সকাল ১০টার পর (গতকাল)। তাও একটি আননোন (অজ্ঞাত) লিংকে। আপলোড করা ডেটা যাচাই-বাছাই করার জন্য শুধু বোর্ডের নির্দিষ্ট কর্মকর্তারা দেখতে পান। এরপর নির্ধারিত সময়ে তা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।’ তিনি জানান, আপলোড করা ডেটার সব রেকর্ড স্বাভাবিকভাবে সার্ভারে সংরক্ষিত থাকে।
এদিকে ফল ফাঁস হওয়ার ব্যাপারে কিছুই জানা নেই বলে জানান হাটহাজারী পার্বতী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। তিনি গতকাল রাত সাড়ে সাতটায় বলেন, ‘এই মাত্র ফল ফাঁসের বিষয়টি শুনলাম। বোর্ড থেকে পাওয়া ফলের তালিকা আমি দুপুরে বিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে দিয়েছি। এর বেশি কিছু জানি না।’