ক্ষমতাসীন দলের এক নেতার কাছে ধর্ষণের বিচার চাওয়ায় গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন গাজীপুরের এক মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে। এ ঘটনায় মামলা করায় প্রভাবশালীদের হুমকিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ওই তরুণী।
বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগকারী ওই তরুণী জানান, তার বাড়ি গাজীপুরের জয়দেবপুর এলাকায়। তিনি সদর থানার তেলিপাড়া এলাকার বাসিন্দা মৃদুলের মাধ্যমে জমি কেনার জন্য স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছে কয়েক লাখ টাকা দেন। পরে ওই ব্যক্তি টালবাহানা শুরু করায় মৃদুল তাদের নেতা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য রকিব সরকারের মাধ্যমে টাকা আদায় করে দেয়ার আশ্বাস দেয়।
তরুণীর অভিযোগ, টাকা আদায়ের কথা বলে মৃদুল তার কাছ থেকে কয়েক ধাপে ১১ লাখ টাকা নেয়। গত বছরের ২৫ নভেম্বর মৃদুল ওই তরুণীকে রকিব সরকারের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণ করে। এতে ওই তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। পরে ১৯ ফেব্রুয়ারি রকিব সরকারের বাড়িতে গিয়ে তিনি বিষয়টি জানান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মৃদুল, রনি ও নাজমুল ওই তরুণীকে একটি গাড়িতে তুলে মারধর ও গণধর্ষণ করে।
পরে মৃদুলসহ আটজনকে আসামি করে জয়দেবপুর থানায় মামলা করা হয়। পুলিশ মৃদুলকে গ্রেফতার করলেও বাকিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো তদন্ত কর্মকর্তা থানার এসআই আবুল কাশেম মীমাংসার নামে তরুণীর পরিবারের ওপর নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করছে। আসামিরা মামলা তুলে নিতে তাকে অব্যাহতভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এতে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
এ বিষয়ে গাজীপুর সদর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, গুরুত্বের সঙ্গে মামলাটির তদন্ত হচ্ছে। মূল আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পুলিশ কারও পক্ষে অবস্থান নেয়নি বা মীমাংসার চাপও দেয়নি বলে তিনি দাবি করেন।